সুস্বাদু বরান মুরগির মাংসের রেসিপি ( Benificiary 10% @shy-fox )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন? সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি বরান মুরগির মাংস রান্না করলাম। বরান মুরগির মাংস খেতে সুস্বাদু। তবে আমার বরান মুরগি তেমন একটা খাওয়া হয়না, মাঝে মধ্যে একটু স্বাদ চেঞ্জ করতে কেনা হয় আর কি। তেমনি গতকাল সকালে বাজার থেকে দুটো বরান কিনে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। যাইহোক আজকের এই সুস্বাদু বরান মুরগির মাংসের রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
✯এখন রান্নার মূল পর্বে ফিরে যাওয়া যাক---
☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে সম্পন্ন করলাম--
✹প্রস্তুত প্রণালী:✹
➤মুরগি দুটোর লোম প্রথমে ফেলে দিয়েছিলাম এবং আগুনে একটু শেক দিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে দুটিকেই কেটে নিলাম এবং জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। আলুর খোসা ফেলে দিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এবং রসুন এর খোসা ফেলে দিয়েছিলাম এবং রসুন ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কেটে নিয়েছিলাম।
➤আদার খোসা ছালিয়ে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর আলু লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤জিরে, মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, শুকনো লঙ্কা, আদা মিক্সারে করে পেস্ট করে রেখেছিলাম।
➤একইভাবে পেঁয়াজ, রসুন মিক্সারে করে পেস্ট করে রেখেছিলাম।
➤কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। তাতে তেজ পাতা এবং নির্দিষ্ট পরিমানে লবণ, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পেস্ট করে রাখা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাংসের সাথে সবগুলো ভালো করে মিশিয়ে কষাতে দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤মাংস ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে তাতে ভাজা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং আলু মাংসের সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। মাঝখানে একটা কথা বলি মাংস একটু খাওয়ার মতো হয়ে আসলেই আমি পুরোপুরি কষা হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু খেতে থাকি😀।
➤আলু মেশানোর পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিলাম এবং মাংস পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার জন্য বেশ খানিক্ষন অপেক্ষা করলাম। আমার আবার মাংসের ক্ষেত্রে বেশি তর শয় না।
➤যাইহোক অবশেষে তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু বরান মুরগির মাংসের রেসিপি। গরম ভাতের সাথে খেতে আর বড়ো ঠ্যাং থেকে মাংস ছিড়ে খেতে যা লাগে না আর বলার উপেক্ষা রাখে না, শুধু খেতে থাকতে হবে।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আচ্ছা ভাইয়া আমি না বরান মুরগি মানে বুঝিনি।এটা কি ভিন্ন জাতের কোনো মুরগি?মানে এই বরান মুরগির বিশেষত্ব বা সাধারণ মুরগি থেকে এর তফাৎ কি?
আপনার রান্না দেখলেই খিদে লেগে যায় আর তা যদি হয় মুরগি তাহলে তো কথাই নেই।
এটা ব্রয়লার মুরগি হবে সম্ভবত।
বরান মুরগির কালার কিছুটা ঐ দেশি জাতীয় মুরগির কালারের মতো হয় বা সোনালী কালার । কিন্তু বরান এর জাত আলাদা অন্য মুরগির তুলনায়।
ভার্চুয়ালি ভাবে খেয়ে নিন, কি আর করা যাবে এই মুহূর্তে। না হলে কালকেই একটা মুরগি রান্না করে খেয়ে নিন।
মাংস আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। বরান মুরগী এটাকে আমরা ব্রয়লার মুরগি বলে থাকি।
এই মুরগির মাংস টা আমার খুবই পছন্দের। রেসিপি টা খুব ভালো হয়েছে দাদা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
বরান আর ব্রয়লার এক না। ব্রয়লার তো সাদা কালারের হয় কিন্তু বরান রঙিন কালার অর্থাৎ লালচে হতে পারে আবার অন্য কালারও হতে পারে।
মাংস আমারও খুব পছন্দের, আমার প্রায় মাংস বিভিন্ন ভাবে খাওয়া চলে।
ও দাদা হতে পারে। ধন্যবাদ 🙂🙂
বরান মুরগির মাংস রেসিপি টা দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করতেছে বাসায় মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়া হয় অনেক অনেক শুভকামনা ভাই আপনার জন্য অনেক সুন্দর ভাবে আপনি মাংসের রেসিপি টা উপস্থাপনা করেছেন।
বরান আমিও মাঝে মাঝে খাই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রয়লার খাওয়া হয়। কালকেও একটা বরান রান্না করে খেয়ে নিন, কারণ খাওয়ার ইচ্ছাটাকে চেপে রাখা ঠিক না। আমিতো ইচ্ছা করলেই মেরে দেই। যাইহোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বরান মুরগির মাংস দিয়ে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রায়ই পিকনিক করি।বরান মুরগির কষানো মুহূর্তে খেতে বেশি পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে আমার জিবেই জল চলে আসচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই খাওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এতো সুন্দর রান্না রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার বরান সবসময় খাওয়া হয় না। কিন্তু আপনিতো সবসময় পিকনিক করেন দেখি, প্রতিদিন পিকনিক করা বিশাল ব্যাপার। আমার যেকোনো মাংস কষানোর থেকে খাওয়া শুরু হয়ে যায়। আসলে মাংস দেখলেই সবার জিভে জল চলে আসে। আর হ্যাঁ অবশ্যই খেয়ে নেবেন, কারণ মাংস দেখলে আর নিজের মনকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যায়।
ভাই আমরা প্রতি মাসে ৮-১০টা পিকনিক করা হয়। বাড়িতেও কষানো মাংস বেশি খাই।
আপনার রেসিপি দেখলেই আমার খেতে মন চায়। সেটা যে মুরগিই হোক না কেন ।দারুন রান্না করেছেন ভাইয়া। মাংসের রংটা চমৎকার হয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে স্বাদে ভরপুর ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি মোটামুটি মুরগি, হাঁস, খাসি এইগুলো খুব ভক্তি করে খাই। মানে জাস্ট কষানোর যতটুকু সময় আর কি, শুরু হয়ে যাবে কড়াইয়ের থেকে তুলে খাওয়া। মাংসের স্বাদ এর কথা আর না বলি, মাংস হলে আমি আর অন্য কোনো তরকারির ধারে কাছে যাইনা।
মুরগির মাংস খেতে ভালো লাগে আর বিশেষ করে বরান মুরগি। এইটা আমাদের এলাকায় বয়লার মুরগি বলে থাকি সম্ভবত। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন একদম ধাপে ধাপে পরিবেশন করছেন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
বরান আর ব্রয়লার একই না, পার্থক্য আছে। ব্রয়লার এর কালার সাদা সবসময়, কিন্তু বরান এর কালার রঙিন হয়ে থাকে। যাইহোক আপনার ভালো লেগেছে সেইটা দেখে আমারও খুব ভালো লাগলো।
মুরগির মাংস আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আপনার রান্না করার প্রসেস তা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই পোস্টি করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও খুব পছন্দের খাবার মাংস। মাংস না হলে আমার একপ্রকার চলে না। মাংস খাওয়ার নেশা খুব আমার। আপনার মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মুরগির মাংস আমার বেশ পছন্দের খাবার। বুনা মুরগির মাংস হলে ত কোন কথাই নেই।আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন।পরিবেশনা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।দেখে লোভ সামলানো একটু কষ্ট হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার রেসিপির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো ভাই।
এইটা ঠিক বলেছেন, আসলে বুনো মুরগি বা মোরগের অসম্বভ টেস্ট। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু বুনো এদিকে পাওয়া একটু কষ্টকর। মাংস দেখলে তো লোভ সামলানো মুশকিল হবেই, কারণ এটা এমনি একটা খাবার জিনিস। কালকেই খেয়ে ফেলুন রান্না করে, না হলে আপনার পেট ঠান্ডা হবে না না বুঝছি হা হা।
মুরগির মাংস রান্নাটি খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকে রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভার্চুয়ালি ভাবে খেয়ে নিন তাহলে হা হা । যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর করে বরান মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন যেভাবে ফটোগুলো উঠিয়েছেন এবং বর্ণনা করেছেন মাত্র খেতে অনেক টেস্ট হয়েছে আমাদের একদিন সুযোগ করে দিয়েন আপনার হাতের রান্না খাওয়ার
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর একটি মতামত তুলে ধরার জন্য। আর হ্যাঁ খেতে তো অসাধারণ টেস্টি হয়েছিল।
একদিন হবে নিশ্চই।
😍😍