আমার তোলা এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০৪ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।

১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৫ হিজরি। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু


বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।



১ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241219_103843.jpg

লোকেশন

ফুল হল সৌন্দর্যের প্রতীক আর এই ফুলকে সবাই ভালোবাসে। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। তবে শীতকালীন সময়ে বেশ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায় আর এই ফুলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল হলো গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের সৌন্দর্য অন্যরকম আর গাঁদা ফুলের বিভিন্ন ধরনের রং রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলুদ। এই ফুলগুলো শীতের সময় প্রাইমারিতে দেখা যায়। আর গাঁদা ফুলের চাষটাও কিন্তু বেশি হয়ে থাকে শীত শীতের কালে। গাঁদা ফুল গাছের একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটা হল প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরে। বর্তমান সময়ে শীতে যখন গাঁদা ফুল ফোটে তখন গাঁদা ফুলের কিন্তু মালা তৈরি হয় আর এগুলো বিয়ে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে চলে। আর গাঁদা ফুলের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য এবং সুগন্ধ রয়েছে যেটা সবাইকে বিমোহিত করে।


২ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241215_082906.jpg

লোকেশন

কিছুদিন আগে লালন সাহেব ব্রিজে গিয়েছিলাম যাবার পথে নিজ থেকে একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যখন ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন খেয়াল করি নাই কিন্তু ফটোগ্রাফি করার পরে দেখতে পেলাম অনেকগুলো শালিক পাখি। এটা দেখার পরে নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। তবে যখন নিচ থেকে উপরের দিকে ব্রিজে উঠছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফারটা করেছিলাম আসলে যখন লালন শাহ ব্রিজ নিজ থেকে উপরের দিকে যায় তখন খুবই ভালো লাগে। ব্রিজের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। আমার মনে হয় যারা লালন শাহ ব্রিজ দেখেছেন তারা সবাই এই সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।


৩ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241213_163007.jpg

লোকেশন

প্রত্যেকটা অঞ্চলে কোন না কোন খাবার খুব জনপ্রিয় হয়ে থাকে। জনপ্রিয় সাথে সাথে তার কিন্তু একটা কদর থাকে। ঠিক তেমনি একটা খাবার এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিয়াজও। আমাদের মেহেরপুর জেলায় বামুন্দি বাজার থেকে কয়েক কিলো সামনে একটা বাজার আছে । সেই বাজারে পেঁয়াজু খেয়ে আমার মনে হয় না এমন কোন লোক নেই যে পরবর্তীতে আবার না যে পারবে। বর্তমান সময়ে দেখবেন পেয়াজও শুধু নামেই পেঁয়াজ তৈরি করা হয় আলু অথবা পেঁপে দিয়ে। দামটাও নাই নাগালের বাইরে কিন্তু এরা পেঁয়াজু তো পেঁয়াজ দিয়েই তৈরি করা হয়ে থাকে এবং খেতে এতটাই সুস্বাদু যারা খেয়েছে তারা জানে এর জনপ্রিয়তা এবং সম্পর্কে। আপনাদের যদি কখনো ইচ্ছা হয় তাহলে আপনার এখানে এসে এই পেঁয়াজু খেতে পারেন।


৪ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241206_101712.jpg

লোকেশন

এই গাছটি সম্পর্কে আপনাদের বর্ণনা করবো এই গাছটি হল মসলার বাকলা গাছ। অর্থাৎ আমরা যে মসলা খেয়ে থাকে রান্না করে অর্থাৎ মাংস বা অন্যান্য তৈরি তরকারিতে যে মসলার বাকলা দেয় সেই গাছ। গাছটির দেখতে যেমন সুন্দর তেমন বেশি গন্ধময়। প্রথম যখন মসলা বা বাহফল আমরা দেখেছি তখন ভাবতাম এটা কিভাবে তৈরি করা হয় কিন্তু যখন নিজেদের বাড়িতে এই গাছ রয়েছে অর্থাৎ আমার নিজের বোনের বাড়িতে তখন বুঝতে পারো আসলে কিভাবে তৈরি করা হয় আসলে এই গাছের বাকল দিয়েই তৈরি হয় এই বাকলা । যদিও আমরা যেটা ক্রয় করে থাকি সেগুলো কিন্তু আসল বাকলা নয় কারণ এগুলোকে জ্বালিয়ে তার রস বের করে নেয়া হয়।


৫ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241215_163042.jpg

লোকেশন

লালন সাব ব্রিজ পার হওয়ার সময় একটা দৃশ্য দে চোখে পরলো আর সেটা হলো ভাটা। এই ভাটা হলো ইটের ভাটা নয়, এই ভাটা হলো জোয়ার ভাটার খেলা। এই তো কিছুদিন আগেই সারা বাংলাদেশ পানিতে ভেসে গিয়েছিল। নদীগুলো ছিল উত্তাল যেখানে মনে হয়েছিল ভয়ঙ্কর রূপ। সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু যে পরিবর্তন ঘটে তা তার প্রমাণ। কিছুদিন আগে যেখানে পানিটা ছিল ভরপুর সেখানে আজকে শুধু বালির চর জমে রয়েছে। হয়তোবা আবারও কোন একদিন এই চর ভরে যাবে পানিতে। পৃথিবীর এই নিয়ামত আর এই নিয়া খেলা বোঝা অনেক দায়।


৬ নং ফটোগ্রাফি।

IMG_20241206_101638.jpg

লোকেশন

এর আগেই আমি আপনাদের সামনে মসলার গাছের সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেছি আর এটা হল এই মসলা গাছের পাতা। এই ফটোগ্রাফি টা করার উদ্দেশ্য হলো একটাই আপনারা হয়তোবা অনেকেই দেখেছেন বা না দেখতে পারেন কিন্তু আমি দেখে অবাক হয়েছি, গাছের পাতার রং ডাব অনেকটা ফুলের মত দেখতে এতটাই চমৎকার আমি প্রথম থেকে অবাক হয়েছিলাম যে এমন হয়। আসলে সৃষ্টির প্রত্যেকটা সৌন্দর্যের ভিন্ন ভিন্ন রকম সুন্দর রয়েছে যেটা প্রত্যেকটা মানুষকে আকর্ষণ করে এবং আকৃষ্ট করে। আমার মনে হয় এই গাছের পাতাটা আপনাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে ভালোলাগারই কথা কারণ সৌন্দর্য সব সময় সুন্দর।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি।


ডিভাইসের নামPoco
মডেলM2
ফটোগ্রাফার@tuhin002
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 3 months ago 

দারুন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনার এই অ্যালবামের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো। ব্রিজের ছবি থেকে শুরু করে পেঁয়াজের বড়া, সবকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি দিয়ে আপনার অ্যালবামটি ভরিয়ে তুলেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।

 3 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। আর সব সময় চেষ্টা করি সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন রকমের খাবারের রকমারি লক্ষ্য করা যায়। তবে তবে আমার কাছেও পিয়াজু প্রিয় একটি নাস্তা। ফুলের ফটোগ্রাফি সহ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চোখ জুড়ানোর মত হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম চমৎকার ফটোগ্রাফি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্যে।

 3 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর তুলেছেন আপনি। মসলা গাছের পাতা তো দেখে মনে হলো তেজপাতা। এই গাছটা আমাদের বাড়িতেও রয়েছে তাই চিনি।

সব কটা ছবি ভালো লেগেছে তবে পেঁয়াজের ছবিটা সবথেকে বেশি জ্বলজ্বল করছে চোখের সামনে।

 3 months ago 

পেঁয়াজের ফটোগ্রাফি টা দেখতে যেমন ভালো লেগেছে খেতেও কিন্তু খুবই সুস্বাদু ছিল আপু।

 3 months ago 

আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমি খেয়াল করে দেখলাম পোকো এম টু মডেলের ক্যামেরা দিয়ে ফটো ধারণ করেছেন। এইজন্য ফটোগ্রাফি বেশ পরিষ্কার ছিল। এই মডেলটা ক্যামেরা বেশি উন্নত, বেশ অনেকগুলো ক্যামেরা থাকায় ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। আর একই সাথে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি হওয়াই ব্লগটা আমার কাছে অসাধারণ লাগলো।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

Screenshot_2024-12-19-21-23-48-584_com.android.chrome.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

বাহ মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বড়ার ফটোগ্রাফি। খেতে যেমন সুস্বাদু ছিল ফটোগ্রাফি ঠিক তেমনি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

এটা বলার কিছু নেই ভাগ্নে আসলে বড়াটা এতটাই সুস্বাদু ছিল খেয়ে মনে হচ্ছে আবারও যদি যেতে পারতাম । কিন্তু সময়ের জন্য সেটা তো হয়ে ওঠে না ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।এইরকম এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি উপভোগ করতে পারি।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।