সততার পুরষ্কার ( দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ফাইলটা দিয়ে বলে বড়ো স্যার বলেছেন এই ফাইলটাতে তাড়াতাড়ি সিগনেচার করে ছেড়ে দিতে। রাশেদ পিওনের দিকে তাকিয়ে বলে তোমার কাজ আমার টেবিলে ফাইল দিয়ে যাওয়া। সেটা তুমি দিয়েছো এখন তোমার কাজ শেষ। ফাইলে কখন সিগনেচার করবো সেটা আমার বিবেচনা। স্যারকে গিয়ে বলবে আমি ফাইলটা ভালোমতো চেক করে কোন সমস্যা না পেলে অবশ্যই সিগনেচার করে দেবো। রাশেদ পিয়ন এর চেহারা দেখে বুঝতে পারে তার কথাগুলো পিয়নের খুব একটা পছন্দ হয়নি। পিয়ন তখন রাশেদের কাছ থেকে গিয়ে সরাসরি অফিসের বড় সাহেবের রুমে গিয়ে ঢুকে।

1000001426.png

তার দুই মিনিট পরেই রাশেদের কাছে ফোন আসে। রাশেদ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দেখে বড় স্যার তাকে ফোন দিয়েছে। রাশেদ ফোন রিসিভ করতেই তার বস তাকে তার রুমে যেতে বলে। রাশেদ তাড়াহুড়ো করে তার বসের রুমের দিকে রওনা দেয়। রাশেদ রুমে ঢুকে দেখে আগে থেকেই সেখানে একজন লোক বসে আছে। রাশেদ রুমে ঢুকতেই তার বস তাকে ধমকে জিজ্ঞেস করে একটা ফাইল পাঠিয়েছি সিগনেচার করার জন্য। সিগনেচার করে দাও নি কেন?

রাশেদ তখন উত্তর দেয় স্যার ফাইলটা তো আমি এখনো দেখতে পারিনি। আমি ফাইলটা ভালো মতো চেক করে দেখছি। কোন সমস্যা না পেলে এখনই সিগনেচার করে দিচ্ছি। তখন রাশেদের বস বলে তোমাকে এত কিছু বুঝতে হবে না এত কিছু দেখতে হবে না। তুমি এক্ষুনি ফাইলটা এনে এখানে বসে সিগনেচার করে দাও। রাশেদ সোজাসুজি তার বসের দিকে তাকিয়ে বলে। স্যার আমার ফাইলটাতে সিগনেচার করতে কোন সমস্যা নেই। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 3 hours ago 

রাশেদের বড় স্যার যে অসৎ লোক,সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। তবে রাশেদ ফাইল না পড়ে, এমনি এমনি সাইন করবে না মনে হচ্ছে। তাছাড়া এই ফাইলে নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে। তাই রাশেদের বড় স্যার তাড়াহুড়া করছে সাইন করানোর জন্য। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।