হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সকলকে আমার আদাব/ নমষ্কার 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, নাটক রিভিউ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | মিস্টার এবসেন্ট মাইন্ডেড |
ডিরেকশন: | রুবেল হাসান |
প্রোযোজক : | আবদুল হান্নান মুন্না |
চিত্রগ্রহণ: | কামরুল ইসলাম শুভ |
অভিনয়ে: | অপূর্ব , তটিনী, মিলি বাশার ও আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ৫৬: ০৫ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |
নাটকের শুরুতে দেখবো আবির এর বাবাকে। তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে স্কুল থেকে আবির কে আনতে গিয়ে অন্য এক মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে। মূলত শুরুতে দেখানো হয় যে আবিরের বাবা প্রচন্ড পরিমান এবসেন্ড মাইন্ডেড একজন মানুষ। আবির বড় হওয়ার পর আবির ও বাবার এই স্বভাব পায়। গালে সেভিং ক্রিম লাগিয়ে ভুলে যায়, অন্য কাজ করে। মোবাইল কোথায় রাখে ভুলে যায়। নিজের কখন কোথায় মিটিং সেটাও ভুলে যায়। এক বছর আগে তাকে এক মেয়ে প্রোপোজ করে, সেটার উত্তর ও জানাতে ভুলে যায়- এমন দশা! তার মা এই বাবা - ছেলে নিয়ে খুব পেরেশানি তে থাকে। আবিরের তল পেটে ব্যাথা করায় সে ডাক্তারের কাছে যায়, ডাক্তার হচ্ছে রিয়া। সেখানে ইউরিন স্যাম্পল জমা না দিয়ে ভুলে বাসার ফ্রিজে রেখে দেয়! 🙃
পরের দিন সেই ইউরিন স্যাম্পল জমা দিতে গিয়ে সে হেলমেট ছাড়া বের হয়। তাই রাস্তায় পুলিশ গাড়ি আটকে কাগজ নিয়ে নেয়, একটা বড় কেস ও দিয়ে দেয়। সেখান থেকে ফেরার পথে নিজের বাইক না নিয়ে এবসেন্ট মাইন্ড হয়ে পুলিশের বাইক নিয়েই রওনা দেয়! রাতে যথারীতি পুলিশে থানায় নিয়ে যায়। তখন আবির ডাক্তার রিয়াকে কল দেয় হেল্পের জন্য। রিয়া যেহেতু ডাক্তার এবং তার এই এবসেন্ট মাইন্ড এর বিষয় টি জানে, সে থানায় এসে আবিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওদিকে আবির বাসায় গিয়ে কি বলবে, নারভাস নেস এ বাসায় যেতে পারবে কি না এসব নিয়ে প্রচুর প্রেশার ফীল করে তাই রিয়াকে রিকুয়েষ্ট করে আরেকটু ফেভার করে তার বাসা পর্যন্ত গিয়ে সিচুয়েশন টা সালাম দিতে। রিয়া প্রথমে মানা করে দিলেও পরে মায়া হয় এবং রাজি হয়ে তার বাসায় যায়। গিয়ে দেখে টেনশনে আবির এর আম্মু অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাকে চিকিৎসাও করে রিয়া। এভাবে বাসায় সকলের সাথেও পরিচিত হয়।
পরবর্তীতে রিয়া আবিরের প্রতি সম্পর্ক বেশ ভালো গভীর হয়। আবিরের অন্য কিছু মনে না থাকলেও রিয়ার সবকিছু মনে থাকে। আবিরের মায়ের ও রিয়াকে ভীষণ পছন্দের। এক সময়ে রিয়াই আবির কে বোঝায় যে সে আবিরকে ভালোবাসে। আবিরও বলে যে সে রিয়াকে কখনো ভোলে না, ভুলবেও না। এক পর্যায়ে রিয়া তার বাসায় আবিরকে ডাকে রিয়ার আব্বু- আম্মুর সাথে পরিচয় করে দেয়ার জন্য। আবির টেনশনে এবসেন্ট মাইন্ড হয়ে উত্তরার বদলে গাজিপুর চলে যায়!! রিয়া ফোন দেয়ার পর হুশ হয়! এবং রিয়ার বাবা -মা ও বোঝে যে ছেলের কিছু গরমিল আছে। আবির আসার পর আবিরকে জিজ্ঞেস করে এমন ভুল কি সবসময়ই হয় কি না! পরে আবির গড়্গড় করে বলতে থাকে যে মাঝে মাঝে প্রেসারে থাকলে বা টেনশনে এমন ভুল হয়ে যায়! তবে রিয়াকে আবির খুব ভালোবাসে। রিয়াকে বিয়ের পর বা কোনো প্রেসারেই ভুলে যাবে না। খুব ভালো রাখবে। এসব শুনে রিয়ার বাবা মা রাজি হয় এবং আবিরের বাবার কন্টাক্ট নাম্বার রিয়ার কাছে দিয়ে দিতে বলে। এভাবেই নাটকটির হ্যাপ্পী এন্ডিং হয়।
ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকটি আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। নাটকটি শুরু থেকেই যথেষ্ট ফানি ছিলো, শেষ পর্যন্ত হাসির ই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এমন পরিমাণ এবসেন্ট মাইন্ডেড হলে খুবই মুশকিল হয়! তবে বিনোদনের দিক থেকে দেখলে বেশ মজার কেটেছে নাটকের পুরো সময়টুকু। আপনারা মুড ফ্রেশ করতে চাইলে দেখতে পারেন।
ব্যাক্তিগত রেটিং : ৯ /১০
নাটকের লিংক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে নাটকটা বেশ দারুন। আমি নাটকটা এর আগে কোনদিন দেখিনি। তবে আপনার মাধ্যমে নাটকটা দেখার সুযোগ পেলাম। নাটকটা দেখে যেন মন ভরে গেল। এমনিতে অপূর্ব নাটকগুলো অনেক রোমান্টিক হয়ে থাকে। এই জাতীয় নাটকগুলো আমি বেশি পছন্দ করি।
এটাকে রোমান্টিক নাটক বলার চেয়ে কমেডি নাটক বলাই ভালো আমার মতে।
আমি যদিও অপূর্বর নাটক দেখি না তবে তটীনির অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি দেখা হয়নি দিদি।তবে খুব শীগ্রই নাটক টি দেখে নিবো।কারণ নাটকের রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর একটি নাটক।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আশা করছি নাটকটি দেখলে আপনি ইঞ্জয় করবেন সময়টুকু। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।