মোমো হাউজ & জুস বারে মোমো খাওয়ার অভিজ্ঞতা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ৩ জানুয়ারি, ২০২৫|| শুক্রবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। আশা করছি সবাই জেকে বসা শীতকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন! যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
শীতকালের মজাই হচ্ছে নানা ধরনের খাওয়া দাওয়া! নানা রঙের সবজি থেকে শুরু করে নানা রকমের পিঠে- পুলির বাহার শীতকালের প্রধান আকর্ষণ! আবার বিকেলের দিকে চা এর সাথে মুচমুচে কিছু মিছু, কিংবা ঝাল ঝাল কিছু না হলে যেনো কেমন ঠিক জমে না বিকেল কিংবা সন্ধ্যা টা! শীতের সময়ে তো আমার সবসময় ই কিছু না কিছু খেতে মন চায়! আপনাদের কি অবস্থা, কে জানে! বিশেষ করে গরম গরম খাবারগুলো তো অতুলনীয় লাগে! গরম গরম খাবারের মধ্যে আমার আবার অনেক বেশি পছন্দের আইটেম হচ্ছে মোমো। এই মোমো পছন্দের আরেকটি কারণ হচ্ছে এটি যেমন মজাদার, তেমনি অন্যান্য পশ্চিমা ফাস্ট ফুডের তুলনায় বেশ হেলদিও। আবার আমি যে এলাকায় থাকি, সেই এলাকায় দারুণ দারুণ সব দোকান রয়েছে যা মোমোর জন্য বিখ্যাত! সব মিলিয়ে আমার প্রায় ই মোমো টা খাওয়া হয়।
এইতো কিছুদিন আগেই দুজনে মিলে গিয়েছিলাম নূরজাহান রোড এ অবস্থিত
তেমন ই একটি মজাদার মোমো কার্ট এ মোমো খেতে। আমার হাজবেন্ড এর আবার মোমো একদম পছন্দ না, মূলত আমার পছন্দের জন্যই নিয়ে যায় 😋। আমিই খাই, আমার প্লেট থেকে একটা কি সর্বোচ্চ দুটো মুখে দিলে দিলো, না দিলে নাই! যাই হোক, সেদিম যে দোকানে গিয়েছিলাম, নাম- মোমো হাউজ & জুস বার। ওদের নানা রকমের মোমোর ভ্যারিয়েশন আছে। তবে সবগুলোই চিকেন মোমো। ভেজ মোমো আমাদের বাংলাদেশে একদমই প্রচলিত না। আমার ওত ভেরিয়েশন এর চেয়ে নরমাল বা রেগুলার মোমো টাই বেশি পছন্দের। তবে সেদিন চীজ মোমো টা অর্ডার দিয়েছিলাম। ওই যে, শীতকালের ডিমান্ড! সটীম মোমোর উপর দিয়েই আলাদা করে প্রতিটার উপর কিছুটা চীজ এবং তিল ছিটিয়ে দিয়েছিলো। ওদের মোমোর ভেতরের টফিং টা বেশ ঝাল ঝাল এবং মেশ মজাদার ই ছিলো। সাথে ওরা চার ধরনের সস দেয়। সস গুলোও মজার ছিলো। তবে সবচেয়ে বেশি মজা ছিলো গ্রীন কালারের সস টা। আমার হাজবেন্ড অবশ্য সেদিন দুটো মোমো ভাগ বসিয়েছিলেন। বাকিগুলো আমিই সাবাড় করে দিয়েছি। এই দোকন টার ডেকোরেশন কিছুটা চেঞ্জ করেছে। আগে যখন গিয়েছিলাম ওয়ালে শুধু হলুদ কালারের পেইন্ট ছিলো। এবার গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু ডেকোরেশন এবং লাইটিং ইফেক্ট এড করেছে। যা বেশ ভালোই লেগেছে। একদম নতুন লুক এনে দিয়েছে!
যাই হোক, এই ই ছিলো সেদিনের মোমো খাওয়ার অভিজ্ঞতা। আজ আর আমি বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আমার ঠিক আপনার মতই শীতকালে কিছুক্ষণ পর পরে খিদে পেয়ে যায়। আমিও চেষ্টা করি মুচমুচে কিংবা ঝাল জাতীয় কিছু খাবার খাওয়ার। মমো খাবারটি আবারও ভীষণ পছন্দের। আপনি চমৎকার একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারটি উপভোগ করেছেন এবং আমাদের জন্য ভীষণ সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সাথে তো খাবারের বিষয়ে আমার বেশ মিল রয়েছে ভাইয়া! 😋 জেনে ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর করে আপনার আনন্দ ঘন সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আমি নিজেও কিন্তু মম খেতে বেশ পছন্দ করি । আপনি দারুন সুন্দর করে মম মম খাওয়ার মূহূর্ত তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য আপু।