Better Life With Steem || The Diary Game || 23 November 2024 বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।
হ্যালো স্টিম প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি।
আবারো আমি আমার নতুন দিনের একটি নতুন ডাইরি গেম নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক-
সকালবেলা বোঝা যায় শীতের আভাস, সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার ইচ্ছে করে না কিন্তু ফজরের সালাত আদায় করতে হবে তাই আমাকে উঠতেই হয়। দৈনন্দিন ফজরের সালাতে উঠতে উঠতে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে, চাইলেও আর ঘুমিয়ে থাকতে পারিনা, যতই শীত আর গরম হোক না কেন! শীতের সময় শেষ রাত্রের ঘুম এত মজার হয়ে থাকে যে, নরম কম্বলটা শরীরের সাথে জড়িয়ে যত খুশি ঘুমানো যায়। কিন্তু আমি তো মুসলিম আমাকে ফজরের সালাত আদায় করতেই হবে। তাই আরামের ঘুম হারাম করে ফজরে সালাত আদায় করে নিলাম। ফজরের সালাত আদায় করে বিছানার সাথে অল্প কিছুক্ষণের জন্য পিঠ লাগানোর সাথে সাথেই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালের রান্না শেষ করে আমার আম্মা ডাকাডাকি শুরু করলো, কিন্তু আমি তো বিভোর ঘুমের মধ্যে পড়ে রয়েছি। অবশেষে উঠে পড়লাম ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম। যেহেতু ২৩ তারিখে আমার বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত তাই নাস্তা করে বেশি সময় দেরি করলাম না, গোসল সেরে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। ২৩ তারিখে আমাদের মাদ্রাসায় দাওয়াতুল হকের ইজতেমা ছিল সেটা বাদ দিয়ে বাড়িতে আসার একমাত্র কারণ হচ্ছে বন্ধুর বিয়েতে যাওয়া। কেননা আমার বন্ধুর দাওয়াত দেওয়ার সময় বলে দিয়েছে, যাদেরকে দাওয়াত দিলাম তারা যদি না আসে তাহলে তাদের সাথে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না এমন কথা শুনে আর থাকতে পারলাম না।
আমার বন্ধু সিরাতের বিয়েতে যাওয়ার জন্য দশটার দিকে বের হলাম, ঢাকা থেকে আসা আরো বন্ধুরা পিপুলবাড়ীয়া বাজারে দাঁড়িয়েছিল। আমি তাদের সাথে একত্রিত হয়ে ধনুট যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। বন্ধুর বিয়েতে যাব তাই কোন একটা গিফট কিনে নিয়ে যেতে হবে খালি হাতে কিভাবে যাব তাই দুই বন্ধু মিলে একটি গিফট উপহার দেওয়ার জন্য কিনলাম। ঢাকা থেকে আসা দুই বন্ধু একটি রাইস কুকার কিনেছিল তাই আমরা দুই বন্ধু মিলে একটি প্রেসার কুকার কিনেছিলাম। পিপুল বাড়িয়া বাজার থেকে সিএনজি ওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম ধুনুট এর ভাড়া কতো, ৩০০ টাকা ভাড়া চেয়েছিল তাই আমরা অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করলাম।
আমরা বাসে উঠে আলমপুর চৌরাস্তায় নেমেছিলাম সেখান থেকে অটো রিক্সায় সোনামুখী গিয়েছিলাম আর সেখান থেকে একটি সিএনজি নিয়ে ধুনুট বাজারে নেমেছিলাম। সেখান থেকে আমার বন্ধুর বাসায় যেতে অটো রিক্সায় যেতে হয় আমরা অটো রিক্সায় করে আমার বন্ধু সীরাতের বাসায় গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে গিয়ে সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে সবাই মিলে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এরপরে দুপুরের দিকে সকল মেহমানগণ উপস্থিত হল, আমরা সবাইকে সুন্দর ভাবে আপ্যায়ন করলাম। এরপরে আমরাও খেয়ে নিলাম। আসরের পরে মেহমানগণ বিদায় হওয়ার পরে আমরা বাহিরে গিয়েছিলাম।
আমরা ক্ষেতের মধ্যে গিয়েছিলাম, সেখানে বাঁশ দিয়ে বিশাল বড় সাকোর মত বানানো হয়েছে, আমরা সেখানে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি উঠেছি। সেখানে আমরা অনেক সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম এরপরে দেখলাম পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তিমিত যাচ্ছে ঠিক তখনই সূর্যের ফটোগ্রাফিটা সংগ্রহ করে রাখলাম। তখন তাই পাঁচটা বিশ মিনিট বেজে গিয়েছিল, আমরা সূর্য অস্তিমিত যাওয়ার পরে সেখান থেকে বাসায় আসি এবং মাগরিবের নামাজ সবাই জামাতের সাথে আদায় করে আবার চেয়ার নিয়ে গোল হয়ে বসে গল্পস্বল্প করতে থাকি।
এশার নামাজ পড়ে আমরা রাতের খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এরপরে আমরা যেহেতু রাত্রে সেখানে থাকবো তাই আমরা ধুনুর বাসায় চলে আসলাম সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে। রাত্রে আমরা সেখানেই ঘুমিয়ে ছিলাম। অতঃপর ২৪ তারিখে যা হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1861752421602718070?t=cHRiAOqFiwKMwCdptRNU3Q&s=19
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you so much for reading my post and giving a valuable comment and taking the trouble to verify my post. I wish you always be well and stay healthy.