পুলিশের দুর্নীতি ও এর প্রতিকার (তৃতীয় পর্ব)
তাহলে পুলিশ বাহিনীর সবার কাছে একটা বার্তা যাবে যে দুর্নীতি করে কখনো পার পাওয়া যাবে না। তাহলে নতুন যারা আছে তারা দুর্নীতি করতে খুব একটা উৎসাহিত হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কখনো পুলিশের বিপক্ষে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুলিশ কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাকে শাস্তি হিসেবে বদলি করে দেয়া হোতো। একটা অপরাধের শাস্তি কিভাবে বদলি হতে পারে? পুলিশ কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে বা ঘুষ-বানিয্যে জড়িত হলে তাকে ন্যূনতম সাসপেন্ড করা উচিত। তারপর তার নামে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন তাকে চাকরি থেকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা উচিত।
কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে একটা কথা প্রচলন রয়েছে। সেটা হচ্ছে সরকারি চাকরি কখনো যায় না। আমাদেরকে আইন বদলানোর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কর্মরত লোকজনদের মাঝ থেকে এই ধারণাটা মুছে ফেলতে হবে। এখন আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি পুলিশের ভেতর কি কি পরিবর্তন আসে সেটা দেখার জন্য। যদিও এখন পর্যন্ত খুব একটা ইতিবাচক কোন কিছু শুনতে পাইনি। এখন দেখা যাক কি হয়।(সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উর্ধ্বে গিয়ে "পুলিশ জনগণের বন্ধু"শ্লোগানটির পূর্ণতা লাভ করুক।
পুলিশের দুর্নীতির প্রতিকার নিয়ে দারুণ আইডিয়া শেয়ার করেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমান সরকার এই ব্যাপারে কেমন ভূমিকা রাখে,সেটাই এখন দেখার বিষয়। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো তিন পর্বের এই ব্লগ পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।