বিভিন্ন উদ্ভিদের গুনাগুন।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছে
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা সবাই জানেন যে কিছুদিন আগে আমি আমার এক আপুর বাসায় হঠাৎ বেড়াতে গিয়েছিলাম। আপুর বাসার ছাদে অনেকগুলো ঔষধি গাছ লাগানো আছে। আমি সেই গাছ গুলোর ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে আপনাদের মাঝে সে গুলো শেয়ার করবো। আর তারই সাথে সাথে সেই ফটোগ্রাফি করা ঔষধি গাছগুলোর উপকারিতাও শেয়ার করবো। আমাদের চার পাশে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধি গাছ রয়েছে। তবে আমরা সে গুলো গুনাগুন জানি না বলে ব্যবহার করতে পারি না। আজকের ব্লগের মাধ্যমে আপনারা সেই গাছ গুলোর গুনাগুন জেনে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তাহলে এক একটি ঔষধি গাছের ফটোগ্রাফির সাথে গুনাগুন জেনে নেওয়া যাক।
এটি হচ্ছে কেশব রাজ গাছ । এই কেশব রাজ গাছের পাতা ও সম্পূর্ণ গাছ ব্যাটে চুলে লাগালে চুলের অনেক উপকার হয়। এই কেশব রাজ গাছটি বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। এটি একটি উপকারী উদ্ভিদ। এই উদ্ভিটি কি কি কাজে লাগে তা নিচে দেওয়া হলো।
১- চুল পড়া বন্ধ করে।
২- চুলকে ঘন ও মোটা করে।
৩- চুল কালো করে।
৪- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৫- চুলের ফাটা রোধ করে তাছাড়া আরো অনেক উপকারে আসে এই কেশব রাজ গাছ ও গাছের পাতা।
আমাদের সকলের সুপরিচিত একটি ঔষধি গাছ হচ্ছে এই থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা আমাদের অনেক উপকারে আসে। নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের রং ফর্সা করে। পেটের যেকোনো রোগ নিরাময়ে এই থানকুনি পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমার জানা আরো কিছু উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১- হজম শক্তি বাড়ায়।
২- গ্যাসটিকের সমস্যা দুর হয়।
৩- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৪- চুল পরা কমায়।
৫- পেটের সকল প্রকার সমস্যা দূর হয়।
৬- কাটা স্থানের পচন রোধ করে।
আমাদের সকলের সুপরিচিত একটি গাছ হচ্ছে এই তুলসী গাছ। তুলসী গাছ বহু গুনে গুণান্বিত একটি গাছ। এই গাছটির বহুগুণাগুণ থাকার কারণে এর ব্যবহার ও অনেক হয়ে থাকে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই গাছটির অনেক কদর রয়েছে। তুলসী গাছের গুনাগুন সম্পর্কে ছোট থেকে বড় সবাই কমবেশি জানে। নিম্নে তুলসী গাছের কয়েকটি উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
১- ঠান্ডা কাশি : তুলসী পাতা ৫-৬ মিনিট চিবিয়ে খেলে ঠান্ডা ভালো হয়ে যায়।
২- জ্বর :জ্বরের সময় তুলসী পাতার চা খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।
৩- গলা ব্যথা : গলা ব্যথায় তুলসী পাতার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া বা পানি খেলে গলা ব্যাথা সেরে যায়।
৪- ব্রণের সমস্যা : আমাদের ত্বকে বিভিন্ন প্রকারের ব্রণ বা রেশ হয়ে থাকে। সে গুলো দুর করার জন্য তুলসী পাতা ব্যাটে ব্যবহার করলে তা চলে যাই।
৫- কিডনির সমস্যা : কিডনির সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত তুলসী পাতা রস খেলে কিডনিতে পাথর হওয়া বা হয়ে গেলেও দূর হয়ে যায়।
এ পাতাটি দেখে আপনারা অনেকেই চিনতে পেরেছেন। এটি হচ্ছে সজনে বা সাজনা পাতা। সাজনা পাতারও বহু গুণাগুণ রয়েছে।সাজনা পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। এটা এতটাই উপকারী একটি পাতা। এই পাতা ভর্তা করে খাওয়া যায় ভাজি করে খাওয়া যায় , শাক রান্না করে খাওয়া যায়। তাছাড়া শুকিয়ে সংরক্ষণ করে তেলে ভেজেও খাওয়া যায়। আবার এ পাতা রোদে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে বিভিন্ন ঔষধ হিসেবে খাওয়া যায়। এই পাতার কিছু গুনাগুন সম্পর্কে বা উপকার সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল।
১- শরীরের যেকোনো ব্যথা সারাতে সাজনা পাতার কোন বিকল্প নেই।
২- সাজনা পাতা খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত থাকে ।
৩- নিয়মিত সাজনা পাতা খেতে পারলে হার্ট ভালো থাকে ।
৪- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫- উচ্চ রক্তচাপ কমায় ।
৬- শরীরে সুগারের মাত্রা কমায়।
আমাদের সকলের পরিচিত একটি গাছ হচ্ছে এই পুদিনা গাছ। পুদিনা পাতা আমরা সবাই বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে এটা চপ বা বড়া বানাতে বা ঝালমুড়ির সাথে মিশিয়ে খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তবে এই পুদিনা পাতার ও কিন্তু বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। চলুন নিচের জেনে নেওয়া যাক কি কি উপকারিতা রয়েছে এই পুদিনা পাতার।
১- পুদিনা পাতা শুকিয়ে ছাই করে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।
২- পুদিনা পাতা খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
৩-পুদিনা পাতা খেলে কিডনি ও লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় ।
৪-মাথা ব্যাথা ও ঘাড় ব্যথায় পুদিনা পাতা খেলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৫ -পুদিনা পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বিভিন্ন উদ্ভিদের গুনাগুন।। |
স্থান | সাইনবোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২-১০-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
My Love, [10/5/2024 3:40 PM]
বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপি। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আগামীকাল নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | নিজের হাতে ক্যাপচার করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | কুলাউড়া, সিলেট, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৬-০৭-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই পাতা গুলো সবার পরিচিত। কিন্তু এসব পাতার এত এত গুনাগুন আমরা অনেকেই সব জানিনা। বেশ ভালো করেছেন গুনাগুন গুলো বিস্তারিত তুলে ধরে। অনেকের কাজে লাগবে। দরকারি পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জ্বি আপু আমাদের চারপাশে অনেক গুনাবলী সম্পূর্ণ উদ্ভিদ রয়েছে। তবে আমরা সেসব গুণাবলি সম্পর্কে জানিনা তাই সে উদ্ভিদগুলোর উপকারও বুঝিনা। আমি যতটুকু জানি ততটুকুই জানানোর চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপু।
চমৎকার পোস্ট৷ অনেকগুলো গাছের ছবি ও তাদের ভেষজ গুণাবলি নিয়ে লিখেছেন৷ আমি বেশ কিছু গাছের গুণাবলি আগেই জানতাম। তবে আজ পুদিনা আর সজনের কিছু অজানা গুণাবলি নতুন করে জানলাম। আমাদের আসেপাশেই কত এমন ঘরোয়া জিনিস আছে যা আমরা সেবন করে সুস্থ সবল থাকতে পারি আজ আপনার পোস্ট সেইটাই বলে গেল।
জ্বি আপু আমি প্রায়ই চেষ্টা করি এই প্রাকৃতিক উদ্ভিদগুলো সেবন করে সুস্থ হতে। আমি হোমিও খায় তবে এলোপ্যাথিক ওষুধ একেবারেই খায় না বললেই চলে। প্রকৃতির মধ্যে অজানা অনেক রহস্য রয়েছে যেগুলো আমরা উপলব্ধি করতে পারিনা। আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কিছুটা হলে ও জানতে পেরেছেন। জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু। োল