অবশেষে কবুতরের ভাগ পেলাম।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ভাগে কবুতরের বাচ্চা পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
কবুতর পালন খুবই শখের একটি কাজ। শহর বন্দরে গ্রামগঞ্জে অনেক মানুষ শখ করে কবুতর পালন করে থাকে। কবুতর ভালোভাবে পালন করতে পারলে মোটামুটি ভালো প্রোফিট পাওয়া যায়। আপনার শহরের মধ্যে দেখতে পাবেন প্রায় অনেক বাড়ির ছাদের মধ্যে কবুতর পালন করা হয়। তাছাড়া কবুতর পালন করলে কবুতরের প্রচুর মাংস খাওয়া যায়। কবুতরের মাংসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীর সুস্থ সকল রাখতে ভালো কাজ করে। মূলত প্রফিটের আশায় আমার ছোট ভাই কবুতর পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
আপনাদের সাথে বেশ কয়েক মাস আগে আমার ছোট ভাইয়ের কবুতর নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেখানে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আমার ছোট ভাই খুবই শখ করে দুটি কবুতর কিনেছিল। তার মধ্যে একটি কবুতর উড়ে চলে গিয়েছিল। মানে হারিয়ে গিয়েছিল অথবা কেউ ধরে আটকে রেখেছিল। যেভাবেই হোক দুটি কবুতরের মধ্যে একটি কবুতর মাইনাস হয়ে গিয়েছিল। আরেকটি কবুতর খাঁচার মধ্যে ছিল। আমার ছোট ভাইয়ের কাছে আর তেমন কবুতর কেনার মতো টাকাও ছিল না। খাঁচার মধ্যে একটি কবুতর দেখে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছিল। তাছাড়া একটি করে কবুতর পালন করে কোন লাভ নেই। সেজন্য আমি তাকে এক জোড়া কবুতর কিনে দিয়েছিলাম।
আজ থেকে প্রায় তিন মাস আগে আমি তাকে একজোড়া কবুতর কিনে এনে বাড়িতে দিয়ে এসেছিলাম। গত মাসে আমার দেবর বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে যাওয়ার পরে জানতে পেরেছিলাম, রবিবার থেকে আমাদের থার্ড ইয়ারের পরীক্ষা শুরু হবে। তো আমি দুটি পরীক্ষাও দিয়েছি। যেদিন ঢাকা আসবো এর আগের দিন আমার ছোট ভাই আমাকে বলতেছে আমার কিনে দেওয়া কবুতরগুলো অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছিল। তারা অনেকগুলো কবুতর জবাই করে খেয়েছে। এখন দুইটি কবুতরের বাচ্চা আছে, এগুলো যেন আমি জবাই করে খেয়ে যাই আর না হয় সাথে করে ঢাকা নিয়ে যায়। মানে এই দুইটা আমার ভাগের কবুতর। যেহেতু আমি কবুতর কিনে দিয়েছিলাম এখনো আমি কোন কবুতর জবাই করে খাইনি। সেজন্য এই দুইটা আমার একা, আমার ভাগের।
এখন দুইটা কবুতর আমি একা কিভাবে খাবো। আমার হাজব্যান্ড আছে, তাকে ছাড়া তো আমি এই কবুতরগুলো খেতে পারি না। আমাদের ঘরে কম বেশি সবাই কবুতর মাংস খেয়েছে। সেজন্য আমার ছোট ভাইকে বলেছিলাম কবুতরগুলো জবাই করে দিতে। কবুতরগুলো জবাই করার পরে আমার ছোট বোন সুন্দরভাবে কবুতর পালক গুলো বেছে দিলো। আমি সুন্দরভাবে কবুতরগুলো কেটে মাংসগুলো ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিলাম। তারপর আজকে সকাল বেলা ঢাকা আসার সময় সেগুলো আমার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। যেহেতু এগুলো আমার ভাগের কবুতর আমি এবং আমার হাজব্যান্ড দুইজনে মিলে খাবো।
যে কোন মাংসই বেশিদিন ফ্রিজে রাখা ঠিক না। ফ্রিজে বেশিদিন যেকোনো জিনিস থাকলে তার মূল স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য আমি ইচ্ছা করেছি আগামীকালকেই রান্না করে ফেলবো, ইনশাল্লাহ।
তো বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগটি। অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন বিষয়ের ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইলো। বিদায়।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | অবশেষে কবুতরের ভাগ পেলাম।। |
স্থান | ভাদুঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২-১১-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
আপনি কবুতর দুইটা নষ্ট না করে পুষতে পারেন। আর এখানে কবুতর নিয়ে রেসিপি দেওয়াটা গ্রহণ মনে করে না। কারণ কবুতর শান্তিপ্রিয় পাখি। যাই হোক আপনার অনুভূতি থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।
কাজের ব্যস্ততার কারণে আপনার এই কমেন্টটি আমি আগে পড়িনি। পড়লে হয়তো ভুল করতাম না। যাইহোক শান্তিপ্রিয় পাখি কবুতর। এই পাখি পোষন করা অনেক ভালো ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভাইয়ের কেনা একটি কবুতর হারিয়ে গেছে বলে আপনি একজোড়া কবুতর কিনে দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।কবুতর জোড়া অনেক বাচ্চা দিয়েছে এবং কবুতরের ভাগ আপনিও পেলেন জেনে ভালো লাগলো।ঠিক তো ভাইয়াকে ছারা ক্যামনে খাবেন একা নিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।