সফল প্রেমের গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)
দ্বিতীয় গ্লাস পরিবেশন করার আগে আখের রস বিক্রেতা মুখ থেকে মাস্কটা খুলে জহিরকে জিজ্ঞেস করলো স্যার আগে যেভাবে দিয়েছিলাম সেভাবেই দেবো? নাকি লেবু ছাড়া দেবো? জহির ছেলেটাকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে গেলো। ছেলেটার মুখ দেখে একেবারেই রাস্তার পাশের কোনো হকারের মতো মনে হচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে সদ্য কলেজ পাশ করা কোনো ধনীর ঘরের সন্তান। জহির তাকে বলল না আগে যেভাবে দিয়েছিলেন সেভাবেই দিন। ওটা আমার কাছে খেতে খুবই মজা লেগেছে। তখন আখের রস বিক্রেতা জহিরকে ধন্যবাদ দিলো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গ্লাসও জহির দ্রুত শেষ করে ফেললো। তারপর বিল মিটিয়ে জহির একটি রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরে গেলো। দুই তিন দিন পর আবার জহির বাস থেকে নেমে সেই আখের রস বিক্রেতার কাছ থেকে আখের রস খেলো। জহির খেয়াল করে দেখে সেদিন তার দোকানে তেমন কোনো কাস্টমার নেই। ছেলেটাকে প্রথম দিন দেখেই জহিরের কৌতুহল জেগেছে। তাই সে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করল আপনার চেহারা দেখে রাস্তার পাশের হকারের মতো মনে হয় না।
আপনার বাসা কোথায়? জহিরের কথা শুনে ছেলেটা মৃদু হাসে। ছেলেটা জহির কে জানায় তার বাড়ি পাশের জেলাতে। তখন জহির তাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কি লেখাপড়া করেছেন? তখন ছেলেটা জানায় সে এইচএসসি পাস করেছে। অনার্সে ভর্তি হয়েছিলো কিন্তু তারপরে আর লেখাপড়া করা হয়নি। জহির তখন তাকে জিজ্ঞেস করে যদি কিছু মনে না করেন লেখাপড়া না করার কারণটা কি জানতে পারি? তখন ছেলেটা বলে স্যার সে অনেক কথা। এতো কথা শুনতে গেলে আপনার রাত হয়ে যাবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাস্তায় কিছু কিছু মানুষকে দেখে আসলেই মনে হয় না, তারা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। অনেক সময় মানুষের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না, পারিবারিক অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে। দেখা যাক জহির আখের রস বিক্রেতার কাছ থেকে তার সম্পর্কে কি কি জানতে পারে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।