কাঁচ কলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি শোল মাছ রান্না করেছি। এই শোল মাছটি এই তারিখ আমি কাঁচ কলা দিয়ে রান্না করেছিলাম। কাঁচ কলা অনেকদিন খাওয়া হয় না আর তারপর এই গরমে কাঁচ কলা খেতে খুব ইচ্ছা করছিলো। এই প্রচন্ড গরমে কাঁচ কলার তরকারি বেশ উপকারী আর শরীরের দিকেও কোনো সমস্যা হয় না । গরমের সময় বেশি মশলা খেয়ে গ্যাস বাধানোর চেয়ে কাঁচ কলার তরকারি খেয়ে পেট ঠিক রাখা ভালো মনে হয়। তবে চাইলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না, কারণ আমরা বাঙালিরা মশলা জাতীয় খাবার খেয়ে অভ্যস্ত তাই মশলা না দিলে স্বাদ আসে না তরকারিতে। আর এই কাঁচ কলা এমন একটা তরকারি যেটা মশলা ছাড়াই অনেক স্বাদ লাগে, আর সব থেকে বড়ো কথা শোল মাছের সাথে কাঁচ কলাটাই বেশি মিল খায়। কাঁচ কলা ভাজি করে খেতেও অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আর এই কলার একটা বড়ো গুন আছে সেটি হলো কখনো বদহজমের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না বরং এই সমস্যাটাকে আরও দূর করে থাকে। যাইহোক এখন এই রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
♛প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:♛
☑এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬
➤শোল মাছটিকে প্রথমে ভালো করে কেটে সাইজ করে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ( মা মাছটিকে কেটে গুছিয়ে দিয়েছিলো )। এরপর আমি আলুর খোসা ছালিয়ে কেটে পিচ তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম ।
➤কলার খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের খোসা ছাড়ানোর পরে কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤শোল মাছের পিচগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤শোল মাছ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে আলুর পিচগুলো ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা কাঁচ কলা ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ, রসুন ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দেওয়ার পরে পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা করে ভাজা মতো করেছিলাম। এরপর তাতে ভাজা আলু, কাঁচ কলা আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর স্বাদ মতো লবন, হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤উপাদানগুলো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। মেশানো হয়ে গেলে তাতে নির্দিষ্ট মাপে জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤জল দেওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিটা এবং পরে তাতে ভাজা শোল মাছের সব পিচ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤মাছ দেওয়ার পরে তাতে সেই পেঁয়াজ, রসুনের ভাজা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পুরোপুরি হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤দেরি করার পরে তরকারিটা হয়ে গেছিলো এবং তাতে আমি অল্প করে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কলার তরকারিতে ঝোলটা একটু বেশি রাখা উচিত ছিল কিন্তু ভুলবশত বেশি দেরি হয়ে যাওয়ায় ঝোল অনেকটা কমে গেছিলো। যাইহোক এই রেসিপিটা এখন পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই গরমে কাচা কলার উপকারিতা অপরিসীম।কাঁচা কলার ভর্তা ভাজি এবং পাকোড়া আমার খুবই পছন্দ।খুবই মজাদার হয়ে থাকে কাচা কলার রেসিপি। এবং কাঁচা কলা প্রতিটা মানুষের খাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি বিশেষ করে এই গরমের দিনে।আপনি খুবই চমৎকার করে কাঁচা কলা আলু দিয়ে শোল মাছের রেসিপি করেছেন যা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো আমরা এভাবে কাঁচাকলা বিভিন্ন মাছের সাথে সবজির সাথে দিয়ে রান্না করে নিয়মিত খেতে পারি♥♥
কাঁচ কলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি খুবই চমৎকার করে আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন বরাবরের মতই আপনার রেসিপি অতুলনীয় ও অসাধারণ হয়ে থাকে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে আমি তোমার খাই না তাই মাছের মজাও বুঝিনা।এত চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা অপেক্ষা করছে পরবর্তী রেসিপির জন্য♥♥
কাঁচ কলার রেসিপির সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। আসলেই দাদা, কাঁচ কলা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি। মসলা যত কম খাওয়া যায় আমাদের পেটের জন্য তত ভালো। বেশি মসলা খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি হয়। কাঁচ কলা কম মসলা দিয়ে রান্না করলেই মজা লাগে৷ এজন্য আমি মনে করি কাঁচকলা তরকারি হিসেবে অনেক ভালো।
আপনি কাঁচকলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি বলতে রেসিপিটি দেখতেই অনেক আকর্ষনীয় লাগছে। খেতে তো অবশ্যই অনেক মজা হয়েছে। তবে আপনি কাঁচ কলার পাশাপাশি কিছু পরিমান আলুও রেখেছেন রেসিপিতে এটা স্বাদের জন্য ভালো ছিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা, অসাধারণ এই রেসিপিটি আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম 🤘🤘🤘💞
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন কাঁচা কলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি। কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর আপনিতো শোল মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। ভাইয়া আপনার রেসিপিটি সত্যিই খুব অসাধারণ হয়েছে। কাঁচা কলার তরকারি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কাঁচা কলার রেসিপির কালারটি সত্যি খুব লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার হাতের রেসিপিতো সুস্বাদু হওয়ার কথাই। ভাইয়া আপনি সব কাজ গুলো খুব মনোযোগ সহকারে তাই আপনার রেসিপি, আর্ট, রিভিউ, ফটোগ্রাফি, সব ধরনের পোস্টগুলো খুবই সুন্দর হয়। আপনার পোস্টগুলোতে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। তাই আপনার পোস্টগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার আজকের এই কাঁচা কলার রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
কাঁচকলার তরকারি খেতে অনেক সুস্বাদু। আর দাদা কাঁচকলার রেসিপি যদি আপনার হাতে তৈরি হয় তাহলে তো খেতে তারও সুস্বাদু হবে। দাদা আপনি কাঁচ কলা দিয়ে শোল মাছের খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। শোল মাছ ও কাঁচকলা দুটোই আমার পছন্দের। এই দুপুর বেলায় শোল মাছ ও কাঁচকলার ঝোল দিয়ে যদি একটু গরম ভাত খেতে পারতাম তাহলে খুব ভালো লাগতো। আপনার তৈরি করা রেসিপি মানেই হচ্ছে অসাধারণ কিছু। কারণ আপনার রেসিপি তৈরির দক্ষতা এবং রন্ধনশিল্পের নিপুণতা সব সময়ই আমাদেরকে মুগ্ধ করে। তেমনি বরাবরের মতো আজকেও আপনি আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতায় দারুন এই রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️♥️♥️
শোল মাছ খেতে অনেক মজা লাগে, বিশেষ করে কাঁচকলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি গুলো আরো বেশি মজাদার হয়। কারণ আমি কিছুদিন আগেই কাঁচকলার রেসিপি খেয়েছিলাম। এটা আমার মামা বাড়িতে এই রেসিপিটা আমি খেয়েছিলাম। তখনই আমি রেসিপি সুস্বাদু মজাটা বুঝতে পেরেছিলাম। আজকে আপনার শোল মাছের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই আপনার রেসিপি খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করার জন্য।
গরমের সময় কাঁচকলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও এইসময় বেশি পাওয়া যায় এটি।কাঁচকলা আমার খুবই প্রিয়।আর কাঁচকলা দিয়ে খাল-বিলের এইসব শোল মাছ খুবই টেস্টি হয় খেতে।যদিও আমি এই মাছ খাই না।তবে এইসব মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে।তবে এটি ভাজা খেতে ভালো লাগে আমার জানা আছে, কাঁচকলা দিয়ে যেকোনো মাছ খুবই স্বাদের খেতে হয়।গরমকালে যেকোনো কলা প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু করে খাওয়া হয়।আমি শুনেছি আমার মা-বাবার মুখে এই মাছ খেতে খুবই টেস্টি।তাছাড়া এই মাছে কাঁটা খুবই কম হওয়ায় বাচ্চা থেকে বড়োরা সবাই তৃপ্তি করে খেতে পারে।এইসব মাছে মসলার পরিমাণ বেশি দিলে আরও বেশি ভালো হয় খেতে।তাছাড়া বহু মানুষ শোল মাছ খেতে খুব পছন্দ করে।আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা👌।তরকারির কালারটি খুব সুন্দর হয়েছে, মনে হচ্ছে সেই টেস্টি হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দাদা আমারও বেশ কিছুদিন হয়ে গেল কাঁচা কলা খাওয়া হয় না। আজকে এই কাঁচা কলা ও শোল মাছের মজার রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে এখনই রেসিপি তৈরি করে ফেলি। তবে দুঃখ একটাই ফ্রিজে শোল মাছ নেই। তাই আপনার তৈরি করা মজাদার রেসিপি চেয়ে চেয়ে দেখছি আর আফসোস করছি😋😋 । কাঁচা কলা খেতে যেমন আমি পছন্দ করি তেমনি শোল মাছও আমার অনেক প্রিয়। এর আগেও আপনার শোল মাছের রেসিপি আমি দেখেছি। তবে দাদা কাঁচা কলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সেরা রাধুনির সেরা রান্না আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সত্যি দাদা অসাধারণ হয়েছে আপনার এই রেসিপি। আপনি হচ্ছেন আমাদের সেরা রাঁধুনি। দাদা এভাবেই মজার মজার রেসিপি শেয়ার করুন এবং আমাদেরকে শেখান এই প্রত্যাশাই করছি। 🥰🥰
দাদা আপনি আবারো ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি কাঁচকলা দিয়ে ভর্তা খেয়েছি কিন্তু কাঁচকলা দিয়ে এভাবে শোল মাছ কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে ।আমি অবশ্যই একদিন তৈরি করে দেখব। এভাবে রান্না করে খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখতে এতটাই সুন্দর হয়েছে যে দেখেই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কাঁচা কলা দিয়ে শোল মাছ রান্নার খুবই সুন্দর একটা রেসিপি আসবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার তৈরি করা এই শোল মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি কাঁচ কলা দিয়ে শোল মাছের রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।