প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসীর জীবন অবসান (সপ্তম পর্ব)
এদিকে শাওনের বিয়ে করার দরকার। তার বয়সি আশেপাশে থাকা সকলেই বিয়ে করে ফেলেছে। সবার ঘরে বাচ্চাকাচ্চা রয়েছে। কিন্তু বিয়ে করতে হলে তাকে দেশে ফিরতে হবে। তাই শাওন একসময় সিদ্ধান্ত নেয় সে দেশে ফিরবে। তবে সে ঠিক করে দেশে ফেরার আগে সে ভাইকে কিছুই জানাবে না। এভাবে একদিন সে হঠাৎ করে দেশে ফিরে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়। যাওয়ার সময় সে ভাই আর তার পরিবারের জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করে। এতোদিন পর শাওনের ভাই ভাবি তাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।
দুই ভাইয়ের দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ার জন্য দুজন সমস্ত মান অভিমান ভুলে দুজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। শাওনের বড় ভাই বলতে থাকে তুই এতোদিন আমাদের ছেড়ে থাকতে পারলি? একটা খোঁজ খবর নিস নাই। আমি তোর নাম্বারের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কেউ তোর নাম্বার দিতে পারে নাই। একথা বলতে বলতে দুই ভাই ঘরের ভেতর গিয়ে বসে। দীর্ঘদিন পর শাওন দেশে এসে গ্রাম ভরে ঘুরে বেড়াতে থাকে।
তাকে সবসময় সঙ্গ দেয় তার ভাতিজা। তার বড়ো ভাইয়ের ছোটো ছেলেটা আসার পর থেকেই তার সাথে আঠার মতো লেগে রয়েছে। চাচাকে ছাড়া সে কিছুই বোঝেনা। সে জন্য শাওন ছোটো ভাতিজাকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে মজা পায়। এভাবে কয়েকদিন ঘোরাফেরার পর শাওনের বড় ভাই বলতে থাকে তোর বয়স হয়ে গিয়েছে। এখন তোর বিয়ে করা দরকার। এবার কিন্তু বিয়ে না করে যেতে পারবি না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শাওন অবশেষে দেশে ফিরেছে,এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনজনের সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা হলে মান অভিমানের কথা সবাই ভুলে যায়। আশা করি শাওন খুব শীঘ্রই বিয়ে করবে এবং চমৎকার জীবনযাপন করবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।