নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব -১১।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ১১"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

যেকোনো কাজ যদি পাঁচজন করা হয় তাহলে কাজটা যেমন সহজ হয়, তেমনি আবার কিছু কিছু সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কাজটি কখন কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যখন সবাই একা একা নিজের স্বার্থ খোঁজে। নায়ক হওয়ার জন্য যখন চারজন বায়না ধরেছে তখনই তাদের মধ্যে সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। এখন তারা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে এখন সবাই বলে আমি নায়কের পাঠ করবো। সবাই চাই নায়ক অভিনয় করতে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ সংখ্যা তৈরি হয়েছে। একে অপরের সাথে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, যে ভালো অভিনয় করতে পারবে সেই নায়ক হবে। আর এটাই হচ্ছে তাদের শেষ কথা এবং তারা এটার জন্য পরিচালকের কাছে চলে যায়।

পরিবারে কেউ যদি নায়ক হয় বা নায়ক হওয়ার অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত নেয় তাহলে পরিবারের জন্য বেশ ভালো একটা ব্যাপার। এই বিষয়টি ঘটেছে তার ছোট বোন সে বলছে ভাইয়া যদি নায়ক হয় এবং ভালো অভিনয়ের পারফর্ম করতে পারে তাহলে আমি একদিন সুযোগ নিব। এই কথা শোনা মাত্রই তার মা রেগে যায়। বলে তুই চুপ থাক খুব বেশি বকর বকর করিস। তার মায়ের কথা শুনে সে বিষয়ে অসন্তুষ্ট হলো। তার কথা হল তার ভাই যদি নায়ক হয় তাহলে তো আমাদেরই ভালো। আমরা তো ভালো থাকতে পারবো। সবাই আমাকে বলবে অমুকের ভাই নায়ক হয়েছে।

শহর থেকে যে দুজন ম্যাডাম এসেছিল তার মধ্যে একজন অসুস্থ। সে অসুস্থ থাকার কারণে তার বড় বোনের বয়ফ্রেন্ড তাকে দেখতে এসেছে তার অবস্থা দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করা হল তোমার কি হয়েছে তখন সে বলছে হঠাৎ করে মাথাটা ঘুরে গেল শরীলের মধ্যে কেমন যেন করছে। তখন সে বলল একটু রেস্ট নাও তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। এই বলে তার বয়ফ্রেন্ড চলে যায়। যাওয়ার সময় এক লোকের সাথে দেখা হয়। বলে তুমি এখানে কি করছ? তার দেখাতে সে বেশটুকু অসন্তুষ্ট ছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।

যেহেতু তারা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। আর এই কারণে তারা চাচ্ছে একটা মোটা ভাবে একটা পিকনিক করতে। আর পিকনিক করার জন্য বেশ খরচ হবে। তখন তাদের সিনেমা করতে তো অনেক টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে পিকনিক করতে গিয়ে যদি সব টাকা শেষ হয়ে। তখন আখম হাসান বলে টেনশন করার কারণ নাই আমি তো আছি। টাকা যা আছে সবকিছু আমি দেব। কিন্তু আজকে বড় ধরনের একটা পিকনিক করবোই। কারণ খাওয়া-দাওয়া করতে হবে তারা বলল আচ্ছা ঠিক আছে। যেহেতু খাওয়া দাওয়া করা হয় নি তাই বড় পিকনিক হয়ে যাক।

নাটকের মধ্যে একজন গায়ক রয়েছেন। নিশি রাতে চন্দ্র যখন আকাশে উদিত হয় তখন তিনি বসে বসে একা গান গেয়ে থাকেন। আজকেও তিনি গান গেয়েছিলেন ঠিক তখন ঘরে বসে থাকা দুই বোনের মধ্যে এক বোন গান শুনে আর ঘরে থাকতে পারে না বাইরে চলে আসে। এসে দেখেন গান গাইছেন। গান শুনে তিনি বিভর হয়ে যান। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে তার দিকে একটু পরেই গান শেষ হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখেন এক ম্যাডাম তার পাশে বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কেন এখানে এসেছেন তখন সে বলে আপনার গানগুলো আমার খুব ভালো লাগে। আপনি খুবই চমৎকার গান গেয়ে থাকেন। তাই ঘরে মন দাঁড়ায় না চলে আসে ছুটে আপনার কাছে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।