BOC-story ||| হামিদের জীবন কাহিনী পর্ব-০২ ||| original writing by @saymaakter.
হ্যালো, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে সময় অতিক্রম করছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভাল আছি।
আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আমার ছোট গল্প নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্পের প্রথম পর্ব কেমন লেগেছে সেটি আপনাদের সুন্দর মন্তব্য পেয়ে বুঝতে পেরেছি। যে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগলো লেগেছে। তাই তো গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের দ্বিতীয় পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
এ ধরনের কথা হামিদের মুখ থেকে শুনে এ বিষয়টি নিয়ে মালিক এলে মালিকের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলেন, যে এই বিষয়টি নিয়ে এখন কি করা যায়।তখন মালিক টেইলার মাস্টার কে বলল যে দেখো এমনিতে হামিদ অনেক ভালো কর্মী এবং ভালো ছেলে। সে কখনো মিথ্যা কথা বলে না বা অসৎ কাজ করে না সে আমাদের জন্য অনেক বড় একজন এবং ভালো একজন কারিগর।তাই কোন ভাবে হামেদকে এখান থেকে চলে যেতে দেওয়া যাবে না। তাকে যেভাবেই হোক এই কারখানাতে রাখতে হবে।ও কারিগর হিসাবে থাকলে আমাদের ব্যবসাটা অনেক ভালো যায় বা যাবে।
একথা মালিকের মুখ থেকে শোনার পরে মালিক কে বলল ঠিক আছে তাহলে কারিগরদের কে নিয়ে একদিন বসা হোক এবং এ বিষয়টার একটা সমাধান টানা হোক। এভাবে চললে তো হামিদ এখানে থাকতে চাচ্ছে না সে চলে যেতে চাচ্ছে।তখন মালিক বলল ঠিক আছে আগামী শনিবার সকল কারিগরদের নিয়ে দুপুরের পরে আমরা বসবো এবং এ বিষয়ে একটি সমাধান টানবো।এই কথা বলে সেদিনের মতো মালিক চলে গেল এবং টেইলার মাস্টার তখন এ বিষয়টি নিয়ে অনেক চিন্তায় পরল।যে আগামী শনিবার কারিগরদের নিয়ে বসার পরে কারিগরদের মধ্যে সমাধান হবে না,কি হবে তাইনি চিন্তায় পড়ে গেল। কারণ সে ভালো করেই জানে এখান থেকে হামিদ চলে গেলে কাজের কোয়ালিটি অনেক খারাপ হবে এবং এজন্য কাস্টমার কমে যাবে।আর কাস্টমার কমে গেলে এই কারখানা তো চলবে না তখন মাস্টারের সমস্যা হবে অর্থনৈতিকভাবে কারন মাস্টার তো আর অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি দিতে পারবে না।
এরপর সেই কাঙ্ক্ষিত শনিবার এলো এবং দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরে মালিক মাস্টার এবং কারিগর বসে পড়ল হামিদের বিষয় নিয়ে। তখন মালিক কথাটি উত্থাপন করল কারিগরারা বলল আমরা দেরি করে আসলে আমাদেরকে টেইলার মাস্টার অনেক বকাবকি করে আবার টাকা কেটে নেয়। কিন্তু হামিদ দেরি করে আসলে তাকে কিছু বলল না তার টাকাও কাটলো না। তাহলে আমরা কি এই কারখানার জন্য কিছু করি না, আমাদের কি কারখানার জন্য কোন অবদানই নেই। তাহলে এই কারখানা চালানো এবং ব্যবসার উন্নতির জন্য কি শুধু হামিদেরই অবদান আছে, আমাদের কি কোন অবদান নেই,তাহলে আমরা সবাই এখান থেকে চলে যাই, হামিদকে নিয়ে আপনারা এই কারখানা চালান।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।