এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২৫ )

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। আজকের পর্বে তাহলে দেখে নেওয়া যাক কি কি থাকছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এটি একটি ফুলের আলোকচিত্র। এই ফুলগুলো সাধারণত সব জায়গায় তেমন দেখা যায় না, যদিও দেখা গেলে হাতে গোনা কিছু প্রজাতি বাগান কতৃক দেখা মেলে। এই ফুলগুলোর নামও অদ্ভুত টাইপের, এইগুলো সাধারণত পেন্টাস নামে পরিচিত। তবে এর প্রজাতি, যেমন ল্যানসোলতা নামের কিছু কিছু আছে। আর এর প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন কালারের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। সাদা, গোলাপি, লাল এইরকম কালারের দেখতে পাওয়া যায়। তবে গোলাপিটাই সাধারণত বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে আবার গাঢ় গোলাপি কালারেরও হয়ে থাকে। এর ফুলের পেটালগুলো খুবই ছোট আর গুচ্ছাকারে হয়ে থাকে। তবে এর মুকুলের থেকে দেখলে লোমশ আকৃতির দেখতে লাগবে, এমনকি এর পাতাগুলোও লোমশ আকৃতির।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: সন্তোষপুর
তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম পুজোর সময়ের। এখানে প্রথমে একটি গেটের আলোকসজ্জার দৃশ্য আছে, যেটা দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল। এই আলোকসজ্জাগুলি ডিজাইনের উপর বেস করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে নানা প্রকারের ডিজাইন করেছিল, যেমন-হাতির ছোট ছোট অনেক ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছিল। এছাড়া একটি মেয়ের নৃত্যকারী দৃশ্যও এখানে দৃশ্যমান করেছে। এরপর আরো একটি আলোকসজ্জা, যেখানে রথের মতো দেখতে একটি ডিজাইন করেছিল। আর এই লাইটিংটি ছিল, একদম কাঁচ এবং ফাইবারের মাধ্যমে। এইধরণের লাইটিং দেখলে আসলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২২ অক্টোবর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম একটি গ্রামের দিক থেকে। এখানে কিছু ক্ষেতের আলোকচিত্র দেখতে পাবেন, যেখানে কিছু সবজির চাষ করা হয়েছে। এখানে যদিও বেশিরভাগ মাঠ জুড়ে আলুর চাষ ছিল, তবে গ্রামের মাঠে ক্ষেতের এইরকম চিরসবুজতা দেখলে মনের মধ্যে একটা আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। আর এইগুলো শীতের সময়ে আরো ভালো লাগে, তখন বিকেলের টাইমে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু কুয়াশা ছিল হালকা। এছাড়া এখানে ঝিঙে, করোলার চাষও করেছিল, মোটামুটি শীতকালীন যা যা চাষ হতো আর কি সবই এখানে প্রায় ছিল।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বালাগড়
তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইটা ছিল পাপড়ি চাট। এটাও মোটামুটি একদিন বারবিকিউতে খাওয়ার সময় তুলেছিলাম। পাপড়ি চাটটা তৈরি করেছিল মোটামুটি ভালোই, তবে আমার কাছে পাপড়িচাট কেন জানি ভালো লাগে না। আসলে এই দই দেওয়ার কারণে কেমন একটা লাগে আমার কাছে। ছবি তুলেছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমি খাইনি, আসলে এটির ডেকোরেশন দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো আর সাথে আরো কিছু ছিল, ফলে একসাথে দেখতে ভালো লাগছিলো। আর এইটা ছিল খরবুজা। এটি বাড়িতে একদিন কেটে খাওয়ার সময়ে তুলেছিলাম। খরবুজাটা একপ্রকার বাঙ্গির মতোই লাগে, তবে এটির গোলাকার আকারটা দেখতে দারুন লাগে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারি & ৬ মার্চ ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম গঙ্গার পাশের থেকে। মূলত একদিন বিকেলে মঙ্গলপান্ডের দিকে গিয়েছিলাম ঘুরতে এবং তখন গঙ্গার ঘাটের থেকে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম, তখন যদিও ভাটা ছিল। আর এখানে নৌকায় করে ঘুরতে চাইলেও ভালো সুবিধা আছে, কিন্তু এরা টাকা নেয় অনেক করে। পার হেড ১০০ করে চাইছিলো, এরা মানে যখন যেমন যার কাছ থেকে নিয়ে পারে। তবে গঙ্গায় জোয়ার আসার মুহূর্তটা দারুন লাগে, পরে যখন সন্ধ্যার দিকে জোয়ার আসছিলো, তার ঢেউটা দেখতে দারুন ফিল হয়।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 16 days ago 

প্রথমে শেয়ার করা অদ্ভুত নামের ফুলটি বেশ ভালো লেগেছে সেই সাথে সবশেষে শেয়ার করা গঙ্গা পাড়ের সৌন্দর্যটাও সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। স্বচ্ছ ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

 16 days ago 

দাদা আপনার করা প্রতিটি আলোকচিত্রই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রথম ফুলের নামটা সত্যিই বেশ অদ্ভুত। পুজোর সময় ফটোগ্রাফি করেছিলেন সুন্দর সুন্দর গেটগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

 16 days ago 

প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। পাপড়ি চাট অনেকদিন খাওয়া হয়না। বেশ লোভনীয় লাগছে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। গোলাপি রঙের ফুল গুলো আগে তেমন একটা দেখা হয়নি। খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে। পুজোর সময় করা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে গঙ্গার পাড়ে অপরূপ সুন্দরময় ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।

 16 days ago 

প্রথমে ফুলটি আগে কখনো দেখিনি। তবে গতকাল এক নার্সারিতে দেখেছিলাম। ফুলটির নাম যেমন সুন্দর তেমনি ফুলটিও দেখতে ও সুন্দর। পেন্টাস ফুলটি দেখতে কিছুটা রঙ্গন ফুলের মতো। ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। গঙ্গার পাশে থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 16 days ago 

খাবারের ছবিগুলো লোভনীয় লাগছে, কেননা মাঝরাতে লেখাটি পড়ছিলাম । তাছাড়া পেন্টাস ফুল ও পড়ন্ত বেলায় নদীর ধারের ছবিগুলোও বেশ ভালো লেগেছে ভাই।

 15 days ago 

দাদা আপনার শেয়ার করা আলোকচিত্র গুলো দারুন লেগেছে আমার কাছে।পেন্টাস ফুলটি ছোট ছোট গুচ্ছাকারে হলেও কালারটি কিন্তু দারুন।আমি আজ প্রথমই দেখলাম ফুলটি।আপনার শেয়র করা গঙ্গার পাড়ের পড়ন্ত বেলার ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার লেগেছে।গ্রামীণ পরিবেশ সকলেরই ভালো লাগে।সবুজ প্রকৃতি মনকে ভালো করে দেয়।মনের সতেজতাকে ধরে রাখতে সবুজের কাছাকাছি যাওয়া আমাদের সকলের ই উচিত।ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা আলোকচিত্র গুলো।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

 15 days ago 

বাহ্! দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। পেন্টাস ফুল অনেকদিন আগে নার্সারিতে গিয়ে দেখেছিলাম এবং আমি ক্যাপচার করে পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম। এই রঙের পেন্টাস ফুল দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগে। তাছাড়া ক্ষেত এবং গঙ্গার ঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 15 days ago 

পেন্টাস ফুলটা বেশ সুন্দর। একেবারে ছোট কিন্তু সুন্দর। প্রথমবার দেখলাম এমন ফুল। গ্রামের ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লাগছে দেখতে। পাশাপাশি গঙ্গার ঘাট এবং অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল দাদা। সবমিলিয়ে চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।