The Diary Game : (12/8/20) : আজকের দিনলিপি
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও আমার দিন কিভাবে অতিবাহিত করেছি তা উপস্থাপন করব। প্রতিদিনের মত আজকেও আমি ঘুম থেকে দেরিতে উঠতে চেয়েছিলাম কিন্তু আজকে আমার একটা কাজের জন্য তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয়। ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল ৬টা বেজে গেছে। ঘুম থেকে উঠে দেরি না করে তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারাতাড়ি ফ্রেশ না হলে আমার ঘুম ছারবে না। আসলে আজকে তারাতাড়ি উঠার কারণ হল আমার শহরে যেতে হবে। আমি শহরে এক হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করি। অনেকদিন হল সেইখানে যাই না তাই আজকে সকালে একটা কাজে সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছি। সকাল সকাল উঠে আম্মুকে নাস্তা বানানোর জন্য বললাম। আম্মু তারাতাড়ি নাস্তা হিসেবে রুটি আর ডিম ভাজি করে দিল। তারাতাড়ি খেয়ে নিলাম। তারাতাড়ি খাওয়ার কারণ হল আমার সকালের বাস ধরতে হবে। সকালের বাস ধরতে না পারলে শহরে যেতে অনেক সময় লাগবে। সকালের বাস আসে ৭:১৫ দিকে। শহরে যাওয়ার জন্য ধাপে ধাপে অনেক বাস আছে। অবশেষে বাস আসল সকাল ৭:৩০ মিনিটে। মাঝে মাঝে বাস আস্তে একটু দেরি করে। আসলে যান্ত্রিক জিনিসে একটু সমস্যা হতেই পারে। বাস আসার সাথে-সাথেই উঠে পরলাম বাসে। বাসে উঠে দেখি এক আসনও খালি নেই। কি আর করব আমার যে শহরে যেতেই হবে। বাসের সামনে দারিয়ে পরলাম। বাসে দারিয়েই শহরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। একটু পরে বাস ছেরে দিল। অনেকটা যাওয়ার পর অবশ্য আসন পেয়েছিলাম। অবশেষে শহরে গিয়ে অবতরণ করলাম। আমি যেখানে গিয়েছিলাম মানে আমার হোস্টেলে কাজ শেষ করলাম। আমার হোস্টেলের সাথেই আবার আমার প্রানপ্রিয় কলেজ।
প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জিবনে সফল বয়ে নিয়ে আসে এই মহাবিদ্যালয় গুলো। কলেগ কেম্পাস সত্তিই অনেক আনন্দের যায়গা। এইখানে সব বন্ধুবান্ধবরা একসাথে বসে গল্প করা যায়। একসাথে বসে পড়াশুনা করা যায়। সত্তিই আনন্দের কোন সিমা নেই এই কলেজ কেম্পাসে। অনেকদিন পর কলেজে প্রবেশ করেছি। সব কিছু যেন নতুন মনে হচ্ছে। অনেকদিন হল কলেজে কারও আনাগোনা নেই ত ঘাস গুলো সব নতুন ভাবে গজিয়েছে দেখতেই অসাধারণ লাগছে। শহরে আমার অনেক গুলা বন্ধু আছে যাদের বাসা শহরেই। আমি যাওয়ার আগের দিনেই বন্ধুদের বলে রেখেছিলাম যে আমি আসব কালকে। শহরে গিয়ে অদের ফোন দিলাম। বন্ধুরা সবাই আসল। কেম্পাসে বসে সবাই মিলে অনেক সময় গল্প করলাম। সবাই যার যার দিনকাল সম্পর্কে বলল। কে কেমন ভাবে দিন পারি দিচ্ছে। অনেকদিন পর সব বন্ধুদের সাথে গল্প করে মনটা যেন ভরে গেল। কলেজের সেই প্রিয় শহীদ মিনারে বসে ছিলাম অনেক সময়। গল্প করতে করতে দেখি বেলা ১২টা বেজে গেছে। তখন বন্ধুদের বললাম আমি চলে যাব। সবাই আরও কিছুক্ষণ থাকে বলল কিন্তু আমি আর দেরি না করে বাসার দিকে রওনা হলাম। আবার সেই বাসে উঠার জন্য বাসস্ট্যান্ডে গেলাম। বাস আসল ১২:১৫ মিনিটে। আসার সাথে-সাথেই উঠে পরলাম বাসে। এবার আগে থেকেই আসন পেয়েছি। পুরো রাস্তা আসনে বসেই এসেছি। বাসায় আসতে আসতে ১:২৫ বেজে গিয়েছিল। অবশেষে বাসায় আসলাম শহর ছেরে।
বাসায় এসে সাথেসাথেই একটু বিস্রাম করার জন্য শুয়ে পরলাম। অনেক সময় বাসে আসছি তাই মাথায় একটু খারাপ লাগছে। একটু বিস্রাম নিয়ে গোসল করলাম। গোসল করার পর সব ক্লান্তি শেষ হয়ে গেল। শরীর যতই খারাপ থাকুক না কেন দুপুরে গোসল সম্পুর্ণ করলে যেন সব ক্লান্তি এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। গোসল শেষ করে রুমে আসলাম। রুমে কিছুক্ষণ থেকে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম।
আম্মুকে তারাতাড়ি ডাকলাম খাবার দেওয়ার জন্য কারণ অনেক সময় বাসে ছিলাম এজন্য খুধা বেশি লাগছে। আম্মু এসে খাবার সামনে দিয়ে গেল আমি ধিরে ধিরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। প্রতিটি পরিবারেই দুপুরের খাবার একটু ভিন্ন রকম হয়। অনেকগুলো পদ থাকে দুপুরের খাবারে। আজকে দুপুরে আমি গরুর মাংস খেয়েছি। গরুর মাংস আসলে প্রায় মানুষের বেশী প্রিয়। আমারও অনেক প্রিয়। ভাইবোন আব্বু সবাই মিলে দুপুরের খাবার সম্পুর্ন করলাম। আমার খাবার খেতে খুব একটা সময় লাগে না। এভাবেই সবার সাথে একসাথে বসে দুপুরের খাবার সম্পুর্ন করলাম।
দুপুরের খাবার শেষ করে রুমে এসে ফোন নিয়ে গেম খেলা শুরু করলাম। ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে ভালই লাগে। এখন এই গেম খেলার জনপ্রিয়তা অনেক। গেম খেলতে খেলতে ঘুম চলে আসল। ফোনটা রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। দুপুরে ঘুম পারলে শরীর ও মন উভয় ভাল থাকে। আমি প্রতিদিনই প্রায় ঘুমিয়ে থাকি।
ঘুম থেকে উঠে দেখি ৪টা বাজে। ঘুম থেকে উঠে মন চায় একটু প্রকিতির মাঝে ঘুরতে। আমাদের আবার একটা জায়গায় বাগান আছে। আমাদের বাগানে অনেকগুলো গাছ আছে।
আম গাছ
লেবু গাছ
বাদামি গাছ
মাল্টা গাছ
এই সব মিলে আরও অনেক গাছ আছে আমাদের বাগানে। বাগানের একপাশে খামার আছে। খামারে অনেকগুলো গরু ছিল একসময়। বাগানে প্রবেশ করলে মনটা ভরে যায় যখন দেখি নিজের লাগানো গাছে ফল ধরেছে। আসলে নিজের গাছে যদি কোন ফল ধরে সেই ফল দেখলে মন খুশিতে ভরে যায়। বাগানে কিছু নতুন গাছ বুনেছি সেগুলোতে পানি দিলাম। বাগানে ঘুরতে ঘুরতে আছরের আযান দিল এবং সাথে-সাথেই বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় আসে ফ্রেশ হয়ে ভাবলাম চৌবারি যাব বানানো মুরি খাইতে। অইখানকার বানানো মুরি খাইতে খুব মজা লাগে। দেরি না করে দুই বন্ধু প্রস্তুত হয়ে বের হলাম গাড়ি নিয়ে মুরি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। গাড়ি নিয়ে ভ্রমন করার মজাই ভিন্ন। আর বিকেলে গাড়ি নিয়ে যখন ভ্রমন করি তখন প্রকিতি দেখতে খুবই ভাল লাগে। অবশেষে চলে আসলাম চৌবারি মুরি খাইতে। দুই বন্ধু মিলে মুরি খেয়ে কিছুক্ষণ খেলা দেখলাম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল দেরি না করে আবার বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম। সন্ধ্যায় মিটমিট করে গাড়ির বাত্বি জালিয়ে গাড়ি চালাতে খুব মজা। অবশেষে রাত্রি ৭:৩০টার সময় বাসায় আসলাম।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু পড়াশুনা করলাম। পড়াশুনা করতে করতে দেখি ৯টা বেজে গেছে। আম্মু ডাকতেছে খাবার খাওয়ার জন্য। আমি আর দেরি না করে বই বন্ধ করে গেলাম রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। আমি প্রতিদিনই প্রায় রাত্রে একটু দেরিতেই খাই। আসলে বেশি তারাতাড়ি খেলে রাত্রে আবার খুধা লাগে। রাত্রে আম্মুর হাতে বানানো ছোট মাছ রান্না করা খেলাম। ছোট মাছ খাওয়া সত্তিই অনেক উপকার। প্রতিদিন একটু একটু ছোট মাছ খাওয়া উচিত।
রাতের খাবার শেষ করে রুমে এসে একটু বিস্রাম করে কম্পিউটারে কিছুক্ষণ কাজ করলাম। কাজ শেষ করে ঘুমানোর আগে মুভি দেখার ইচ্ছা হল। আমার আবার মুভি দেখতে ভালই লাগে। ইংরেজি মুভির কাহিনিগুলো খুব সুন্দর হয়। তাই পছন্দ করে ইংরেজি মুভি দেখা শুরু করলাম। প্রায় এক ঘন্টা মুভি দেখলাম। মুভি শেষ করে দেখি রাত্রি ১০:৪০
বেজে গেছে। আর দেরি না করে আলতো করে শুয়ে পরলাম ঘুমানোর জন্য। এইভাবেই আমি আমার আজকের দিনলিপি সম্পুর্ন করলাম। আজকের দিনলিপিটা সত্তিই আমার কাছে অনেক আনন্দের ছিল।
সবারই সুন্দরভাবে দিন অতিবাহিত হোক এই শুভকামনা নিয়ে আমি আমার আজকের দিনলিপি শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
Hi @nazmulorkid A Really Really Beautiful Blog. Thank you share this diary game. Keep it up.
Did you see avengers: End game or Thor ?
#onepercent
#bangladesh
greeting from @tarpan
Yes. I watch every part of Avengers movie.