টমেটো এবং আলু দিয়ে দারুন স্বাদের কই মাছের তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি ভাগ করে নেবো। আজকে আমি কই মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। আর আজকের কই মাছের রেসিপিটি আমি টমেটো দিয়ে করেছি। টমেটো দিয়ে কই মাছের তরকারি দারুন লাগে আর সাথে আলু থাকলে। অনেকদিন বাদে কই মাছ খেলাম বলতে গেলে, কই মাছ মাঝে অনেকদিন কেনা হয়নি ফলে খেতে ইচ্ছা করলেও খেতে পারছিলাম না। আসলে বাইরে বাজারে তেমন যাওয়া হচ্ছে না আর গেলেও যেমন তেমন করে চলে আসতে হচ্ছে। একটু ব্যস্ত থাকার কারণে কোনোদিকে বেরোতে পারছি না তেমন, ফলে বাড়ির ধারে এসে যে যা নিয়ে হাঁকাহাঁকি করছে তাই কিনে নিচ্ছি। আর এই কই মাছগুলো তেমন বড়ো না, খাওয়ার সময় আর না বেছে খেলেও হয়, আমি একটা একটা গালে ঢুকিয়ে দেই ছোট সাইজ এর হলে। আর বাড়িতে যেহেতু আমি ছাড়া তেমন কেউ খাওয়াদাওয়া বেশি করে না তাই আমাকেই বেশিটা খেয়ে উদ্ধার করতে হয়। যাইহোক আমি এখন এই সুস্বাদু রেসিপিটার উপকরণগুলোর দিকে চলে যাবো।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
❦এখন রেসিপিটি শেষ পর্যন্ত যেভাবে তৈরি করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
➤প্রথমে কই মাছগুলোকে ভালোভাবে কেটে নিতে হবে এবং পরে তা জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জলে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤টমেটো দুটি কেটে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলোও কেটে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা সেই কই মাছের সব পিচগুলোতে লবন আর হলুদ দিয়ে দেওয়ার পরে হাত দিয়ে গায়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে অল্প অল্প করে সবগুলো কই মাছ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤আলুর পিচগুলো সব লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কাটা পেঁয়াজ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে পুনরায় পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে একটু পরে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা টমেটো জিরার সাথে নেড়েচেড়ে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে লবন, হলুদ ১ চামচ করে আর কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সেদ্ধ করে রাখা সেই টমেটোর সাথে সব ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম। মিক্স করা হয়ে গেলে তাতে জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤তরকারিটা মিডিয়াম আঁচে কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা কই মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤ভাজা কই মাছগুলো দেওয়ার পরে তাতে ভাজা পেঁয়াজ এর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারির সাথে নেড়ে একটু মিশিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা ভালো মতো হয়ে আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম।
➤অপেক্ষা করার পরে আমার তৈরি হয়ে গেছিলো দারুন স্বাদের কই মাছের তরকারি। ছোট ছোট কই একটা একটা করে গালে ঢুকিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আর এমনিতে কই মাছের যে স্বাদ তাতে ছোট ছোট সাইজ এর খেয়ে পোষাতে চায় না। যাইহোক এই স্বাদের রেসিপিটা এখন পরিবেশন করার জন্য রেডি আছে।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কৈ মাছের কথা শুনলেই কৈ মাছের ভাজির কথা মনে পড়ে। আমি আগে থেকেই কৈ মাছের ভাজি অনেক পছন্দ করি। কৈ মাছের তরকারিও অনেক খাওয়া হয়েছে। আজকে আপনার কৈ মাছের রেসিপি দেখে কৈ মাছের সেই পুরোনো স্বাদের কথা মনে পড়ে গেলো দাদা। গ্রামের বাজারে কিছু কিছু কৈ মাছ পাওয়া যায় যা অত্যান্ত মজার হয়ে থাকে। তবে আমি কৈ মাছের ক্ষেত্রে দেশি কই বেশি পছন্দ করি।
আপনি আলু টমেটো দিয়ে অসাধারণ ভাবে কৈ মাছের তরকারি রান্না করেছেন। সত্যি বলতে আলু আর টমেটোর কারণে আপনার রেসিপিটা বেশি ভালো লাগছে। তরকারির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা মজা হয়েছে। বিশেষ করে মাছ আর সবজি আগে ভেজে নেওয়ার ফলে রেসিপিটি আরো দারুণ দেখাচ্ছে। কৈ মাছের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো দায়।
দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকের রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি আলু টমেটো দিয়ে আমিও কৈ মাছের রেসিপি ট্রাই করে দেখবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
দাদা আপনার কথা শুনে খুবই মজা পেলাম দাদা😅। সমস্যা নেই দাদা যখন খাবার আরও বেশি হয়ে যাবে তখন আমাদেরকেউ একটু দাওয়াত দিয়েন। কারণ আপনার হাতের রান্না খাওয়ার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। আর আজকে আপনি এত সুন্দর ভাবে আলু ও টমেটো দিয়ে কই মাছের মজার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। কই মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কই মাছের ঝোল করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনি আপনার দক্ষতায় অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরীর সম্পূর্ণ প্রসেস আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💓💓
বাসায় যেহেতু সবাই কম খায় সেহেতু সব মজার মজার খাবার গুলো তো আপনি একাই সাবাড় করে দিতে পারেন, বেশ মজার বেপার দাদা হি হি হি।
টমেটো এবং আলু দিয়ে কৈ মাছের রেসিপিটি দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে দাদা। রেসিপিটির রং দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। দাদা খুবই ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কই মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন। দাদা আসলে কই মাছ আমার খুবই প্রিয়। কই মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপির করলে খুবই বেশি মজাদার হয়। তবে আমার কাছে কই মাছ ভাজি করে গরম ভাতের সাথে খেলে বেশি মজাদার, বিশেষ করে এখন অনেক ধরনের কই মাছ চাষ করা হচ্ছে, আর এই কই মাছের তুলনায় প্রকৃতির বেড়ে ওঠা কই মাছে তুলনায় অনেক কম লাগে। তাই করি মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করা দেখতে পেয়েছিলেন শুভকামনা রইল।
একেবারে একি রকম ভাবে আমাদের বাড়ীতেও রান্না হয় কৈ মাছ মাঝে মাঝে। দাদা টমেটো দিলে সত্যি অনেক স্বাদ লাগে। তবে আমাদের এখানে এখন টমেটো প্রায় শেষ আর যে গুলো আছে সেগুলো খুব একটা স্বাদ হয় না। আপনার কাটা টমেটো গুলো দেখে কিন্তু খুবি তরতাজা মনে হচ্ছে।
আমার কাছে কিন্তু দাদা মাছ গুলো বেশ বড় লাগছে ছবিতে। তবে আমি আরো ছোট কৈ মাছ কিনি যদিও মা বকাবকি করে কারন কুটতে বেশ সময় লাগে। কিন্তু স্বাদ টা দারুন। আর ঐ যে বললেন একটা আস্ত গালে ঢুকিয়ে দেন আমি তো লেখাটা পড়ে অবাক। ছোট বেলায় মা যখন কৈ মাছ কাটতো তখন কৈ মাছের ভিতর বরশি পেতো । কিন্তু এখন আর পাওয়া যায় না। রান্নার ধরন যেহেতু আমাদের মতই তাই স্বাদ টা দারুন হয়েছে সেটি বুঝতে একটুও অসুবিধে হয় নি। ধন্যবাদ দাদা ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
না, ছোট আছে। দুই-একটা বড়ো আছে। তবে এই বড়ো বড়ো বলে না, আমার কাছে ছোট। এ আমার বেছে খাওয়ায় পোষায় না বরং সব গালে ঢুকিয়ে দিয়ে খেতেই বেশি মজা পাই।
আমি কই মাছ খেতে খুব পছন্দ করি। তবে সব সময় আমাদের এখানে কৈই মাছ পাওয়া যায় না। আপনার রেসিপি টা দেখে আমার খুবই লোভ হলো কই মাছ খাওয়ার জন্য। যাই হোক টমেটোর সাথে মাছ রান্না করেছেন কিছুটা টক মিষ্টি জাতীয় রেসিপি হয়েছে।
টমেটো এবং আলু দিয়ে দারুন স্বাদের কই মাছের তরকারি শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আলু আর টমেটো এর সাথে কই মাছ দিয়ে ধারাবাহিক রান্নার উপস্থাপন, সঠিক উপকরণের সংমিশ্রণ, সাথে পোস্টকে এত সুন্দর করে সাজানোর বিষয়টি, কারো চোখ এড়িয়ে যাবে না । রন্ধন যখন সম্পন্ন হয়েছে, স্বাদ সেখানে থেকেই যাবে।
আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি আলু ও টমেটো দিয়ে কই মাছের রেসিপি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আমি মনে করি অনেক সুস্বাদু হবে খেতে। দাদা আপনি রেসিপিটিতে সরিষার তেল ব্যবহার করেছেন তাই আমি মনে করি রেসিপিটির টেস্ট হবে একটু অন্য রকম। আপনার উপস্থাপন টা অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।