লাইফ স্টাইল :- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখার মুহূর্ত। পর্ব ১
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক ইচ্ছা ছিল রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে যাব। সেই সুযোগটা আজকে হয়েছে। তাই যাওয়ার থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পর্ব আকারে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়তোবা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে তারা সবাই এটা সম্পর্ক অবগত আছেন। আমার জেলা মেহেরপুর আইডি কুষ্টিয়া জেলায়। যদিও এটা আমার জেলা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তারপরও সময় সুযোগ করে ওঠা হয় না। অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় কিন্তু আবার হবে না। যাহোক অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে আজকে একটু সময় বের করতে পারছিলাম। আর সে সময়টা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের মেহেরপুর থেকে ত্রিমুহনীতে যেতে সময় লাগে প্রায়ই এক ঘণ্টার উপরে। সেখান থেকে আবারও একটা বাসের যেতে হয়। আমাদের ওখান থেকে মোট ভাড়া নেই ষাট টাকা। আবার আবার ত্রিমোহনী থেকে রূপপুর পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া নেই। অবশ্য এটা দেখার জন্য আমি নিজেই একা গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় বাসের মধ্যে লালন সাহেব ব্রীজের একটি ফটোগ্রাফি করেছি। বাসের মধ্যে দিয়ে ব্রিজের দৃশ্যটা অপূর্ব লেগেছে নিজের কাছে। হয়তোবা এটা আপনাদের ভালো লাগতে পারে। প্রকৃতির সৌন্দর্য সব সময় ভালো লাগে কিন্তু সময় সুযোগের কারণে প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করা যায় না। কিন্তু তারপরও আমাদের উচিত মাঝেমধ্যে এই প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা।
বাড়ি থেকে যখন বের হয়েছিলাম তখন বাজে সকাল ছয়টা। বেশ সকাল-সকাল উঠে নাস্তা পানি করে রওনা দিলাম। সকাল সকাল বাস পাওয়াটা বেশ কঠিন। রাস্তার পাশে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ একটা সিএনজি পেলাম। সেই সিএনজি করেই ত্রিমোহনী পর্যন্ত গেলাম। যেহেতু এই প্রথম যাচ্ছিলাম তাই সিএনজি ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই সম্পর্কে। তিনি আমাকে যে ডিটেইলস দিল সেই ভাবেই আমি সেখানে গেলাম। ত্রিমোহনী থেকে বাস কাউন্টারে টিকিট কাটলাম। আটটা বাজতে ১০ মিনিট বাকি ছিল ঠিক সেই সময় বাস পৌঁছালো। এরপরে বাসে চললাম এবং যেতে যেতে পাশে একজন ব্যক্তি ছিল। আসলে জার্নি করলে অনেক সময় ঘুম আসে আর সেই দৃশ্যটি ব্যক্তির মধ্যে ফুটে উঠেছিল। যদিও কোন ব্যক্তির অবসরে ফটো করা উচিত নয় কিন্তু আপনারা ভাবছেন যখন আমি ফটো করি তার আগে উনি জেগেছিল ফটো করার সময় উনি এমন পজিশনে আসছিল। যাইহোক বাস তার নিজের গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল আমিও বেশ মজায় ছিলাম। সকালবেলা প্রকৃতি দেখতে দেখতে গিয়েছিলাম। এমনিতেই সকালবেলা মনোরম পরিবেশ এরপর ঠান্ডা আবহাওয়া সব মিলে বেশ ভালো লাগছিল।
প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিত চলে এটা আমরা সবাই জানি। এইতো বেশ কিছুদিন আগেই নদী-নালা গুলো পানিতে একাকার হয়ে গিয়েছিল। আজকে যখন দেখলাম নদীর এই দৃশ্য তখন সত্যিই আমি অবাক হয়ে গেলাম। একদিকে পানি আরেকদিকে ভাটা পড়ে গেছে অর্থাৎ চরে পরিণত হয়েছে। অবশ্য আমি একটু জানি এই বিষয়টা সম্পর্কে যে এখানে যখন চলে পরিণত হয় তখন কিন্তু এরা এখান থেকে বাড়ি ওঠায়। প্রাকৃতির এই নির্মম পরিস্থিতি বেশ কিছু সময় মানুষকে কাঁদিয়ে যায় আবার কিছু সময় মানুষকে ভাসিয়ে দেয়। বন্যার এই পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা কি হয়েছিল আপনারা সবাই জানেন এবং সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন। এই সমস্ত জিনিসগুলো দেখতে দেখতে যাচ্ছে এবং মনে মনে ভাবতে ভাবতে যাচ্ছি আল্লাহ সৃষ্টি কতই না সুন্দর। সৃষ্টির এই সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করেছে। সকালের প্রথম বাস যদিও লোকাল নয় তারপর লোকালের মতই যা ছিল তাই মাঝেমধ্যে বাসের মানুষগুলো একটু ক্ষেপে উঠেছিল। কিন্তু আমার ভালো লাগছিল কারণ আমি তো যাছে দেখার জন্য তাই যত আস্তে যাচ্ছিল বা থামছিল ততটাই আমার জন্য ভালো ছিল।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পদ্মা নদীর এই বেহাল অবস্থা দেখলে সত্যিই সেই ছোট্টবেলার কথা মনে পড়ে । পদ্মা নদীর যে গতিবেগ সেটা যেন সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনেক আগে গিয়েছিলাম। আপনি দেখছি সেখানকার কিছু দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো দেখে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভ্রমণ করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এই জায়গাগুলোতে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
অবশ্য এটা আমার প্রথম ছিল যাওয়ার তবে ভালো লেগেছিল বেশ ভালো উপভোগ করেছি ধন্যবাদ আপনাকে।