নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলংকার মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হয় আর এই ট্রসে যেতে শ্রীলংকা। শ্রীলঙ্কা প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেই। আসলে পিস দেখে প্রত্যেকটা ক্যাপ্টেন এবং কোচ তারা ডিসিশনটা নেই। তবে আমরা সবাই জানি টি-টোয়েন্টির খেলা অবশ্যই টার্গেটের জন্য বেশ ভালো কারণ রান দেখে খেলা যায়। যেহেতু স্বল্প ভারের খেলা তাই উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ দেয় না কিন্তু গুরুত্ব দেয় ওভারগুলোকে। বিপক্ষ টিম যত রান করুক না কেন সেই রানকে তাড়া করে খেলার একটা ভালো পজিশন বা একটা জায়গা তৈরি করা যায়। অবশ্য প্রথম ফিল্ডিং নিলে পরে ব্যাট করলে যে জিতবে এমনও কথা না। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কি হয়।

শ্রীলঙ্কা বোলিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে মনে হয় ভুল করে নাই কারণ প্রথম ওভারের দিকে তাদের চাপে ফেলে দেয়। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনিং ব্যাটিং খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তাই অল্প কয়েক ওভার এর মধ্যে তাদের দুই উইকেট হারায়। খেলা যাই হোক না কেন আর ওভার যাই হোক না কেন প্রথমে দেখে যদি উইকেট হারিয়ে ফেলে তাহলে যেকোনো দল একটু চাপে পড়বেই এটাই স্বাভাবিক। তবে উইকেট পড়লেই যে থেমে থাকতে হবে এমন ও না কারণ স্বল্পভাবে খেলায় যতটা পারা যায় রান এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই পর্যন্ত যা শ্রীলংকা বেশ চাপিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ডকে এতে কোন সন্দেহ নেই।

তবে খেলার টুইট টা তো তখনই শুরু হয় যখন শ্রীলঙ্কা নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেট নিয়ে নাই। অর্থাৎ খেলা যখন নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তখনই খেলা শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই বেটার। সত্যি বলতে এই সময় তারা এমন ভাবে দলের জন্য হাল ধরে যেটা তাদের প্রশংসা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা। মিসেল শেষ পর্যন্ত সে এমন একটা ইনিংস খেলে যা দলের জন্য খুবই একটা নির্ভরশীল টার্গেট নিয়ে আনে। অবশ্য আর এক হবার থাকতেই সে দৌড়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হয় তবে স্ট্যাম্পিং হলে কি হবে যেটা করার দরকার সেটা ঠিকই করে গেছে। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ১৭২ রান করে।

আমরা সবাই জানি t20 ম্যাচে ১৭২ রান খুব বেশি একটা রান নয়। আর শ্রীলংকা প্রথম জুটিতে যেটা শুরু করেছে তাতে মনে হয়েছিল এই রানটা কোন রানই নয়। ভাবতে পারেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০০ রানের উপর পার্টনারশিপ খেলছে এই দুই বেটার। তারা যেভাবে খেলছে মনে হয় না তাদের বিষ হবার পর্যন্ত খেলা লাগবে কারণ তখনও তাদের একটা উইকেট পড়ে নাই। তবে ক্রিকেট বলে একটা কথা শেষ বল পর্যন্ত বলে অপেক্ষা করতে হয় না জানি সেটাই ঘটে কিনা। তবে তাদের যে ব্যাটিং তাদের বোঝাই যাচ্ছে খুব সহজেই তারা এই ম্যাচটা জিতে যাবে এ পর্যন্ত তাই মনে হয়েছিল।

এই যে একটা কথা আছে ক্রিকেট খেলা শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যেখানে প্রথম পার্টনারশিপ ১০০ রানের উপরে শেষ পর্যন্ত তারা এই ম্যাচটি আর্ট রানে হেরে যায়। ভুলতেই পারেন কিভাবে কি সম্ভব আসলে ক্রিকেট খেলা সবই সম্ভব। নিউজিল্যান্ডের শেষের দিকে এই একই বলেন তারা একা কভারে দুই থেকে তিনটা করে উইকেট নিয়েছে। আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স বাই নিউজিল্যান্ড বোলিং। খেলাটি যখন দেখছিলাম তখন মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড খুব সহজেই জিতে যাবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলাটি দেখে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেছি। যে পরিস্থিতি ছিল তাতে খুব সহজে ছিলাম জিতিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেই শ্রীলঙ্কাকে শেষ পর্যন্ত আট্রানে হারিয়েছে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।