বাচ্চাদের জগৎ দেখানো উচিত

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমাদের আগের মানুষদের যদি দেখি কিংবা আমরা যদি আমাদের ছোটবেলার কথায় চিন্তা করি। সে ক্ষেত্রে আসলে আমাদেরকে বাইরে থেকে ঘরে ঢুকানোটাই মুশকিল হয়ে যেতো। অর্থাৎ আমরা সব সময় চিন্তায় থাকতাম যে কি করে একটু ফাঁকফোঁকর দিয়ে মা বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাইরে খেলতে যাওয়া যায়। আর আমরা যে এই বাইরে যেতাম। তা কিন্তু কোনো খারাপ কাজের জন্য যেতাম না কিংবা কোনো খারাপ মানসিকতা নিয়েও যেতাম না। আমরা শুধুমাত্র খেলার জন্যেই ছটফট করতাম এবং খেলার জন্যই বাইরে যেতাম।

কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষিতে ঘটনাটা একেবারেই উল্টো হয়ে গিয়েছে। আজকালকার বাচ্চাদের যদি আমরা খেয়াল করি। তাহলে দেখি যে আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সারাক্ষণ শুধুমাত্র মোবাইল, টেলিফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি নিয়ে বসে থাকে এবং তারা একটুও বাইরে যেতে চায় না এবং খুব দ্রুত এজন্য তাদের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে।

শুধু তাই নয়, আজকালকার বাবা মা এর মতে বাচ্চারা বাইরে না গেলেই সেফ। বাচ্চারা যতক্ষণ ঘরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে থাকবে। কিন্তু আমি মনে করি আজকালকার পেরেন্টরা এই জায়গাটাতেই ভুল করে। কারণ আমার মতে বাচ্চাদের অবশ্যই বাউরের জগৎটা দেখানো উচিত। তবে এটাও ঠিক যে এখন বাইরে জগত আগের মত নিরাপদ নয়। তাই আমি মনে করি সচেতন হওয়া উচিত এবং বাচ্চা কোথায় যাচ্ছে এবং সেই নিরাপদ জায়গাটিতে যাচ্ছে কিনা,সেটা আগে বাবা-মা এর নিশ্চিত করা উচিত।

কিন্তু বাইরের জগত খারাপ বলে একটা বাচ্চাকে একেবারে ঘরে বন্দি করে রেখে রাখাটা সত্যিই কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ এতে করে একটি অসুস্থ জেনারেশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এই ডিভাইস কিন্তু আমাদের যতো বেশি সব কিছুর সুযোগ করে দিয়েছে। ঠিক ততোটাই অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। আর তার মাঝে অন্যতম হলো এই যে বাইরে খেলাধুলা করা।

সেই সাথে আরেকটা ব্যাপার আপনারা নিজেরাই লক্ষ্য করে দেখবেন যে। আগের বাচ্চাগুলো যতোটা শক্তপোক্ত ছিলো। এখনকার বাচ্চাগুলো কিন্তু মোটেও এমন নয়। এখনকার বাচ্চারা অনেকটা ফার্মের মুরগির মতোন। একটু থেকে একটু কিছু হলেই অসম্ভব রকমের অসুস্থ হয়ে পরে। কারণ তাদের আসলে স্ট্রং করে গড়ে তোলাই হচ্ছে না।
Sort:  
 6 months ago 

আসলেই ছোটবেলা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পর আম্মু যখন ঘুমাতে বলতেন, তখন কিভাবে বের হবো বাসা থেকে, সেই চেষ্টা করতাম। কারণ বাসা থেকে বের হতে পারলেই তো একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা তো প্রায় সারাদিন মোবাইল এবং কম্পিউটারে গেমস খেলে। এতে করে অল্প বয়সেই চোখের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাছাড়া বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা করলে কিন্তু শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। তবে এখন খেলাধুলা করার জন্য মাঠ নেই বললেই চলে। তবুও যথাসম্ভব বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে না রেখে, বাহিরের জগত দেখাতে হবে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

বর্তমান বাচ্চাদের ঘরবন্দী করে প্রতিবন্ধী করে ফেলল প্রায়। বাচ্চারা বর্তমানে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। বাহিরে জগত সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। তাই বাচ্চাদের বাহিরের জগত সম্পর্কে ধারণা দেওয়া উচিত। মাঝেমধ্যে তাদেরকে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।