উইনার বিহীন ম্যাচ!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল শ্রীলঙ্কার সাথে ইন্ডিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ছিল। টি২০ ম্যাচে তো শ্রীলঙ্কাকে হোয়াটয়াশ করে দিয়েছিলো আর এখন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে দেখা যাক হোয়াটয়াশ করতে পারে কিনা। তবে গতকালকের ম্যাচটা একপ্রকার উভয়পক্ষের উইনার হিসেবে বিবেচিত হয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক, আসলে এই ম্যাচটাতে শ্রীলঙ্কা সিদ্ধান্তটা ঠিক নিয়েছিল, কারণ কলম্বিয়ার মাঠটা অতটা সুবিধাজনক পিচ তৈরি না ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে। তবে একেবারে বোলিং বা ব্যাটিং পিচের মতো তৈরি করা তাও কিন্তু না। তবে যাইহোক, শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করতে এসে শুরুটা তেমন একটা ভালো করেনি। যদিও এই ম্যাচে ফরম্যাট একটু ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার আসলে কেউই তেমন ভালো ব্যাটিং পজিশনে নেই কয়েকজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ছাড়া।
এক নিশাঙ্কা নামের ব্যাটসম্যানটি একাই ভালো খেলে যাচ্ছে প্রতি ক্ষেত্রে। এই একমাত্র প্রথম থেকে ধরে ধরে খেলে গিয়েছে। ভারতের দিক থেকে বোলিং বেশ কয়েকজন ভালো করেছিল উইকেট নেওয়ার সাথে সাথে ইকোনোমিটাও মোটামুটি সাড়ে ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে রেখেছিলো। ওয়াশিংটন সুন্দর মেইডেন ওভার দিলেও আসলে পিটানি খেয়ে গিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার ৫০ ওভারের ম্যাচে আসলে সেকেন্ড পাওয়ার প্লে ওভারে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি, আসলে ২০-২৫ এর মধ্যে যেমন রান হওয়া জরুরি ছিল, সেটা হয়নি ঠিকমতো। তবে আসলে পিচটাও অতটা সুবিধার ছিল না রান করার ক্ষেত্রে। তবে ওদের রানের যে পরিস্থিতি ছিল লাস্ট সেকেন্ড পাওয়ার প্লে ওভার পর্যন্ত তাতে ২১০ বা তারও কম হিসেব করেছিলাম। কিন্তু তাদের নতুন দুনিত নামের একজন ব্যাটসম্যান নামিয়েছে সে একাই লাস্ট ১০ ওভারে রানটা প্রায় ৩০-৪০ রানের উপরে টেনে দিয়েছে, ফলে তাও একটা মানানসই রানের কোটায় পৌঁছিয়েছে।
এই ২৩০ রান টার্গেট চেজ করা খুব একটা সুবিধার ছিল না পিচ কন্ডিশন হিসেবে। তবে ইন্ডিয়া শুরুটা করেছিল ভালোই রোহিতের বদলতে। কিন্তু ভুল শর্ট আর lbw সাথে সাথে। তারপরে বাকিরাও তেমন একটা রান করতে পারেনি, বিশেষ করে কোহলিও টিকতে পারেনি, সবাই ওই ২০-৩০ রানের কোটা রেখে আউট হয়ে গিয়েছিলো। উইকেট ধরে রাখতে পারেনি এখানে তারা, তবে লাস্টে যেটা দেখেছিলাম তাতে বল আর রান তুলনা করলে সহজে রানটা তুলে ফেলতে পারতো। কিন্তু শিবম দুবে থাকতেও ম্যাচটা জলে ডুবলো একদম, বরং অক্ষর প্যাটেল ভালো খেলে গিয়েছে ওর থেকে । যেখানে হাতে উইকেট নেই তেমন, সেখানে ওর দায়িত্বটা নেওয়া খুবই জরুরি ছিল।
কারণ সেখানে ৮ উইকেট চলে গিয়েছিলো। তবে অলআউট হয়ে গেলেও ম্যাচটা টাইড করে দিয়েছিলো। না ওদের জিততে দিলো না নিজেরা জিততে পারলো। সুপার ওভার এক্ষেত্রে তারা আর এলাও করেনি। তবে ওদের একটা প্লেয়ারই দারুন খেলে দিয়েছে দুনিত নামের। আউট সব বেশিরভাগ lbw তে হয়েছিল। হাতে উইকেট টিকিয়ে রাখতে পারলে মোটামুটি সিঙ্গেল নিলেও ম্যাচটা বের করে ফেলতো। তবে যাইহোক, লাস্টে একটা টানটান খেলা হয়েছে ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে। কারণ একদিকে রান কম আবার উইকেটও হাতে দুটি। এখন রান করবে না উইকেট বাঁচাবে এই পিচে সেই লড়াই বেশি হয়েছিল আসলে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
দারুণ সুন্দর ম্যাচ রিভিউ করলেন। ইন্ডিয়া টিম এখন দারুণ ব্যালান্সড টিম। শ্রীলঙ্কাও ভালো দল। যেভাবে পুরো ম্যাচ ব্যাখ্যা করলেন, এতো ডিটেলে বিবরণ কমেন্ট্রির মত হয়েছে। দারুণ
এই ম্যাচটা তো দেখছি বেশ ইন্টারেস্টিং হয়েছে দাদা। এই ধরনের ম্যাচ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ম্যাচটা টাই না হয়ে ইন্ডিয়া জিতলে খুশি হতাম। কারণ তারা এই ম্যাচে জয় ডিজার্ভ করে। লাস্ট ১ রান নিতে গিয়ে ইন্ডিয়া দুই উইকেট হারিয়ে ফেলবে,সেটা আসলে ভাবতেও পারিনি। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইন্ডিয়া মানেই টানটান উত্তেজনা থাকবে যেকোনো ক্ষেত্রেই।আর ক্রিকেট খেলা হলে তো কথাই নেই, আপনার রিভিউ আমার বরাবরই ভালো লাগে।খুবই সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করেন আপনি, আসলে উইনার বিহীন ম্যাচ হবে এমনটা আশা করি নি।একদল উইনার হলে তবেই মজা,ধন্যবাদ দাদা।