সুপার ৮-এ ইন্ডিয়ার প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলার পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল সুপার ৮ এর খেলা ছিল আর এই খেলায় গ্রূপ ১ এর ইন্ডিয়া বনাম আফগানের মধ্যে খেলাটা হয়েছিল। এই ম্যাচগুলো এখন প্রায় সব ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর পিচে খেলা হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর পিচ একটু স্লো হলেও মোটামুটি ভালোই রান ওঠে। গতকাল ইন্ডিয়া টসে আগে জিতে যায়, কিন্তু এইবার তাদের মোটামুটি আগে ব্যাটিং করার একটা কারণও ছিল, কারণ কোচ মোটামুটি খেলার আগেই কিন্তু মাঠের মধ্যে গিয়ে পিচ পর্যবেক্ষণ করে আসে, সেক্ষেত্রে এই পিচের ব্যাপারে আগে থেকেই জেনে গিয়েছিলো যে, স্লো পিচ আছে, এক্ষেত্রে আগে ব্যাটিং করলে সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এটা যদি আফগানিস্তানও টসে জিততো, সেক্ষেত্রে তারাও আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতো, এইজন্য টসের উপরে ম্যাচের অনেকাংশ নির্ভরযোগ্য হয়ে যায় হার-জিতের।
ইন্ডিয়া ব্যাটিং করতে এসে প্রথমে ২-৩ ওভার একদমই সুবিধা করতে পারেনি, তবে রোহিত শর্মাও স্ট্রাইকে এসে এই তারিখ দাঁড়াতে পারেনি, তবে ভেবেছিলাম এইবার যেহেতু নিউ ইয়র্ক এর বাইরের পিচে খেলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কোহলি ভালো খেলবে, রোহিতের আউট এর পরে শুরু করেছিল, কিন্তু লং বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফেলে। এই শর্টে মোটামুটি জোর ছিল ভালোই, যদি আরেকটু উঠিয়ে মারতে পারতো, তাহলে ওটা বাউন্ডারি হয়ে যেত। পাওয়ার প্লের ৫ ওভার শেষে রান তেমন একটা করতেই পারেনি, তবে পন্থ এসে ১ ওভারে মোটামুটি বড়ো একটা রান নিয়ে রিকোভার করে ফেলে। পন্থ মোটামুটি ভালোই খেলছে, রিভার্স সুইপ, সুইপ শর্ট সবকিছুই ভালোমতোই এটেন্ড করতে পারছে। তবে এই শর্টগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময়ে lbw হওয়ার চাঞ্জ থেকে যায়, বিশেষ করে স্পিন বলের ক্ষেত্রে।
আর সেটাই হলো, রশিদ খানের গুগলিতে পন্থ lbw হয়ে যায়। তবে তার সাথে সূর্যকুমার ভালো একটা পার্টনারশীপও করে যায়। আর সূর্যকুমার ভালই রান করেছে এই স্লো পিচে, হার্দিকও এসে বেশ কয়েকটা লং সিক্স মেরেছিলো এ ক্ষেত্রে। রান মোটামুটি ১০ ওভারের থেকে ভালোই টেনেছিল। তবে লাস্ট মোমেন্টে ৩-৪ ওভারে বেশি রান আসে, যদিও এক্ষেত্রে হার্দিকের শর্টগুলোর ভূমিকা আছে, কারণ উঠে উঠে শুধু বাউন্ডারি শর্ট করেছে, আর সফলতাও মোটামুটি ভালোই পেয়েছিলো। কিন্তু এই জাদেজা যে কি করলো এসে, যেখানে হাই বাউঞ্চ বল, সেখানে ব্যাট দেওয়ার কি দরকার ছিল, ওটা ঠেলে দিলেও ৪ ওভার সম্ভাবনা ছিল। তবে যদি জাদেজা অন্তত থাকতো শেষ মুহূর্তে, তাহলে রান ২০০ হওয়ার চাঞ্জ ছিল। তবে যাইহোক ১৮০ রানের টার্গেট কম ছিল না আফগানের সামনে। বাউন্ডারি যতই ছোট হোক না কেন, স্লো পিচে রান চেজ করা মুশকিল আছে খুব।
তবে আফগান এর ওপেনার গুরবাজ এসে যেভাবে অর্শদীপ এর বলে মারছিলো, তাতে ভয় লেগে গিয়েছিলো আসলে। তবে বুমরাহ যেখানে, ভয় নেই সেখানে। সেই মামা-ভাগ্নের মতো অবস্থা হা হা। বুমরাহ আসলেই আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়, এসেই গুরবাজকে ঠিকানা লাগিয়ে দিলো হা হা। এরপর পর পর কয়েকটা উইকেট পড়ে গেলো। তবে কোহলি আবার এখানে একটা হাতের ক্যাচ মিস করে ফেলেছিলো, যদিও সে ব্যাটসম্যান অতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, কিন্তু মারতে লাগলে তখন ভয় লেগে যায়। আসলে অর্শদীপ এর বলে মারলেও বাকিদের তেমন সুবিধা করতে পারেনি, অর্শদীপ মোটামুটি বাউন্ডারি+এক্সট্রা রান দিলেও সময়মতো আবার উইকেট নেয় ভালো। অনেক সময় ব্যাটসম্যানরা মারতে লাগলে সাধারণ বলেও ক্যাচ তুলে ফেলে লং শর্ট দিতে গিয়ে।
আফগানিস্তান মোটামুটি ১০ ওভারে একেবারে রান খারাপ তুলিনি, ভালোই ছিল, তবে চেজের ক্ষেত্রে জরুরি রান রেট সবসময় টার্গেটে নিয়ে ব্যাটিং করা লাগে, আর এটা একপ্রকার মুশকিল হয়ে যায়। জরুরি রান রেট যদি একবার হাতের বাইরে চলে যায়, তখন ভেবে নিতে হবে ম্যাচটাও হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। শুরুতে যেটা সাড়ে ৯ করে ছিল, শেষে গিয়ে সেটা ১২+ হয়ে যায়। আর এইভাবেই একটা করে ডট খেলেই আরো বাড়তেই থাকে দ্রুত। মেইন মেইন জায়গাগুলোতে বুমরাহ এর কাছে একপ্রকার সব ঘায়েল হয়ে যায়, আর রান ওখানেই কিস্তিমাত হয়ে যায়। ওভারও লেগে গেলো, অল আউটও হয়ে গেলো। একদম শেষ বলে অর্শদীপ অল আউট এর দাবিদার হয়ে যায়। তবে যেহেতু সূর্যকুমার যাদব ভালো খেলেছে, সেক্ষেত্রে সেরা ম্যাচ শিরোপা তার হাতেই যায়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ম্যাচে আসলেই টস খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যাইহোক ইন্ডিয়া এই ম্যাচে মোটামুটি ভালোই ব্যাট করেছে। বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে। তাছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া শেষের দিকে মোটামুটি ভালোই ব্যাট করেছে। তবে আফগানিস্তানের ব্যাটিং একেবারেই ভালো হয়নি। সবমিলিয়ে ভারতের পারফরম্যান্স বেশ ভালোই বলা যায়। আশা করি ভারত এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ব্যস্ততার কারণে কয়েক দিন থেকে খেলা দেখার সুযোগ হয় না। তবে আপনার শেয়ার করা রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। অনেক সুন্দর করে খেলার রিভিউ তুলে ধরেছেন। ইন্ডিয়া সব সময় অনেক ভালো খেলে। আর ইন্ডিয়ার পারফরমেন্স দেখে সবসময় মুগ্ধ হই।
ভারতের ব্যাটিং এ ভরসা সুরিয়া কুমার এবং অন্যদিকে বোলিং এ ভরসা বুমরাহ। বলতে গেলে এই দুজনই টেনে নিয়ে যাচ্ছে ভারতকে। যদিও অন্যরাও ভালো পারফরম্যান্স করছে। এইদিন মোটামুটি আফগানিস্তান বোলিং ব্যাটিং কোথাও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ভারত কাঙ্ক্ষিত ভাবেই ম্যাচটা জিতে গেছে।