যুদ্ধ নয় শান্তি চাই (প্রথম পর্ব)
গতকাল রাত থেকে যে আশঙ্কাটা করেছিলাম আজকে সেটাই সত্যি হোলো। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কথাবার্তায় প্রথমে মনে হচ্ছিলো তারা সমঝোতা চাচ্ছে। কিন্তু সমঝোতা চাওয়ার আড়ালে তারা আসলে আন্দোলনকারীদের দমনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। যেটা আজ সকালেই নিজের চোখে দেখতে পেলাম। সকাল হতেই আমাদের শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে সরকার দলের লোকদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেলো। সরকারি দলের লোকজন পুলিশ প্রহরায় আন্দোলনকারীদের উপরে বোমা নিক্ষেপ করছিলো সেই সাথে গুলিও ছুড়ছিলো।
তাদের এহেন কার্যকলাপে আন্দোলনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আর এই সুযোগে তাদের সাথে থাকা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর লোকজন নানারকম ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম শুরু করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পর থেকেই থেমে থেমে গুলি আর বোমার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। একটা সময় খেয়াল করে দেখলাম মারামারি প্রায় আমার বাড়ির কাছে চলে এসেছে। বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে অনেককে দৌড়ে যেতে দেখলাম। কিন্তু এই ঝামেলায় যেই মারা যাক সে তো আমারই দেশের মানুষ।
হোক সে আন্দোলনকারী অথবা সরকারি দলের লোক।
তারা কেউই তো আমাদের দূরের কেউ নয়। কিছু লোকের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তারা দেশের মানুষকে আজ মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এতে মারা যাচ্ছে সব নিরীহ মানুষ। ক্ষতি হচ্ছে দেশের সম্পদের। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ সেটা এখনো বুঝতে পারছি না। আমাদের উচিত কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে দেশের কথা চিন্তা করা। দেশের মানুষের চিন্তা করা। দেশের মানুষের কিভাবে ভালো হবে সেই চিন্তা করা এবং সেই ভাবেই আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আর যাই হোক কোনভাবেই সহিংসতা কাম্য নয়। কারণ এই সহিংসতায় সমস্ত ক্ষতি আমাদেরই। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আমরা কখনোই যুদ্ধ চাই না,বরং আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধ ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধের সময় অনেক মানুষ আহত হয়,নিহত হয় এবং অনেক মানুষ আজীবনের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে,আমাদের দেশের বেশিরভাগ নেতাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বললেই চলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।