এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২৬ )

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম পুজোর সময়ে। দূর্গা পুজোর সময়ে এই গেটের এবং এখানে কিছু মন্ডপের অংশবিশেষ এর আলোকচিত্র ধারণ করেছিলাম। এইগুলো বনগাঁর একটি স্থান থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। এই গেটটি মুস্তাফা পাড়ার দিকে যাওয়ার সময়ে তুলেছিলাম, এখানে গেটের আলোকসজ্জাটা এক কোথায় অসাধারণ করেছিল। শুধু ডিজাইনগুলো পুরোটা দেখলে বুঝতে পারবেন, কিছুটা প্যাগোডা বা মিনার টাইপের করা উপরের দিকে, আর উপরে একটি হেলিকপ্টার দেখতে পাচ্ছেন, যেটা দেখানো হয়েছিল ল্যান্ডিং এর সময়ের। এছাড়া লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, কিছু স্যাটেলাইট এর ব্যবস্থাও করেছে এই আলোকসজ্জার ডিজাইনের মাধ্যমে। এছাড়া আরো কিছু গেটের মধ্যে আরেকটি গেটের দৃশ্যটাও অসাধারণ ছিল। এরপর একটি মণ্ডপের ভিতরে একটি খড়ের তৈরি ছোট মন্ডপ মতো করা ছিল, যার আশেপাশে কিছু ত্রিশূলও ছিল। এইসবের দৃশ্যগুলো আসলে অনেক দৃষ্টিনন্দন ছিল দেখতে। এইগুলো বার বার দেখতে মন চায় একবার দেখার পরেও।

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম একটি গার্ডেন মতো জায়গা থেকে, যেখানে পিকনিকও করা হয়ে থাকে। তো এখানে একদিন পিকনিক করার সময়ে বাংলোর সামনে ঝরনার আকারে সেখানে অনেক কিছুই তৈরি করা ছিল। যেমন এখানে কিছু পাখির দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন, যেগুলো পাথরের মাধ্যমে আর্ট করে তৈরি করা হয়েছে। সারস পাখি, বক এইগুলো দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। সারস পাখি বা যেটাকে ফ্লামিংগো বলেও জানা যায়, এই পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। তবে এই সারস পাখিগুলো অনেক বড়ো বড়ো হয়ে থাকে।

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম সবজি ক্ষেতের থেকে। গ্রামের দিকে সবজি ক্ষেতে একদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন এই ফুলের ছবিগুলো তুলেছিলাম। ফুল আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগে, যেকোনো ফুল দেখলেই আমি ছবি না তুলে থাকতে পারিনা, ফুলের সৌন্দর্যগুলো মনকে আকৃষ্ট করে থাকে সবসময়। এইগুলো লাউ গাছের ফুল ছিল, সাদা সাদা ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। এছাড়া এখানে আরো কিছু ছবি তুলেছিলাম, যেমন মটরশুঁটিএর ফুল এবং ফল দুটোই ছিল ওইসময়। বেশ ভালো লাগে এইসব সবুজের সমারোহে দেখতে।

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম বারবিকিউ থেকে। মাঝে এই বারবিকিউ থেকে করা কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। এখানে আরো কিছু শেয়ার করছি। এইগুলো ছিল শিককাবাব, যদিও এখানে আবার ভেজও ছিল। শিককাবাব খেতে দারুন লাগে, তবে আমার কাছে ওই অল্প করে করে ছাড়িয়ে খেতে ভালো লাগে না, মানে ছাড়ানোর যতক্ষণ সময়, আমার খাওয়া হয়ে যায় হা হা। তারপর এখানে কিছু মেইন কোর্স এর মধ্যে নিয়েছিলাম চিকেন বিরিয়ানি আর মটন কষা। মটন কষাটা খেতে দারুন লেগেছিলো বিরিয়ানির থেকে। আর লাস্টে এই চিত্রটা তুলেছিলাম দাদা-বৌদির থেকে। তবে এই কাবাবটার নাম মনে নেই,কি যেন একটা অদ্ভুত নাম ছিল। নতুন মনে হয়েছিল তাই একটা করে টেস্ট করে দেখছিলাম।

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম মঙ্গলপান্ডে পার্ক থেকে। একদিন গিয়েছিলাম এখানে বিকেলের দিকে ঘুরতে আর পাশেই গঙ্গা, তাই বেশ ভালো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পার্কের ভিতরে বেশরিভাগটাই শিশুদের খেলার ব্যবস্থা করা রয়েছে অর্থাৎ খেলার জন্য আর কি। তবে শুধু শিশুরা ছাড়াও বড়রাও ব্যবহার করতে পারে। এখানে অনেক কিছু নতুন নতুন বিষয় আর্টের মাধ্যমে সাজিয়েছে। এখানে জেব্রার ছবি দেখতে পাচ্ছেন, এইগুলো অনেক উচ্চতা সম্পন্ন করে তৈরি করা। আর এইগুলো প্রায় নতুন তৈরি করা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তারপর একটি লাইটের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন, সন্ধ্যার সময়ে লাইটটা জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো তাই তুলে নিয়েছিলাম।