স্বাস্থ্য ও রোগ
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে কথা বলবো। এই বিষয়টা হলো "স্বাস্থ্য ও রোগ"। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ, কিন্তু যদি স্বাস্থ্য ভালো না রাখা যায় তাহলে আমরা সেই মূল্যবান সম্পদটি হারাবো। আর এই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে আগে আমাদের রোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার প্রতিরোধ সম্পর্কেও অনেক সচেতন হতে হবে। আমাদের শরীরে অনেক রকমের সাধারণ রোগবালাই আছে, যার দ্বারা আমাদের কিন্তু প্রায় প্রতি প্রত্যেকেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এর মধ্যে অনেক রোগ আছে যেটা খুব দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়, সেটা ঔষধ খেয়ে হোক বা শরীরে যদি ইমিউনিটি শক্তিটা ভালো থাকে, তাহলে এমনিতেই কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়।
তবে এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো খুবই দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার সাথে সাথে জটিলতার আকার ধারণ করে। যেমন-এখানে ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ, যেটা আমাদের রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। আর এটা সাধারণত হয় আমাদের নানা বদভ্যাসের কারণে, যেমন-অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলেও হয় আবার যাদের স্থূলতা বেশি তাদেরও হয়ে থাকে। তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, অনেক সময় এটা বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। এরপর আছে হৃদরোগের মতো সমস্যা। আসলে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে উচ্চ রক্তচাপের ফলে, আবার যদি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার দীর্ঘদিন খাওয়া হয়, তাহলেও এই সমস্যাটা হয়। এছাড়া যারা ধূমপান করে থাকে তাদেরও হয়ে থাকে, এই ধূমপানের কারণে বেশি সমস্যা হয়ে থাকে হৃদরোগের মতো সমস্যা।
এরপর আছে ক্যান্সার, যা একটি জটিল রোগ। এইগুলো অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধির ফলে ঘটে। এই ক্যান্সারের কারণটাও মুখ্য তালিকায় ধূমপান আছে, তাছাড়া বিষাক্ত রাসায়নিক জাতীয় খাবার এর ফলেও হয়ে থাকে। তবে এখানে আরো একটা ব্যাপার আছে, শুধু যে এইসব ধূমপান বা অন্য কারণে ক্যান্সার হয় তা কিন্তু না। অনেক সময় দেখবেন যারা ধূমপান, তামাক বা কোনোরকম নেশা করে না, তাদেরও ক্যান্সার হয়ে থাকে। এটার কারণ হলো বংশগত কারণও অনেক সময় দায়ী, তা নাহলে ভালো ভালো মানুষগুলো ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের স্বীকার হতো না। এরপর সাধারণ সর্দি, জ্বর যেটা আমাদের সবারই হয়ে থাকে।
তবে এটা বেশিরভাগ আক্রান্ত হয়ে থাকে দুর্বল ইমিউনিটির লোকজন এবং সেটা সারতে চায় না দ্রুত। এই যে রোগগুলোর কথা বললাম, মূলত এইগুলোর আবার ভাগ আছে। যেমন-সংক্রামক রোগ আর অসংক্রামক রোগ। সংক্রামক রোগগুলো মূলত যেমন আমাদের শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের মতো আক্রম হয়। আর এইগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো- ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া, কোভিড ১৯ ইত্যাদি। তবে এইগুলোর প্রতিকারের উপায় আছে, যেমন- আমাদের নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধুতে হবে, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। আর অসংক্রামক রোগের মধ্যে এই ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এইসবের মতো রোগ অন্তর্ভুক্ত আছে।
যার প্রতিকার হলো-নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ কমানো। এইবার আসি ভ্যাকসিন এর বিষয়ে, যা আমাদের জীবনে রোগের ক্ষেত্রে একটা মহান ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হয় যাতে শরীরে ইমিউনিটি শক্তিটা বাড়ানো যায়, যা আমাদের মানবদেহের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং আমাদের শরীরে যে ইমিউনিটি শক্তিটা তৈরি হয়, এটা যার যার একটি নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
যেমন আমাদের পুরো পৃথিবীতে যখন কোভিড এর আতঙ্কে কাঁপছিলো, তখন এই ভ্যাকসিনই কিন্তু সাহায্য করেছিল আর সফলতাও পাওয়া গিয়েছিলো। ভ্যাকসিন আছে বলেই অনেক জটিল রোগ বা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রনে আনা যায়। আমাদের মেইনলি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হলে-সুষম খাদ্য খেতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুমটাও অনেক জরুরি ইত্যাদি এইরকম অনেক বিষয় আছে যেগুলো মেইনটেইন করে চললে একটা সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা যাবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজ স্বাস্থ্য ও রোগ নিয়ে চমৎকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্লগে তুলে ধরেছেন। আপনার ব্লগ পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। মানুষের শরীরে ইমিউনিটি কম থাকলে সেসব মানুষের রোগ ব্যাধি হলে সহজে ভালো হয় না।আর এজন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস,ব্যায়াম ও হাঁটা চলা করা,মানসিক চাপ ও কমাতে হবে।খুব সুন্দর ভাবে তথ্যবহুল এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই রোগগুলোর সঙ্গে মানুষ প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে আজ। সকল মানুষের মধ্যেই কোন না কোন রোগের বাসা দেখা যায়। আসলে আজকাল দৈনন্দিন জীবনে মানুষ এমন ভাবে অনিয়ম করে থাকে যে নিজের অজান্তেই বিভিন্ন রোগ এসে বাসা বাঁধে। আপনার পোস্ট থেকে আপনি দারুন সচেতনতা মূলক কিছু বার্তা শেয়ার করলেন দাদা।
বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এমনকি বংশগত কারণে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুরও ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এই ব্যাপারটা সত্যিই খুব খারাপ লাগে। যাইহোক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য হেলদি লাইফস্টাইলের কোনো বিকল্প নেই। দারুণ লিখেছেন দাদা। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বতর্মান সময়ে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের ডায়াবেটিসে। এর কারণ তাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বাজে খাদ্যঅভ্যাস। আর ক্যান্সার ব্যাপার টা তো খুবই কমপ্লিকেটেড। তবে দারুণ লিখেছেন দাদা। আপনার পোস্ট থেকে বেশ কিছু নতুন ব্যাপার জানতে পারলাম।।
আপনার এই ব্লগটির মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে ও শিখতে পারলাম। ডাইবেটিস রোগটা ঘরে ঘরেই দেখা যাচ্ছে। এই রোগটা মানুষ কে একেবারে মারে না। কষ্ট যন্ত্রণা টেনশন দিয়ে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সে জন্য জন সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। ধন্যবাদ
বর্তমান সময়ে এমন এমন রোগের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো আসলে সারা জীবন মানুষকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। কিছুদিন আগে আমারও হরমোনের ঘাটতি ধরা পড়লো। এটা একেবারেই জিনগতভাবে হলো।তবে বর্তমানে ভেজাল খাবারের ভিড়ে সুস্থ থাকাটা কষ্টকর হয়ে গিয়েছে।আমরা চাইলেও ভালো খাবার খেতে পারি না।তবুও আমাদের সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।