আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো স্টিম প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আমি আবার নতুন আরেকটি দিন সম্পর্কে আপনাদের সামনে লিখতে যাচ্ছি, চলুন শুরু করা যাক-
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের সালাত আদায় করে বারান্দায় দাঁড়ালাম, তাকিয়ে ছিলাম আকাশের দিকে পূর্ব আকাশে তখনো সূর্য উদিত হয়নি, কিন্তু পূর্ব আকাশ হালকা আলো দিচ্ছে মনে হচ্ছিলো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্য উদিত হবে। এদিকে শীতের সকাল হওয়ার কারণে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ দেখা যাচ্ছে। শহরে থাকলে সূর্য উদিত হওয়ার ফটো উঠানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা কিন্তু গ্রামে থাকলে সূর্য উদিত হওয়ার ফটো খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়। বারান্দা দিয়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পরে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে দুটি ক্লাস শেষ করে গিয়েছিলাম নাস্তা করার জন্য। সকালের নাস্তায় ছিল একটি বন রুটি সাথে দুধ চা। বন রুটির দাম ২০ টাকা একটি কাপ দুধ চায়ের দাম ১০ টাকা মোট ৩০ টাকা সকালের নাস্তা।
 |
নাস্তা শেষ করে যাত্রাবাড়ি আড়দে গিয়েছিলাম, আমি সেখানে গিয়েছিলাম আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য, আমার ব্রাশটি বাসায় রেখে এসেছি তাই সেখানে ব্রাশ কেনার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সকাল সকাল ফুটপাতের সেই দোকানগুলো বসে না। সেখানে দেখলাম প্রচুর পরিমাণ মাছ নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ফ্রিজিং করে মাছ নিয়ে আসে। আমরা মাছের বাজারে গিয়ে দেখলাম বড় বড়, ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের অনেক মাছ নিয়ে এসেছে। চিংড়ি মাছ দেখে আমি খুবই আশ্চর্য হলাম যে এত বড় বড় চিংড়ি মাছ! যদিও কেনার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি বললেন বারোশো টাকা কেজি। আমি বললাম আমাদের রান্নার পরিস্থিতি থাকলে নিতাম, যেহেতু রান্নার কোন পরিস্থিতি নেই তাই নিতে পারলাম না।
 |
এরপরে মাদ্রাসায় এসে দুপুর পর্যন্ত ক্লাস করলাম। জোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য হোটেলে গিয়েছিলাম, আমার দুপুরের খাবারে ছিল ভাত, মুরগির মাংস আর সবজি। দুই প্লেট ভাত নিয়েছিলাম যার মূল্য বিশ টাকা, এক পিস মাংস নিয়েছিলাম যার মূল্য ৪০ টাকা, ভাজি ও ডাল ফ্রি দিয়েছে। আমার খাবারের বিল হয়েছিল মোট ৬০ টাকা। ৬০ টাকা হলেই পেট ভরে খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু যাত্রাবাড়ি ব্যতীত ঢাকার অন্য কোন জায়গায় ৬০ টাকা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া সম্ভব হবে না। কেননা অন্যান্য হোটেলে খাবারের দাম বেশি তরকারির দাম আরো বেশি, সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১০০ টাকা তো লাগবেই।
 |
আসরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হয়েছিলাম, সারাদিন মাদ্রাসার মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগে না তাই বিকেলবেলা একটু হাটাহাটি করা খুবই দরকার, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার দিকে হাটতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে ওলামা পার্কে কিছু সময় বসে আবার মাদ্রাসার দিকে আসতে ছিলাম, মাদ্রাসায় এসে দেখলাম সূর্য ডুবে যাচ্ছে, তাই জানালা দিয়ে পশ্চিম আকাশের একটি ফটো সংগ্রহ করলাম। ঢাকা শহরে শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং এর জন্য সূর্য অস্তের ফটো উঠানো সম্ভব হয়নি। তারপরে ওযু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। একটু পরে বক্সে এলান করে দিল ছয়টা ১৫ মিনিটে ক্লাস শুরু হবে। আমরা ক্লাসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।
 |
ক্লাস শেষ করে রুমে চলে আসলাম, এশার নামাজের প্রস্তুতি নিলাম, এশারের নামাজ আদায় করে রাত্রে খাবার খেয়ে নিলাম। আবারো এলান করা হলো, দশটা পনের মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হবে, তখন আমরা আবার ক্লাসের প্রস্তুতি নিলাম, প্রায় রাত ১১ টা পর্যন্ত ক্লাস করে রুমে চলে আসলাম। রুমে আসার পরে দেখলাম রং চা বিক্রি করার জন্য আসছে, আমাদের মাদ্রাসায় দুইজন ব্যক্তি রং চা বিক্রি করে, আমাদের প্রত্যেকটা রুমে রুমে গিয়ে দিয়ে আসে। তাই ৫ টাকা দিয়ে একটি রং চা নিয়েছিলাম। উনি চা বানাতে অনেক অভিজ্ঞ, কারণ অনেকদিন ধরেই তারা বিশ্বস্ততার সাথে এ ব্যবসাটি করে যাচ্ছে। রাতে চা টি খেয়ে শুয়ে পড়লাম।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে আল্লাহ হাফেজ। |

Device | Name |
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1866111505730867285?t=K_18Ym6V_agWCON_dIrtfA&s=19
আপনার দৈনন্দিন জীবন খুবই সহজ এবং সরল। আপনি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন। যাত্রাবাড়ির খাবারের দাম কম হওয়ায় আপনি খুশি হয়েছেন, এটি সুন্দর একটি বিষয়। তবে, শুধু যাত্রাবাড়ি নয়, ঢাকার অন্যান্য এলাকায়ও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ এটা সব জায়গার জন্য দরকার, আমাদের এখানে প্রায় ১০-১২ হাজারের উপরে ছাত্র তাই কম দামে বিক্রি করলেও অনেক টাকা বিক্রি করতে পারে।
তোমার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার সাথে কথা বলার জন্য। আসলে বিষয়টা বর্তমান এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গাতেই প্রচুর জনবহুল এলাকা কিন্তু সবাই এমন উদ্যোগ নিতে চায় না হয়তো মাদ্রাসা দেখেই এই জায়গাতে এমন।