ওয়েব সিরিজ রিভিউ: The Mystery of Moksha Island ( সিজন ১: শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে "The Mystery of Moksha Island" ওয়েব সিরিজটির অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "মাইন্ড বেন্ডিং"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, ভিকি আর তার সাথে আরেকজন সহযোগী হিসেবে বিশ্ববক সেনের সেই রিসার্চ সেন্টার খুঁজছিলো। এরপরে এই লাস্ট পর্বে কি হয় সেটা দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
The Mystery of Moksha Island
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
মাইন্ড বেন্ডিং
পরিচালকের নাম
অনীশ কুরুভিলা
অভিনয়
তেজস্বী মাদিভাদা, নান্দু বিজয় কৃষ্ণ, পাভানি রেড্ডি,কেশব দীপক, অক্ষরা গৌড়া, আশুতোষ রানা, প্রিয়া আনন্দ ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪( ইন্ডিয়া )
সময়
২৫ মিনিট ( অষ্টম পর্ব )
অরিজিনাল ভাষা
তেলেগু
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তো ভিকি এবং তার সাথে যে খুঁজতে খুঁজতে পাওয়ার সাপ্লাই এর যে সিক্রেট জায়গায় গিয়েছিলো, ওখানে মায়া আর ওই অন্ধ লোকটা এসে শুধু ভিকিকে নিয়ে যায় আর অন্যজনকে বাইরে আটকে দেয়। মূলত ওখানে ভিকির দিদির শরীরে যে বিশ্ববক সেন ডিএনএ চেঞ্জ করে ছিল, ওখানে নিয়ে গিয়ে মোটামুটি বাকি যাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিলো ওই রিসার্চ এর জন্য তার মধ্যে মোটামুটি অনেকেই বেঁচে ছিল। আর তার মধ্যে নিখি নামের ওই মেয়েটাও বেঁচে ছিল। এরপর আসলে ভিকির মাকে কেন মেরেছিলো সেটা বলার জন্যই তাকে নিয়ে গিয়েছিলো। আসলে বিশ্ববক প্রকৃতপক্ষে ভিকির বাবা, কিন্তু তার মাকে সে মেরে ফেলেছিলো। এর কারণ হলো, যখন বিশ্ববক একটি বড়ো রিসার্চ সেন্টারের CEO এর সাথে দেখা করেছিল, তখন মোটামুটি সেখানেই তার অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের রিসার্চ করতো আর বেশ ভালো নাম করে ফেলেছিলো কিছুদিনের মধ্যেই।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এখন তাদের দুইজনের মধ্যে অনেকটা ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়ে গেলে ওই CEO তার মেয়ের সাথে তাকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এদিকে তার ওয়াইফও আছে, কিন্তু সে তার সমস্ত সম্পত্তি এবং ওই রিসার্চ সেন্টারের CEO হওয়ার লোভে তাকে বিয়ে করে ফেলে। আর এরপর তার কোম্পানির সমস্ত দায়ভার বিশ্ববক সেনকে দিয়ে দেয়। এদিকে তার আরেক ওয়াইফ তার এইসব বিষয়ে জেনে যায় এবং সে তার বিরুদ্ধে কিছু আইনগত ব্যবস্থা বা তার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলো। এরপরে এই যে অন্ধ লোকটা ছিল ওই সময়েও তার সাথে ছিল আর ওকেই দিয়ে তার ওয়াইফ অর্থাৎ ভিকির মাকে মেরে ফেলে। এই বিষয়টা তাকে জানায়। কিন্তু ভিকির দিদির শরীর তো সে বস করে নিয়েছে অর্থাৎ তার বৃদ্ধ শরীর ছেড়ে দিয়ে নতুন শরীর হিসেবে তার দিদিকে বেছে নিয়েছিল, কারণ তার সাথে তার ডিএনএ ১০০ ভাগ ম্যাচিং ছিল।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এরপর সমুদ্রের পাড়ে মোটামুটি সবাইকে মেরে ফেলার একটা প্ল্যান করে, কারণ যারা বেঁচে ছিল তারা ওখানে আরেকটা ইঞ্জিন বিহীন বোট পায় আর ওটা দিয়েই যাওয়ার চিন্তা করে। কিন্তু ওই বোট সবাই মিলেও জলে নামাতে অক্ষম থাকে। এদিকে ওই অন্ধ লোকটাকে তাদের মেরে ফেলার জন্য পাঠিয়ে দেয় সমুদ্রের পাড়ে। ভিকি তাকে অনেক আটকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পেরে ওঠে না তার শক্তির সাথে, এটাও এই বিশ্ববক সেনের রিসার্চ এর ফল । মায়া পরে ভিকিকে বেহুশের ইনজেকশন দিয়ে দেয়, কিন্তু তাও আটকানোর চেষ্টা করে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

বিশ্ববক সেনকে পরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বুকে, যদিও ওখানে মায়া পরে বাঁচাতে চায়, বিশেষ করে বিশ্ববক সেনকে। কিন্তু না বাঁচালে বিশ্ববক এবং ভিকির দিদি দুইজনেই মারা যেত এবং সেই সাথে তার দিদির পেটের সন্তানও। এরপর মায়া প্ল্যান করে তার দিদির শরীর থেকে বিশ্ববককে ভিকির শরীরে ট্রান্সফার করে। কিন্তু ওখানে নিখি ছিল আর সে বেঁচেই ছিল এবং সে ওখানে থাকা কিছু কেমিক্যাল দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই কেটে দেওয়া বা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে আর দেয়ও। কিন্তু ওই সময়ে প্রায় ডিএনএ ট্রান্সফার এর মাঝপথেই এই ঘটনা ঘটে, যদিও অনেকাংশ ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছিলো।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই শেষ পর্বে মোটামুটি একটা বিষয় দেখা গেলো যে, শেষ পর্যন্ত বিশ্ববক সেন জিতে গেলো সবকিছুতে। আসলে প্লানটা এমনভাবে সাজিয়েছিল যে, কেউই বুঝতে পারেনি। ওই যে আগের পর্বে বলেছিলাম যে, তার একটা লক্ষ্য ছিল চিরকাল অমর থাকার অর্থাৎ তার মৃত্যু হবে না কখনো। আর তার শরীরে যখন বৃদ্ধাপন এবং রোগে আক্রান্ত হয়, তখন সে চিন্তা করে তার এই শরীর অন্য কারো শরীরে ট্রান্সফার করে দেবে আর এতে করে সে পুনরায় আবার জওয়ান হয়ে যাবে। আর তার জন্য দরকার ছিল তার ডিএনএ এর সাথে ১০০% অন্য কারো ডিএনএ ম্যাচিং এর। আর এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে পরিবারের কারো মধ্যে আর তার জন্য তার পরিবারের যত লোকজন ছিল, সবাইকেই মোটামুটি ওই আইল্যান্ড-এ ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তার ওই খেল শুরু করে। আর লাস্ট পর্যায়ে তো ওই অন্ধ লোককে মারতে পাঠালেও কয়েকজনকে মারে ঠিকই, কিন্তু পরে বিশ্ববক সেন এর শরীর ভিকির শরীরে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সে এসে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলে। আগে ভাই দিদিকে হারিয়েছিল আর এখন দিদি বেঁচে গেলেও ভাইকে হারালো।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৯.৪/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

এই পর্ব পড়ে তো সবকিছু একেবারে ক্লিয়ার হয়ে গেলো। তার মানে বিশ্ববক সেন লোভে পড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং তার প্রথম স্ত্রী অর্থাৎ ভিকির মা'কে অন্ধ লোকটার মাধ্যমে মেরে ফেলে। বিশ্ববক সেন খুবই ডেঞ্জারাস একজন মানুষ। শেষমেশ তাহলে বিশ্ববক সেন ভিকির শরীরে ট্রান্সফার হয়ে গেলো। সবমিলিয়ে বিশ্ববক সেন একেবারে সফল বলা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 4 days ago 

দাদা আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। আমার কাছে এই পর্ব টা দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশ্ববক সেন দেখছি এখন সবকিছুতেই জিতে গিয়েছে। সে নিজের প্ল্যান অনুযায়ী সব কাজ অনেক ভালোভাবে করে ফেলেছে যেটা কেউই বুঝতে পারেনি। পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা এই ওয়েব সিরিজের রিভিউটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 days ago 

দাদা আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। এই পর্বে একেবারে সবকিছুই অনেক সুন্দর ভাবে ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে। যেটার কারণে আমার কাছে এই পর্বটা পড়তে আরো বেশি ভালো লেগেছে ‌। বিশ্ববক দেখছি বেশ বড়সড় ভাবে সবকিছু নিয়ে প্ল্যান করেছিল। আর নিজের প্ল্যান মত সবকিছু ভালোভাবেই করে নিয়েছে। এমনকি জিতে নিয়েছে সবকিছু। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববক সেন ভিকির শরীরে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে। ভালো লেগেছে পুরোটা।