প্ল্যান্ট বায়োলজি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। আজকে আপনাদের সাথে প্ল্যান্ট বায়োলজি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো। আসলে প্ল্যান্ট বায়োলজি বিষয়টার মধ্যে অনেক গভীরতা আছে, এখানে উদ্ভিদের বিভিন্ন বিষয় আমাদের জীবনের সাথে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে জড়িত আছে। আমাদের পৃথিবীতে উদ্ভিদগুলো যে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে, শুধু কি তাই! শুধু এই অক্সিজেন সরবরাহ করা ছাড়াও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় হিসেবে খাদ্য, তারপর ঔষধ ইত্যাদি সবই কিন্তু এই উদ্ভিদের থেকে আসে আর এইগুলো আমাদের বিভিন্ন জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মূলত উদ্ভিদের বিভিন্ন গঠন, প্রক্রিয়া সহ প্রজনন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করেই আমাদের এই প্ল্যান্ট বায়োলজি বিষয়টা গড়ে উঠেছে। আর সবথেকে এই উদ্ভিদের ক্ষেত্রে একটি প্রধান বিষয় হলো ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন বিষয় উৎপন্ন হয় । যেমন উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এই ফটোসিন্থেসিস পদ্ধতিকে একপ্রকার জাদু হিসেবে ধারণা করা হয়ে থাকে। কারণ এটি একমাত্র সেই পদ্ধতি- যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সূর্যের আলো, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং জল ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন করে থাকে। এখন আসলে উদ্ভিদের যে আসলে বৃদ্ধির জন্য যে প্রয়োজনীয় শক্তি হিসেবে শর্করার প্রয়োজন হয়ে থাকে, সেটা কিন্তু এই যে প্রক্রিয়াগুলো, সেইগুলোর মাধ্যমে উদ্ভিদ সূর্যের আলোকে সরাসরি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে থাকে। এটা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
এখন আমরা যে উদ্ভিদের সবুজতা লক্ষ্য করে থাকি, তারপর আমাদের প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য স্বাসপ্রশ্বাস হিসেবে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়ে থাকে, সেটি আসলে কিভাবে হয়ে থাকে! এটির বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে-যেমন, ক্লোরোফিল নামক একটি বিষয় আছে এবং এটিই কিন্তু উদ্ভিদের সবুজতা প্রদান করায় ভূমিকা রেখে থাকে। তাছাড়া অক্সিজেন উৎপাদন এর বিষয়টা, যেমন-সূর্যের আলোকে শোষণ করার মাধ্যমে জল আর কার্বন ডাইঅক্সাইড থেকে যে অক্সিজেন আর গ্লুকোজ তৈরি করে থাকে, সেটির মাধ্যমেই উৎপন্ন এই অক্সিজেন আমাদের সমস্ত প্রাণীকুলের স্বাসপ্রস্বাসের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। উদ্ভিদের বৃদ্ধিটাও কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে, তবে শুধু উদ্ভিদের বড়ো হওয়ার সাথে সাথে তার বিভিন্ন অংশেরও বৃদ্ধি হয়ে থাকে ধাপ অনুযায়ী।
যেমন এখানে মাইটোসিস আর কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন কোষের উৎপন্ন হয়ে থাকে। তবে এই কোষগুলোর মধ্যে উদ্ভিদের শীর্ষভাগে একধরণের মেরিস্টেম নামের টিস্যু উৎপন্ন হয়ে থাকে আর সেটিই মূলত উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রধান ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এই উদ্ভিদের আরো বেশ কিছু অংশ যেটা আগেই বললাম-পাতা, ফুল, ফল এইগুলো বিকাশও ধীরে ধীরে হয়ে থাকে আর পাতা মূলত ওই ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই খাদ্য তৈরি করে থাকে। এটা একটা সহজ বিষয়, এখানে আসলে ফুল নরমালি প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে থাকে আর বীজ উদ্ভিদের বিংশবিস্তারের মাধ্যমে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এছাড়া আরো অনেক কিছু আছে, যেমন সহজ ভাবে বলতে গেলে আলো, জল, মাটি এইসব উদ্ভিদের বাহ্যিক গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে আবার বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে, এরা যৌন, অযৌন, পরাগায়ন এইসবের মাধ্যমে ঘটিয়ে থাকে। মূলত এইসবের মাধ্যমেই উদ্ভিদের টিকে থাকা এবং আমাদের এই পৃথিবীর বুকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উদ্ভিদ না থাকলে আমাদের কারো কোনো অস্তিত্ব থাকতো না, উদ্ভিদ খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যগুলো রক্ষা করে থাকে। উদ্ভিদের সব ক্ষেত্রে বাঁচিয়ে রাখা একটা প্রধান বিষয় এই বর্তমান সময়ে বিশেষ করে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্ল্যান্ট বায়োলজি বা উদ্ভিদ জীববিজ্ঞান সম্পর্কে চমৎকার আলোচনা করেছেন দাদা। উদ্ভিদ নিঃসন্দেহে আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এককথায় বলতে গেলে উদ্ভিদের জন্যই পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। পোস্টটি পড়ে প্ল্যান্ট বায়োলজি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।