উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগ (শেষ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কমবেশি সবপক্ষের লোকজনই মারা যাচ্ছে। আজকে থেকে আবার দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে কারফিউ। এই কারফিউ এর ঘোষণা আসার পর থেকেই আবার বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। কারণ দেশের পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাবে সেটা একেবারেই বুঝতে পারছি না। এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষজন দীর্ঘদিন যাবত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পেরেশান। দেশের এই অস্থির রাজনৈতিক সময়ের কারণে ব্যবসায়ীরা আরও লাগামহীন হয়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এখন সেটাই চিন্তা করছি।


1000010308.png

এমনিতেই দেশের ব্যবসায়ীদের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। আর এখন তো তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। কারফিউর এই সময়টাতে সবচাইতে বেশি কষ্টে পড়ে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায়। তারা তাদের ঘর থেকে বের হতে না পারলে পেটে খাবার জোটে না। কিন্তু কারফিউ এর ভেতরে কেউই তো ঘর থেকে বের হতে পারে না। ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি পড়তে হয়। সেখানে প্রাণ হারানোর ভয়টাও থাকে। আবার শুনতে পাচ্ছি দেশের দ্রব্যমূল্যের অনেক বেড়ে যাবে।

এই কারণে অনেকেই আগে থেকে তাদের খাদ্য সামগ্রী কিনে রাখছে। কিন্তু এটা তো সবার পক্ষে সম্ভব না। যার সামর্থ্য আছে সে হয়তো কিনতে পারবে। কিন্তু যে ব্যক্তি যার কোনো সঞ্চয় নেই বা দিন আনে দিন খায় সে কি করবে? তাদের কথা চিন্তা করার কেউ নেই। যার ফলে এই অস্থির সময়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের মানুষ খুবই বাজে একটা সময় পার করছে। এখন আমাদের করার তেমন কিছুই নেই। দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এখন শুধু সেটাই দেখতে হবে। তবে কামনা করি যেনো দেশের জন্য ভালো কিছুই হয়। আর আমাদের এই অস্থির সময়টা কেটে যায়।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 2 months ago 

যখন কারফিউ জারি করা হয়েছিল,তখন এতো বোরিং সময় কেটেছে, যা বলার মতো নয়। বাসা থেকে তো বের হতে পারিনি। তাছাড়া তখন তো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ছিলো আকাশছোঁয়া। এতে করে অনেক মানুষ না খেয়ে দিন কাটিয়েছে। আমরা দেশে শান্তি চাই। কোন সরকার ক্ষমতায় থাকলো, সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো উচিত।