সব পেলেই স্বভাব নষ্ট?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন কিছু মতামত শেয়ার করি। যে মতামত গুলো নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছি নিজের জীবনের বিভিন্ন ধাপে ধাপে। তো তাই ভাবলাম, সেসব নিয়েই আজকে লেখালেখি করা যাক।
আচ্ছা বলুন তো, আপনি আপনার জীবনে কি সব কিছু পেয়েছেন? অর্থাৎ একটা মানুষ জীবনে যা চায়। তা কিন্তু কখনোই পায়না এবং এটা একটা বাস্তব সত্য কথা। যেমন ধরুন আমি নাম প্রকাশ করছি না। কিন্তু আমাদের এমন একজন পরিচিত মানুষ রয়েছে। যার আসলে টাকা-পয়সার কোনো অভাব নেই। সে হয়তো চাইলে দুনিয়ার সবকিছুই সে করতে পারবে। কিন্তু তার একমাত্র সুস্বাস্থ্যের অভাব। যেটা তার টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পারছে না।
ঠিক তেমনটাই, আমাদের প্রতিটি মানুষেরই কোনো না কোনো অভাব রয়েছে। কোনো না কোনো একটি জায়গায় সৃষ্টিকর্তা আমাদের পূর্ণতা দেননি। হয়তো অনেকের চেহারায় সমস্যা, হয়তো অনেকের চরিত্রের সমস্যা, হয়তো অনেকের আর্থিক অবস্থার সমস্যা অথবা হয়তো অনেকের কোনো অঙ্গে সমস্যা। আমার কাছে আসলে মনে হয় সবকিছু পেয়ে গেলে। অর্থাৎ কোনো কিছুর অভাব না থাকলে মানুষের স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়। তাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবনে কোনো না কোনো কিছুর একটা অভাব রেখেই দিয়েছেন। যার পিছনে আমরা ছুটতে ছুটতে বিভিন্ন খারাপ বিষয়ের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগ করতে পারি না।
আমরা সকলেই জানি যে শয়তান সব সময় মানুষকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে। আর সৃষ্টিকর্তা আমাদের বারবার পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে ফিরিয়ে আনেন সঠিক পথে। এই ব্যাপারটিও ঠিক তেমনটাই। অর্থাৎ যদি সৃষ্টিকর্তা কোনো মানুষকে তার চাওয়ার সবকিছুই দিয়ে দিতেন। তাহলে সে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতো খুব সহজে। তাই প্রতিটি মানুষের ই কোনো না কোনো লিমিটেশন অবশ্যই রয়েছে এবং এ লিমিটেশনের গুলোর জন্যই মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে, সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়,আমরা এটাও সকলে জানি যে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই কখনো কোনো ব্যক্তি যদি আসলে জীবদ্দশায় সবকিছুই পেয়ে যায়। তাহলে দেখা যাবে তার চিন্তা করার মতো কোনো কিছুই নেই। আর তখন তার মস্তিষ্কে বাসা বাঁধবে শয়তানি কর্মকাণ্ড। আর যে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে কিংবা যে মানুষের চিন্তা করার মতো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে সে কিন্তু কোজোভখারাপ চিন্তা ভাবনা করার খুব একটা সময় পাবে না। কারণ সে সবসময় তার ওই প্রয়োজন নিয়ে চিন্তা করবে।তাই আমার মনে হয় যে, সৃষ্টিকর্তা নিজেই সব সময় প্রতিটা মানুষকে কোনো না কোনো একটা অভাব দিয়েই থাকেন। যাতে করে আমরা পথভ্রষ্ট না হই।এটা অন্তত আমার মতামত,আপনাদের এ বিষয়ে মতামত অবশ্যই জানাবেন।