আসন্ন শীতকালে এল নিনার প্রভাব
এবছর আমাদের দেশে ব্যাপক পরিমাণে গরম পরেছিল প্রায় একটানা 26 দিন তাপদাহর মধ্যে আমাদের এই দেশ জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েছে। এখন অনেকেই মনে করতে পারেন বর্তমানে এই আবহাওয়া অনেকটাই উষ্ণ রয়েছে, তাই শীতের প্রভাব হয়তো খুব একটা বেশি পরবে না। কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন। এমন কিছু বিষয় এবং আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা যার কারণে এই বছরে এত পরিমাণে শীত পরতে পারে, যা অনেক রেকর্ড এই ভেঙে দিতে পারে। এই বিষয়টি কেন আমি আপনাদেরকে বলছি এবং এর প্রেক্ষিতে প্রমাণ কি রয়েছে, সে বিষয়গুলো সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
এল নিনো এবং এল নিনা সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন এবং অনেকেই এই বিষয়গুলো অনেক ভালোভাবেই বোঝেনম এই সম্পর্কে এর আগেও কিন্তু আমি আলোচনা করেছি বিভিন্ন পোস্টে এবং এল নিনোর ঠিক উল্টো হচ্ছে এল নিনা। আমাদের এই দেশে এল নিনোর প্রভাব কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে। যেটা আমরা দেখতে পেরেছিলাম যা প্রচন্ড ধরনের তাপদাহর সাক্ষী হয়েছে। আবার যেমন দুবাইয়ের মতো অঞ্চলে ভয়াবহ বন্য কিন্তু আমরা এ বছর দেখেছি। এসব কিছুই হয়েছিল এর নিনোর প্রভাবে। এল নিনো ঠিক উল্টো হলো এল নিনা।
এল নিনার প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর শীত পরে। এর কারন হলো এর প্রভাবে সামুদ্রিক ঠান্ডা আবহাওয়া জনবহুল পূর্ণ এলাকায় আসতে থাকে যার কারণে শীতের প্রভাব অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটা বেশি বোঝা যায়। অনেক আবহাওয়া বিদ্রোহী আশঙ্কা করছেন আসন্ন শীতকালে খুব ভয়াবহ শীতের সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশ ভারত ও এশিয়া মহাদেশের বেশ কিছু দেশ। আমি আজকে একটি রিপোর্ট পড়লাম। সেখানে দেখলাম এভারেস্ট টেম্পারেচার ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে বলে তারা জানিয়েছে। জানিনা, তারা কতটুকু গবেষণা করেছেন। কিন্তু তারপরও তারা যেহেতু একটি স্টেটমেন্ট দিয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই গবেষণা করেই দিয়েছে।
এল নিনো এবং এল নিনাম বিষয়গুলো কিন্তু খুবই গভীরতম। এটা আসলে এক দুইটি পোষ্টের মাধ্যমে সম্পন্ন বোঝানো সম্ভব নয়। তাই পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। আজকের মত এখানে শেষ করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।