সফল প্রেমের গল্প (পঞ্চম পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এদিকে তাদের কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। কি করবে সাব্বির তাই চিন্তা করতে থাকে। তারপর সাব্বির অনেক চেষ্টা চরিত্র করে একটা দোকানে সেলসম্যানের চাকরি নেয়। সেই দোকান থেকে কিছু টাকা এডভান্স নিয়ে সে বস্তির মতো একটা এলাকায় মাত্র একটা রুম ভাড়া নিয়ে তাদের সংসার পাতে। কিন্তু দোকানের সেলসম্যান হিসেবে তার বেতন এতোটাই কম ছিলো যে সেটা দিয়ে তাদের দুজনের চলা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো। সাব্বির অন্য আরও দু এক জায়গায় চাকরি করে। কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে দুজনের তিন বেলা খাওয়ার টাকা জোগাড় করাও তার জন্য মুশকিল হয়ে যায়।


workout_20240506_223246_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত একদিন রাস্তার পাশের এক হকার তাকে পরামর্শ দেয় আখের রস বিক্রি করার। সে জানায় এই ব্যবসাতে বেশ ভালো লাভ। তখন সাব্বির তার সমস্ত অহংকার বিসর্জন দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে রাস্তার পাশের হকার হিসাবে আখের রস বিক্রি করবে। কিন্তু সেটা করতে হলেও তো পুঁজি দরকার। সাব্বির বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীর সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে। তার স্ত্রীর ও আইডিয়াটা পছন্দ হয়। কিন্তু টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে সাব্বির কিছুতেই সেটা বুঝে উঠতে পারে না।


নতুন এই শহরে তাকে কেউ টাকা ধার দেবে না। আবার কোনো চাকরি করে যে টাকা জমাবে সে উপায়ও নেই। কারণ চাকরি করে যে অল্প কিছু টাকা বেতন পায় সেটা দিয়ে তাদের খাওয়া পড়া চালানোই মুশকিল হয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সাব্বিরের স্ত্রী হাসিমুখে সাব্বিরকে জানায় তোমার ব্যবসার টাকা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। সাব্বির তখন অবাক হয়ে তাকে বলে তোমার কথার অর্থ আমি বুঝতে পারছি না।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 5 hours ago 

বর্তমান দ্রব্যমূল্যের যে দাম তাতে সংসার চালানো অনেক বড় দায়। সাব্বিরের সিদ্ধান্ত আখের রস বিক্রি খুবই চমৎকার এক সিদ্ধান্ত। তবে অচেনা শহরে ধার পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু সাব্বিরের ওয়াইফ কিভাবে টাকা ম্যানেজ করল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন ধারাবাহিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।