ছোট গল্প | দুই বন্ধুর ঢাকা ভ্রমণ | নানা বিড়ম্বনার অভিজ্ঞতা (পর্ব-০১) | ১০% @btm-school

hand-782688_1920.jpg
Source

বাংলাদেশের কোন এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক গ্রামে দুই বন্ধু ছিল। তাদের নাম যথাক্রমে রফিক ও তরিকুল (কাল্পনিক)। ছোটবেলা থেকেই তারা দুজন একই ক্লাসে পড়ে এসেছে, বর্তমানে তারা ক্লাস টেনে পড়ে। সামনেই তাদের ফাইনাল এস.এস.সি পরীক্ষা। গ্রামের আর দশটা ছেলে-মেয়ের মতো তারাও ছিল খুবই চঞ্চল ও পড়াশোনায় মেধাবী। তাদের দুজনের বাড়িও ছিল কাছাকাছি, সেজন্য প্রায় সারাদিনই তারা একসাথেই থাকতো, হয় রফিকের বাড়িতে নাহয় তরিকুলের বাড়িতে। সকালে একসাথে দুজন বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেত, বিকালে একসাথে প্রাইভেট স্যারের বাড়িতে টিউশনি পড়তে যেত, মাঝেমধ্যে ছুটির দিনে একসাথে কোথাও ঘুরতেও চলে যেত।

রফিকের বাবা একজন মুদি দোকানদার, মা গৃহিণী, একটা ছোট বোন আছে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। বাড়ির সাথেই তাদের একটা মুদি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের ইনকাম দিয়েই মূলত তাদের সংসার ও পড়ালেখার খরচ চলে। কখনো বাবা, কখনো মা আবার মাঝেমধ্যে রফিকও সেই দোকানে বসে দোকানদারী করে। আর ওদিকে তরিকুলের বাবা একজন কৃষক, নিজেদের জমিতে তিনি সারাবছর ধরে নানারকম শাক-সবজি ও ফসল ফলিয়ে নিজেদের সাংসারিক চাহিদা মেটান এবং বাকি অংশ বাজারে বিক্রি করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালান। তরিকুলের মা'ও গৃহিণী, তার আরও দুটো ভাইবোন আছে। বড় ভাই তার চেয়ে ৬ বছরের বড়, তিনি বাবার সাথেই মাঠের কৃষি কাজে সাহায্য করেন এবং ছোট বোন ক্লাস ফাইভে পড়ে।

রফিক ও তরিকুল দুজনের দুটো সাইকেল ছিল। সেই সাইকেল নিয়েই তারা টিউশনি পড়া শেষে প্রায় প্রতিদিন বিকালে বেরিয়ে পড়তো বাড়ির আশেপাশের গ্রাম, বাজার, নদীসহ নানা জায়গায় ঘুরতে। যেখানে আগে কখনো যায়নি সেসব নতুন নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করতো তারা। তবে যেখানেই যাক না কেন সন্ধ্যার সাথে সাথেই আবার বাড়িতে ফিরে আসতো। কেননা সামনে পরীক্ষা, অনেক পড়াশোনা বাকি আছে। তাছাড়া তাদের দুজনকে কখনো পড়াশোনার ব্যাপারে বলতে হতোনা, তারা নিজেরাই নিজেদের তাগিদে পড়ালেখা করতো। এজন্য পাড়া-প্রতিবেশীরা সবাই তাদের দুজনকে অনেক স্নেহ করতো। এভাবেই রুটিন মাফিক তাদের জীবন চলে যাচ্ছিল।

চলবে...

Sort:  
 2 years ago 

বাকি গুলো জানতে চাই, এরপর কি কি হলো।

সাথে থাকুন, আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।