কৃত্তিম জীবন ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিং
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে কৃত্তিম জীবনের বিষয়ে কিছু আলোচনা করবো। বর্তমানে আসলে বিজ্ঞানের অগ্রগতি এতদূর এসে পৌঁছিয়েছে যে, সেটা পিছনের দিকে ফিরে তাকালে আমরা আসলে কল্পনাও করিনি যে, বিজ্ঞানের অগ্রগতি এতদূর এসে পৌঁছাবে। বর্তমানে এখন বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যে, প্রতিনিয়ত বিপ্লব ঘটে চলেছে। এখানে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃত্তিম জীবন একটা প্রধান বিষয়। বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টা আসলে এখানে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এইসব কিছুর সংমিশ্রনে তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে আসলে জীববিজ্ঞানের বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের তত্ব এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের মানব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে।
এই যেমন আমাদের বর্তমানে মানব জীবনে অনেকের অনেক প্রকার শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যার ফলে কিন্তু কারো হাতের প্রয়োজন পড়ে থাকে আবার হাতের প্রয়োজন পড়ে থাকে। এইসব ক্ষেত্রে এই বায়োইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিন্তু কৃত্তিম উপায়ে আমাদের প্রাকৃতিক যে বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ রয়েছে, তার সবকিছুই তৈরি হয়। মোট কথা বলতে গেলে বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতির সামনে কোনো কিছুই তৈরি হতে বাকি নেই, কৃত্তিম উপায়ে সবকিছুই এখন তৈরি করা হচ্ছে। বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে যেমন এইগুলো তৈরি হয়, তেমনি এখানে কৃত্তিম জীবনও কিন্তু এমন একটি পর্যায়, যেখানে জীবিত কোষকেই ল্যাবে রিসার্চ এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।
এখান থেকে প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে জে.ক্রেগ ভেন্টার ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো কৃত্তিম উপায়ে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করেন, যা জীবনের কৃত্তিম সৃষ্টির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই প্রক্রিয়া থেকেই কিন্তু ধারণা পাওয়া যায় যে, ডিএনএ এবং জেনেটিক যেসব উপাদান আছে তা এইভাবে বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যেতে পারে। বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে যে এই কৃত্তিম হাত, পা এবং বিভিন্ন ধরণের অঙ্গপ্রতঙ্গ তৈরি হচ্ছে, সেটি বর্তমানে মানব সমাজে অনেক আশীর্বাদ স্বরূপ কাজে লাগছে। যেমন এখানে বর্তমানে মানুষের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বা ভুগছে।
কারো জন্ম লগ্ন থেকেই হাত নেই বা কারো এক্সিডেন্ট-এ পা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে আসলে এই কৃত্তিম পা বা হাত তাদের জীবনের চলার পথে এক নতুন সূচনার সৃষ্টি করেছে। তারা এই কৃত্তিম পা ব্যবহার করে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই কিন্তু আবার হাঁটতে পারছে। এর মাধ্যমে আবার জীন এডিটিং এর ব্যবস্থাও আছে। এখানে CRISPR নামক একটি প্রযুক্তি আছে, যার মাধ্যমে ডিএনএ সংশোধন করা যায় এখনকার সময়ে । এর এর ফলে কিন্তু আমাদের যে, বংশগত একটা রোগের সম্ভাবনা থাকে, সেটি সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। আর এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরো ডিএনএ উন্নত করারও প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। তারপর আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যে টিস্যু-কলা রয়েছে বা আরো বিভিন্ন অঙ্গ আছে।
এই সবকিছুই কিন্তু এই বর্তমান প্রযুক্তির মাধ্যমে থ্রি-ডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে এমন ভাবে তৈরি করছে, যা বাস্তবের মতোই সবকিছু। তারপর দেখুন এইগুলো তো আগে থেকেই তৈরি হয়ে আসছে, কিন্তু বর্তমানে আরো একটা অঙ্গ কৃত্তিম উপায়ে তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের কিন্তু শরীরের বাইরের আবরণ অর্থাৎ চামড়ারও অনেক প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে, সেক্ষেত্রে এইসব যাতে ক্ষত জায়গায় স্থাপন করা যায়, তার জন্য কৃত্তিম চামড়া এবং সেই সাথে আরো একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অঙ্গ 'কিডনিও' তৈরি হচ্ছে। এইসবের পাশাপাশি আরো অনেক কিছুর পরিকল্পনা বা রিসার্চ চলছে কৃত্তিম উপায়ে খাবার তৈরি, তারপর ঔষধও তৈরি।
এতে করে মানব জীবনে সবকিছুই সহজ বিষয় হয়ে যাবে। তবে এইসবেরও খারাপ দিক আছে, যদি এইসব কৃত্তিম উপায়ে তৈরির ক্ষেত্রে অসাবধানতা অবল্বন হয়ে যায়, তাহলে আশীর্বাদের জায়গায় অভিশাপ নেমে আসবে। তবে এইগুলোতে অনেক বিশেষ সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে এইসবের মাধ্যমে। এইসব আবিষ্কার আমাদের জীবনকে একটি নতুন উন্নত সময়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ,কিন্তু এইগুলোর ব্যবহার বা রক্ষা করাও আমাদের মানব জাতিরনৌতিক দায়িত্ব।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন দাদা। তবে কৃত্রিম উপায়ে যদি খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো হবে। এতে করে প্রায় সবাই উপকৃত হবে। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।