Better life with steem.. the diary game.. 16/10/2023.. simple day..
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল ছয়টা পঞ্চাশে ঘুম থেকে উঠে। ঘুম থেকে উঠে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর গোসল করি। গোসল করার পর অফিসে যাওয়ার জন্য আমি তৈরি হই। সাতটা পঁচিশে আমি রুম থেকে বের হয়।
সাড়ে সাতটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে আমি অফিসের দিকে রওনা করলাম। আমাদের এই পাশে খুব বেশি লোকের সমাগম হয় না। যার কারণে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকে। বাসার আশপাশে সেরকম কোন বড় ফ্যাক্টরি নেই। এজন্য এলাকাতে খুব বেশি ঘনবসতিও নেই। সেজন্য হেঁটে যেতে খুব বেশি একটা কষ্ট হয় না।
আমি যে হোটেলে খাবার খাই সেখানে আজকে খিচুড়ি রান্না করেছে। সেজন্য আজকে সকালের খাবার খিচুড়ি খেতে হল। এছাড়া প্রত্যেক দিনই রুটি খেতে হয়। রুটি খাবার চাইতে খিচুড়ি খাওয়া অনেক ভালো লাগলো। যাই হোক খাবার খেয়ে সকাল আটটার সময় আমি আমার অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।
আমি অফিসের মধ্যে ঢুকে আমার মেশিনটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর কাজ করতে শুরু করলাম। আমি লিংকিং সেকশনের সেভেন গেজ মেশিনে কাজ করে থাকি। এখন সেভেন গেজ কাজ কম থাকার কারণে চৌদ্দ গেজ কাজ করতে হয়। সেভেন কাজ মোটা হয়ে থাকে যার কারণে কাজটি করতেও খুব ভালো লাগে। অপরদিকে চৌদ্দ গেজ কাজ খুবই চিকন হয়ে থাকে। এ কাজটি করতে খুবই কষ্ট হয় এবং সময় লাগে। কষ্ট হলেও কাজগুলো ধীরে ধীরে করতেই হল। তার মধ্যে আরো ঝামেলা হলো ১৪ গেজ মেশিন আমাদের স্থির করা নেই। যে মেশিন ফাঁকা থাকে সে মেশিনেই বসে কাজ করতে হয়। একদিন এক মেশিন ফাঁকা থাকলে পরের দিন সে মেশিনের অপারেটর আসলে সে মেশিন থেকে উঠে অন্য মেশিনের খোঁজ করতে হয়। খুঁজে যে মেশিন ফাঁকা পাওয়া যায় সে মেশে নেই কাজ করতে হয়। আজকে সকালে দুইটা মেশিন পরিবর্তন করা হয়েছে কাজ করার জন্য। দুই মেশিনের অপারেটর ছুটি কাটিয়ে আজকেই এসেছে।
এভাবেই কাজ করতে দুপুর একটা বেজে গেল। দুপুর একটা সময় আমাদের দুপুরের খাবার খেতে যেতে হয়। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। তারপর আমরা একটা চা স্টলে গিয়ে চা খেয়ে নিলাম। ছবিতে দাড়িওয়ালা যাকে দেখতে পারছেন তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মুত্তালিব। আমি মাঝেমধ্যে তার দোকানে এসে চা খেয়ে থাকি। দোকানে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সেখানে একজন পরিচিত লোক এসে বসলো। তার নাম মোঃ বাবুল হোসেন। সে একটি কোল ড্রিংস নিয়ে খেতে শুরু করল। সেও আমাদের লিংকিন সেকশনে চাকরি করে থাকে। বাবুলের সাথে কিছু আলাপ করে রাস্তায় বের হয়ে আসলাম।
রাস্তার একপাশে দেখতে পেলাম কিছু শাক বিক্রি করিতেছে। এসাদ গুলো এখানকার স্থানীয় লোকের উৎপাদন করেছে। সে প্রত্যেক দিনই এখানে বসে তার আবাদ করা শাকসবজি বিক্রি করে থাকে। রাস্তার ওপর পাশেই কিছু লোক জমায়েত হতে দেখলাম। সেখানে আমি গিয়ে দেখতে পেলাম বেশ ভালো মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে শিং মাছ এবং অন্য এক মাছও রয়েছে। তিন চার জাতের মাছ মিশ্রিত রয়েছে। মাছগুলো ৬০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করিতেছে। আমি যেহেতু হোটেলে খাবার খেয়ে থাকি তাই এ মাছ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিনতে পারলাম না। এসব দেখে আমি আমার অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।
অফিসের মধ্যে ঢুকে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা কাজ করে নিলাম। তারপর আসরের নামাজের ওয়াক্ত হলে আমাদের ফ্যাক্টরির ছাদে গিয়ে আসরের নামাজ পড়লাম। ওযু করার জন্য ছাদেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাদে অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর আবারও কাজের জায়গায় চলে আসলাম।
সন্ধ্যা ৭ টার সময় আমাদের অফিস ছুটি হয়ে গেল। সাতটার সময় অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় আনোয়ার ভাই এবং আবু তাহের ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে নিলাম। তাদের সাথে গল্প করে খুব ভালো লাগলো। আমরা একই অফিসে কাজ করলেও কাজের কারণে ভালো করে কারো সাথে ওরকম আলাপ করা হয়ে থাকে না। এজন্য মাঝে মধ্যে অনেকের সাথে অফিসের বাহিরে আলাপ করে থাকি। তারপর সাতটা তিরিশের দিকে আমি এবং নজরুল ভাই রাতের খাবার খেতে হোটেলে চলে গেলাম। এখানে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।
রাতের খাবার খেয়ে আমি এবং নজরুল ভাই একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে নাওজুর বাজারে গেলাম। সেখান থেকে কিছু মধু ক্রয় করে নিলাম। তারপর আবারো বাসা থেকে আসার সময় একটা দোকানে পাখি দেখতে পেলাম। এই দোকানে আগে পাখি বিক্রি করত না এখন দেখছি এখানে পাখি এবং কবুতর বিক্রি করে থাকে। পাখিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাদের ছবি তুলে নিলাম।
নাওজুর বাজার থেকে আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে বাসার দিকে রওনা করলাম। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। সবাইকে আবারও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|