ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নিকষ ছায়া ( সিজন ১: শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নিকষ ছায়া' নামের ওয়েব সিরিজ এর ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "সম্মুখ সমর"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, বন্যা মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য ভাদুড়ী স্মশানে শব সাধনা শুরু করে দিয়েছিলো। আজকে এই পর্বে কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
মূলত ভানু তার সেই পিশাচের সাথে বন্যার বিয়ে দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা শুরু করে দেয় এবং পরে পুজোও শুরু করে দেয় বিয়ের। বন্যাকে তার বিয়ের সমস্ত সরঞ্জাম দিয়ে আসে রেডি হয়ে আসার জন্য। আসলে যেহেতু বন্যাকে সে বশে রেখেছে, তাই মেয়েটির অনিচ্ছা সত্বেও সবকিছু করতে হচ্ছে। এদিকে ভাদুড়ী এবং অমিয় তার সমস্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ভানুর বাড়ির দিকে অর্থাৎ যেখানে তাদের বিয়ে দিচ্ছে সেখানে রওনা দিয়ে দেয়। এদিকে সেই পিশাচ এবং মেয়েটিও বিয়ের সাজে রেডি হয়ে এসে পিঁড়িতে বসে পড়ে। মন্ত্রও শুরু করে দেয় ভানু, সে মানে সবকিছু মোটামুটি নিয়ম অনুযায়ী করে তাদের দ্রুত বিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে। কারণ যদি ভাদুড়ী এসে যায়, তাহলে তার সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে। গলায় মালার পর্ব শেষ করে ফেলে এবং ওই মুহূর্তেই ভাদুড়ী এবং অমিয় তার সমস্ত ফোর্স নিয়ে পৌঁছে যায়।
এইবার তো আর উপায় নেই, তখন ভানু তার তন্ত্র বিদ্যার দ্বারা তাদের আটকানোর জন্য অনেক রকম উপায় খুঁজতে থাকে এবং যে নেই এখানে, তাকেও তন্ত্র বিদ্যার দ্বারা সেখানে উপস্থিত করে ভাদুড়ির সামনে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু যেহেতু ভাদুড়ী একজন দক্ষ তান্ত্রিক, তাই সে এই চাল বুঝতে পেরে যায়। ওইদিকে তাদের বাড়িতেও একইভাবে বিভ্রান্ত তৈরি করার চেষ্টা করে অর্থাৎ বাড়ির ইলেকট্রিক চলে যায় এবং দরোজায় কেউ না থাকা সত্বেও দরোজায় জোরে জোরে ধাক্কা দিতে থাকে। আর যেহেতু অমিয় এর ওয়াইফকে ভাদুড়ী তন্ত্র বিদ্যা শিখাচ্ছে তাই সে সেই মন্ত্র উপয়োগ করে পরিস্থিতি সামলে নেয়। এদিকে ভানু আর বেশি দেরি না করে দ্রুত সেই পিশাচকে বন্যার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু ভাদুড়ী তার তন্ত্র বিদ্যার দ্বারা পিশাচের হাত জ্বালিয়ে দেয় এবং বন্যাকে এই পাপিষ্ঠের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়।
ভানু পিশাচকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে, কারণ ওখানে থাকলে তাকে মেরে ফেলতো। এদিকে বিয়ে না দিতে পেরে ভানু মেয়েটিকে গলা চেপে মেরে ফেলতে চায়, কিন্তু ভাদুড়ী একইভাবে তার তান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভানুকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ছিটকে দেয়, কিন্তু ভানুও যেহেতু একজন শক্তিশালী শব সাধনার দ্বারা নিজেকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে, তাই সে ওখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু সে অন্য জায়গায় হাত দেয় অর্থাৎ ও যে আসলে পালিয়ে গিয়েছে শুধু তা নয়, সোজা অন্য কোথাও গিয়ে তার তন্ত্র বিদ্যা কাজে লাগিয়ে অমিয়র ওয়াইফকে বশে করে তার কাছে ডেকে নেয়। আর সেটা ফোন করে আবার অমিয়কে জানায়। কেস এখানে আবার উল্টো করে ফেলেছে ভানু।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এইটা আসলে সিজন ১ এর শেষ পর্ব ছিল। এখানে আসলে মূল গল্প হলো এই ভানু মূলত এক সময়ে ভাদুড়ির শিষ্য ছিল। ভাদুড়ির কাছে সবকিছু অর্থাৎ এইসব বিভিন্ন তন্ত্র বিদ্যায় পারদর্শী হওয়ার জন্য অনেক আগ্রহ দেখাতো। আর সে তার শিষ্যদের মধ্যে সেরা ছিল। এই ভানুর আসল নাম হলো লোকনাথ। কিন্তু ভাদুড়ির কাছে একদিন ধরা পড়ে যায়, কারণ সে তার তন্ত্র বিদ্যাকে অসৎ কাজে লাগিয়ে শব সাধনার দ্বারা মৃত মানুষকে জাগিয়ে তার মাংস ভক্ষণ করেছিল। এরপর তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। এরপর পরে সে নিজেকে ভানু নামে প্রতিষ্ঠিত করে আর এই শব সাধনার দ্বারা অসৎ কাজগুলো করতে থাকে। আর এখন তো ভাদুড়ির ঘরে হাত দিয়েছে, কাহিনী এখানে কিন্তু শেষ হয়নি। এর এখনো কাহিনী বাকি আছে, তবে সিজন ২ খুব দ্রুত আসবে। তখন এর শেষ পরিণতি কি হয় সেটা দেখা যাবে। সিজন ২ বেরোলে আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করে নেবো বাকি কাহিনীটা কি হচ্ছে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৯/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকে এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আজকে এই ওয়েব সিরিজটার আরো অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভানুর আসল নাম দেখছি লোকনাথ। আর ও দেখছি ভাদুড়ীর কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে একদিন। বুঝতেই পারছি এখনো পর্যন্ত আরো অনেক কাহিনী বাকি রয়েছে। সিজন ২ এর জন্য এখন অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
ভাদুড়ী বন্যা মেয়েটাকে সেই পিশাচের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পেরেছে,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে ভানু তার তান্ত্রিক শক্তি দ্বারা অমিয়র ওয়াইফকে বশে করে তার কাছে ডেকে নিয়েছে,এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। পরবর্তী সিজনটা মনে হচ্ছে বেশ জমজমাট হবে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো এই পর্বের রিভিউ পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।