দুর্গা পুজো 2024 ( পর্ব ১৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দুর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে আপনাদের সাথে একটি বিখ্যাত দুর্গা পুজোর বিষয়ে আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। কলকাতার দুর্গা পুজো দেখে শেষ করার পরেরদিন গিয়েছিলাম কল্যাণী আইটিআই মোড়ে। এখানে এই একটা জায়গায় দুর্গা পুজো সব থেকে ভালো হয়, তাছাড়া আর তেমন কল্যাণীর কোথাও ভালো একটা পুজো হয় না। এই একটা বিখ্যাত দুর্গা পুজো, যেটা দেখার জন্য লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। এখানে প্যান্ডেল এর কারুকার্য এত সুন্দর করে যে শুধু মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
কন্ট্রোল করতে পারে না, এমন একটা অবস্থা। আর এখানে আপনি যে দাঁড়িয়ে কোনকিছুর ছবি তুলবেন তার উপায় নেই, খুব বেশি তুলতে চাইলেও হাঁটতে হাঁটতে তুলতে হবে। 1 সেকেন্ডও দাঁড়াতে দেয় না, তাহলে ভাবুন কি পরিমাণে লোক হয়। আমিতো লক্ষাধিক কম বলেছি, তারও বেশি হয়। আমি মূলত এই ভিড়ের কথা শুনলে আর মারামারির কথা শুনলে আর দেখতে যাইনা । তবে এই বছর দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাক আর নরমাল ছিল, তাই চলে গিয়েছিলাম দেখতে। যদিও আমাদের এখান থেকে অনেকটা দূর, ভেবেছিলাম বাইকে যাবো, কিন্তু পরে কোথায় রাখব সেই ভেবে ট্রেনে করে চলে গিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
গিয়েই আসলে দেখি অসম্ভব ভিড়। আমিতো গিয়েই শুধু লাইটিং এর ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছিলাম। আসলে সবকিছুর ডিজাইন এত সুন্দর করেছিলো যে, ছেড়ে যেতে ইচ্ছা হয় না, দাঁড়িয়ে দেখতে ইচ্ছা করে মুগ্ধ নয়নে । তবে গেটটাও করেছিলো অনেক দূরে, প্রায় 10 মিনিটের মত টানা হেঁটে তারপর প্যান্ডেল এর কাছে গিয়েছিলাম। মারাত্মক ভিড় ছিল আসলে, দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না, যেনো কিলবিল করছিলো মানুষের পা গুলো হা হা। তারা প্রতিবছর দুর্দান্ত থিম নিয়ে উপস্থিত হয়, এই বছর আসলে চমক দিয়েছে অসাধারণ। এই বছর তাদের থিম ছিল "থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ব্যাংককের ওয়াট অরুণ মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ"।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
নামটাও খুবই আকর্ষনীয় ছিল। প্যান্ডেলটি থিম অনুযায়ী জাস্ট দেখার মত ছিল, যেনো সোনায় মোড়ানো ছিল। ঘরে বসে বা দেশে দাঁড়িয়ে যেনো থাইল্যান্ড ঘুরে আসা হলো। প্যান্ডেল এর উচ্চতা ছিল অনেক, প্রায় ১৫০ ফুটের উপরে। চূড়াগুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল, মন্দিরের চূড়াগুলো যেনো এক একটা মিনার ছিল। মানে যেমন ডিজাইন করেছে আর তাতে যে ভাবে লাইটিং করেছে, তাতে সবকিছু স্বর্ণের মত উজ্জ্বল লাগছিলো যেনো। সত্যি কথা বলতে আমি দুই দুইবার ঢুকেছি ওখানে, কারণ একেতো এত সুন্দর ডিজাইন, তারপর দাঁড়াতে দিচ্ছে না, যেনো একবার দেখে মন ভরেনি । আমি তো এখানে আসলে অনুভূতি প্রকাশ করছি ঠিকই, কিন্তু সামনের থেকে দেখে যা লাগছিলো, সেটা আমি এখানে হাজার বার বললেও কম হয়ে যাবে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
কারণ এই অনুভূতি না দেখলে বোঝানো মুশকিল। যাইহোক, দেখার পরে মোটামুটি ভিতরের দিকে প্রবেশ করেছিলাম এবং সাজস্বজ্জাও মারাত্মক সুন্দর করেছিলো। আসলে দেখে সত্যিকারের একটা জ্বল জ্যান্ত মন্দিরের মতো মনে হচ্ছিলো। ভিতরে আরো বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন-এ পরিপূর্ণ ছিল। তবে ওখানে প্রথমবার আমি প্রতিমার ছবিই তুলতে পারেনি। ছবি যে তুলতে গেলে ক্যামেরা অন করে মিনিমাম 5 সেকেন্ড টাইম লাগে, সেটাই তারা দেয়নি। ঢুকলাম সাথে সাথে বের করে দিলো, দাঁড়াতেই দেইনি। তবে দ্বিতীয়বার ঢুকে আগে ক্যামেরা অন করে ধরে রেখেছিলাম প্রতিমার দিকে, যাতে মিস না হয় হা হা। তাও ক্লিয়ার তুলতে পারেনি। প্রতিমা সজ্জিত করা হয়েছিল একটি স্বর্ণ বিপণীর সোনার গয়নায়, যা অত্যন্ত আকর্ষনীয় ছিল। মারাত্মক সৃজনশীলতা ছিল সত্যি বলতে। সবকিছু সত্যিই অসাধারণ ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ৯ অক্টোবর ২০২৪ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্যান্ডেল এর কারুকার্য দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না দাদা। কতো সুন্দর ভাবে সবকিছু সাজানো হয়েছে। এমন আয়োজন দেখতে তো এতো মানুষের ভিড় হবেই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে দুর্গাপুজোর ১৫ তম পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে দুর্গাপূজার এই পর্বটা অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটা পর্বের মত। পূজোর এই প্যান্ডেলটা অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রতিটা কারুকাজ আমার কাছে দেখতে জাস্ট মনোমুগ্ধকর লেগেছে আমার কাছে পুরো ডেকোরেশনটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে দুর্গা পূজার ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা পুরো পোস্টটা পড়তে।