আমার Superwalk আপটেড সপ্তাহ- ১
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ || সোমবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। ওই মাথা ব্যাথা নিয়েই আছি আজ সকাল থেকেই। তাই খুব বেশি কাজ করা হয় নি আজ। তবে এখন কিছুটা ভালো লাগায় হাজির হয়ে গেলাম পোস্ট করতে। কদিন আগে বলেছিলাম চেষ্টা করবো বছরের বাকি যে কটা দিন পোস্ট যেন বাদ না যায়, সেটা মেইনটেইন করার। নিজের কাজে নিয়মিত হওয়ার। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আমার গত সপ্তাহের Superwalk এর আপডেট নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
আজ সোমবার। যে সপ্তাহে আমাদের সুমন ভাই প্রথম বার Superwalk এপস টা নিয়ে বলেন, সে সময় ই আমি এপ টি নামিয়ে নিয়েছিলাম। কারণ আমি এমন একজন মানুষ, আমার আসলে বাহিরে খুব একটা বের হওয়া হয় না। তাই আলাদা ভাবে হাটাহাটি ও হয় না। superwalk এর কল্যাণে যদি এবার থেকে কিছুটা হাটাহাটি হয়, তবে তো ভালোই! এই সুযোগে হাটাহাটি ও হলো, কিছুটা বাড়তি আর্নিং ও যদি হয়, মন্দ কি! ভালোই তো!
একদম প্রথম ছবি, যেটা ডিসেম্বর এর ১৬ তারিখে তোলা। এরপর থেকে আমি পরপর সাত দিনের superwalk এর হাটাহাটির স্ক্রিনশট শেয়ার করলাম। আমি এখনো superwalk এর বেসিক মুডেই রয়েছিম গতকাল ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার m এবং c পয়েন্ট সর্বশেষ স্ক্রিনশট এই দেখা যাচ্ছে। যদিও অন্যান্য অনেকের তুলনায় কম ই, তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে superwalk এপ নামানোর পর কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে।
উপকার হয়েছে এভাবে যে আমরা যারা সবসময় ঘরেই থাকি, টুকটাক কাজ তো করা হয় ই, কিন্তু সেগুলো করার সময়টায় তো সেভাবে মোবাইল হাতে নিয়ে করা সম্ভব হয় না। তাই যতটুকু সময় ফ্রি হয়ে হাটাহাটির উদ্দেশ্যে হাটাহাটি করা হয়, সেটুকু সময়েই মোবাইল হাতে নিয়ে হাটাহাটি করেছি এবং সেই স্টেপটুকুই কাউন্ট হয়েছে। এই হাটাহাটি আমার superwalk এর কল্যাণ এই হয়েছে। না হলে হয়তো ফ্রি সময়ে এইটুকু হাটাহাটি ও হতো না! তবে সামনের সপ্তাহ থেকে আমি চেষ্টা করবো আরেকটু বেশি হাটাহাটি চালিয়ে যাওয়ার। দেখা যাক, কতটুকু কি হয়। সামনের সপ্তাহের আপডেট এ তো আপনাদের সাথেও শেয়ার করবোই।
যাই হোক, আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার Superwalk এর স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। আপনি প্রত্যেকদিন বেশ ভালোই হাঁটাহাঁটি করেন আপনার স্ক্রিনশট গুলো দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য হাঁটাহাঁটি করা সত্যি বেশ প্রয়োজন। আবার হাটাহাটি করে আমরা যদি অর্থ উপার্জন করতে পারি তাহলে তো কোন কথাই নেই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তা ঠিক বলেছেন যে স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে প্রত্যেকের ই নিয়মিত হাটাহাটি করা টা প্রয়োজন।