বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম "চলন বিল"
মঙ্গলবার
তারিখ - ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম "চলন বিল" নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের দেশে সর্ববৃহৎ যে বিলটি অবস্থিত সে বিলের নাম হচ্ছে চলন বিল। আর চলন বিলটি নাটোর জেলায় অবস্থিত। বিশাল আকৃতি নিয়ে গঠিত এই বিলটি। কেননা পার্শ্ববর্তী অনেক জেলা উপজেলা নিয়ে এ চলন বিলটি গঠিত হয়েছে। অবশ্য বর্ষার সময় এই চলন বিলটি দেখতে অসাধারণ লাগে। চারিদিকে পানি থই থই করে অবশ্য বর্ষার মৌসুমে যখন ট্রেনে করে যাতায়াত করা হয় তখন এই চলন বিলের সৌন্দর্যতা ফুটে ওঠে। অবশ্য এই বৃষ্টির কারণে এখানে অবস্থিত কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। কেননা তারা চলন বিলের মধ্যখানে বসবাস করে। আর ঠিক সেই কারণে তাদের বসবাস করতে অসুবিধা হয়।
আপনারা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটির মাধ্যমে নদী এলাকার মানুষজন অনেকেই চিনে থাকেন। কেননা এই পদ্ধতির সঠিক নাম আমার জানা নেই। তবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে নদীতে এবং বড় বড় খাল বিলে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এটা বিলের ভিতরে কাছাকাছি বিলের পাড়ে অবস্থিত হয়ে থাকে। কেননা সেই দিকে বেশি পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। আর সাধারণত এই পদ্ধতিতে প্রাচীনকাল থেকে মাছ ধরা পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনেকে এই পদ্ধতিতে খাল বিলে মাছ ধরে থাকে। এবং তাদের সাথে একটি করে নৌকা বাঁধা থাকে। যাতে করে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারে।
চলন বিলের ভিতরে নৌকা দিয়ে অনেক মাঝি মাছ ধরে থাকে। তারা এই নৌকা নিয়ে গিয়ে বিলের মাঝখানে মাছ ধরে থাকে। কেননা সব সময় মাছ বিলের সব জায়গায় তে পাওয়া যায় না। তার জন্য বিলের গভীরে প্রবেশ করতে হয়। আর সেই জন্য নৌকার প্রয়োজন। যেটা দিয়ে মাঝি সহজেই বিলের গভীরে গিয়ে মাছ ধরতে সক্ষম হবে।
আপনারা দেখুন যে চলন বিলের পানি কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই চলন বিলটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে বিল তার পুরাতন জীবন পেয়েছে। কেননা নদী, খাল- বিল এগুলোতে পরিপূর্ণ পানি না থাকলে ভালো দেখায় না। তবে এই চলন বিলে অনেক রকম এর মজাদার মাছ পাওয়া যায়। এই বিলে অনেক রকমের মাছ পাওয়া যায় সেগুলো এখানকার স্থানীয় মানুষ ক্রয় করে নেয়।
এই ছবিগুলো আমি ট্রেনের ভিতর থেকে তুলেছিলাম। অবশ্য চলন বিল এর আগেও আমি দেখেছি তবুও আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করলাম।
ডিভাইস | Xiaomi Mi A2. |
---|---|
লোকেশন | চলন বিল, নাটোর। |
ফটোগ্রাফার | @shamimhossain |
https://twitter.com/mdshamim1252/status/1701465568057131101?t=djOeMhhXsMSBWD3n_XeQGQ&s=19
বাংলাদেশের বৃহৎ বিলের মধ্যে চলনবিল হচ্ছে অন্যতম। চলন বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। চলন বিলটি নাটোর জেলায় অবস্থিত। এই বিলের আকৃতি অনেক বিশাল, এক পাশ থেকে তাকালে আরেক পাশ দেখার কোন সুযোগ নেই শুধু পানি আর পানি। বর্ষার মৌসুমে এই বিলের সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে। বিলের মধ্যে নৌকা চলে বিলে শাপলা ফুল ফুটে। প্রতিবছর এই চলনবিলে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়, যেটা অনেক টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় । আমার বাড়ি টাঙ্গাইল হওয়ার সুবাদে, চলন বিলের মাঝখান দিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয় আমার। একবার বাড়ি যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে নৌকা বাইচ দেখেছিলাম। মাছ ধরার জন্য যে জালটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় খরাজাল বলা হয়। খরা জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় নদীতে বিলে খালে। এই বিলে অনেক মাছ পাওয়া যায় আমিও শুনেছি। আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই, ট্রেন থেকেও আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার যাত্রা শুভ হোক। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বাংলাদেশের বৃহৎ চলন বিল নিয়ে আমাদের মাঝে এত সুন্দর উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
বিলটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বড়। চলনবিল দেখতে অনেক সুন্দর। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চলনবিল দেখতে পেলাম। চলনবিল সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। ফটোগ্রাফিগুলো মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর হয়েছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিল নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
দেখতে অসাধারণ লাগতেছে এই চলনবিল যদিও আমি কখনো সেখানে যায়নি তবে বাসা থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় একটা বিল এরকম দেখছি জানিনা ওটাই কিনা। তবে বিলের নৌকাগুলোতে চলতে আমার বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আর লিখেছেন অনেক সুন্দর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
চলন বিল নাটোর জেলায় অবস্থিত। পার্বতীপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে এই বিল লক্ষ্য করা যায়। এই বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় শুনেছিলাম। এই বিলে কখনো ঘুরতে যাওয়া হয়নি। ছবিগুলো আপনি বেশ চমৎকার কিছু ছবি তুলেছেন। ছবিগুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। আশা করি আমরা কোন এক সময় এই বিলে ঘুরতে যাব। বর্ষার সময়ে এইবেলের চেহারা অন্য রকম হয় তবে এবার বৃষ্টি কম হয় এখানকার সে রূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো চলনবিলের কথা আমরা অনেক ভাবে জানতে পারি। আমরা আমাদের পাঠ্যবই য়ে চলনবিল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনেছিলাম চলনবিল আমাদের আসলে একটি ঐতিহ্যবাহী বিল। এই বিলটি বাংলাদেশের সব থেকে বড় বিল। চলনবিলে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় এবং এখানকার আশেপাশের জেলেরা মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। বিলে যখন পানি কমে যায় তখন কৃষকরা এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে এখানে ধান আলু পেঁয়াজ ইত্যাদি ধরনের ফসল চাষাবাদ হয়। যদি হাতে সুযোগ এবং সময় থাকে তাহলে আমরা সবাই মিলে একদিন এই চলনবিল ঘুরতে যাব। এটি আমাদের বাড়ি থেকে তেমন একটি দূরে নয়। আমাদের পার্বতীপুর থেকে ট্রেনে উঠলে মাত্র তিন ঘন্টায় নাটোর চলে যাওয়া যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য। আপনার এই ছবিগুলোর মাধ্যমে আমরা চলনবিল দেখতে পেলাম। আমরা অনেকে এটি দেখিনি আপনার মাধ্যমে আজকে দেখতে পেলাম।
ধন্যবাদ।
চলন বিল নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। চলন বিলের আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে এই বর্ষাকালে। চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করেছেন। ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে চলন্ত ট্রেন থেকে তুলেছেন। অন্যান্য সময় গেলে মানুষ বুঝতেই পারবে না যে এটা চলন বিল। কারন অন্যান্য সময়ে চলন বিলে মানুষ ধান, পাট আবাদ করে।
ধন্যবাদ ভাই।
বই পুস্তকে অনেক পড়েছিলাম এই চলন বিলের কথা । কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে চলন বিলের যে ফটোগ্রাফি দেখলাম তাতে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাংলার রূপ বৈচিত্র্য কিন্তু সত্যিই অনেক অপরূপ। তাই তো কবি ঠিকই বলেছেন যে- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী যে সে আমার জন্মভূমি।
ধন্যবাদ