ছোটবেলার মধুর স্মৃতি

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ছোটবেলার মধুর স্মৃতি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আমাদের জীবনে যত স্মৃতি থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে মধুর স্মৃতি হলো এই শৈশব কালে স্মৃতি। শৈশবকালে আমরা সবাই খুব আনন্দে থাকি। কেননা শৈশবকালের আমাদের তেমন কোন টেনশন থাকে না এই পৃথিবী সম্পর্কে। আসলে এই সময়টাতে আমরা সবাই বিভিন্ন আনন্দ করি এবং বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের সাথে সারাদিন খেলাধুলা করি। আসলে এই সময়টাতে আমাদের বাইরের জগৎ সম্পর্কে কোন ধারণা থাকেনা। এছাড়াও আমরা সবাই মিলে একসাথে স্কুলে যাই এবং একসাথে সবাই স্কুল থেকে আবার বাড়ি ফিরি। আসলে এই সময়টার কথা এখন মনে পড়লে আমাদের সবার খুব কষ্ট হয়। কেননা বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের টেনশনে থাকি। একটা টেনশন হলো নিজের পরিবারকে কি করে ভালো রাখবো এবং অন্য টেনশন হলো কিভাবে নিজেরা একটু ভাল কাজের সন্ধান পেতে পারি। আসলে এভাবেই আমাদের টেনশন দিয়ে দিন শুরু হয় এবং টেনশন দিয়ে রাতের ঘুম আসে।

আসলে শৈশবকালের স্মৃতিগুলো যখন আমাদের মনে পড়ে তখন আমাদের মনটা আবার সেই শৈশবকালে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। আসলে সেই সব দিনগুলোর কথা মনে করে আমরা সবাই একটু হলেও আনন্দ পেয়ে থাকি। এছাড়াও শৈশবকালের বিভিন্ন ধরনের মজাদার ঘটনা থাকে যা আমরা কখনোই ভুলতে পারি না। আসলে অন্যান্য শহরে ছেলেদের অপেক্ষা আমাদের শৈশব জীবনটা অনেক বেশি ভালো ছিল। কেননা এই শহরের ছেলেরা তাদের শৈশবটাকে বেশি একটা উপভোগ করতে কখনোই পারেনি। তারা ইট পাথরের দেয়াল এর মধ্যে বড় হয়েছে এবং তাদের সেই শৈশব স্মৃতি বলতে তেমন কিছুই কখনো থাকে না। এছাড়াও আমরা যেহেতু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি তাই আমরা গ্রামের পরিবেশকে ভালোবেসেছি এবং গ্রামের পরিবেশের সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছিলাম। এছাড়াও যখন বিকেল হতো তখন সবাই বন্ধুবান্ধব মিলে মাঠের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম।


আসলে এখন আমরা বর্তমান সময়ে দেখতে পাই যে এখনকার শিশুরা কখনো মাঠে গিয়ে তেমন একটা বেশি খেলাধুলা করে না। আসলে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এতটা বেশি হয়েছে যে বাচ্চারা এখন সারাদিন ঘরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে। আসলে মোবাইল ফোনের গেমগুলো কিন্তু কখনো একটা শিশুর মানসিক বিকাশে কখনোই সাহায্য করে না। এছাড়াও বেশি মোবাইলে আসক্ত হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদিও আমরা সবসময় চেষ্টা করি যে সন্তানদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার জন্য। কিন্তু এখন তো আধুনিক যুগ এবং আধুনিক যুগের বাচ্চারা অনেক বেশি আধুনিক। আসলে এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় এইসব বাচ্চারা তাদের শৈশব জীবনটাকে মোটে উপভোগ করতে পারে না। আসলে এভাবেই তাদের ঘরের ভিতরে বন্দী দিন কাটাতে হয়।



এছাড়াও বর্ষার দিনে আমরা সব সময় গ্রামের ছেলে মেয়েরা মিলেমিশে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম বর্ষার ভিতরে। বিশেষ করে বর্ষার সময় মাঠের ভিতরে জল জমে যেত এবং সেই জলের ভিতরে আমরা ফুটবল খেলতাম। আসলে সেই সময়ের যে মজা সেই মজার কখনো কোনো ভাগ এবং তুলনা হবে না। একমাত্র আমরাই আমাদের শৈশবকালটাকে সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করতে পেরেছি। এছাড়াও শুধুমাত্র আমরা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা এবং বাড়িতে এসে কিছু খাবার দাবার খেয়ে আবার মাঠে গিয়ে খেলা করা এবং বিকেলবেলা বই নিয়ে পড়তে বসা এই সব ছিল আমাদের জীবনে। আসলে এভাবে আমাদের মধুর সময় গুলো কেটেছিল শৈশবকালে। এছাড়াও বেশি খেলাধুলা করার জন্য মায়ের হাতে মার খাওয়া। আসলে শৈশব স্মৃতির কথা বলতে গেলে আমার একটা পোস্টে কখনো শেষ হবে না। আসলে এক একজনের জীবনের শৈশবের স্মৃতি এক ধরনের হয়ে থাকে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  

আপনার গল্প পড়ে ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এই রকম গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।