Betterlife. The diary game. 30/10/2024.আজ নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ঘুরে আসলাম।

in Traveling Steem2 months ago (edited)

I am @kuhinoor From Bangladesh.

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সকলে? আলহামদুলিল্লাহ আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।

আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ফলপ্রসূ ডায়েরি । আজকে সারাদিন নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ঘুরে বেরিয়েছিলাম। এই সেই প্রাচ্যের ড্যান্ডি নারায়ণগঞ্জ

Copy of Green Blue Minimalist Travel Agency Promotion Facebook Post_20241102_201003_0000.png

ঘুরে এলাম নারায়ণগঞ্জ সিটিতে। যাকে বলা হয় প্রাচ্যের ড্যান্ডি। বিশাল শিল্প এলাকা শিল্পী স্থাপন নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে অবস্থিত। আমার অনেক দিনের পরিকল্পনা ঘুরে ঘুরে দেখব নারায়ণগঞ্জ সিটি। তাই আমি বাড়ি থেকে বিকেল দিকে বের হলাম। প্রথমে আমি অটো চরে গেলাম। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি টলারের জন্য। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করলাম কিছুক্ষণ পর ঘাটে পৌঁছালো। কিন্তু নৌকা ঘাটে অসংখ্য ট্রলার আছে। সেগুলো চরকালিপুর ঘাটে যাবে না। ট্রলার দিয়ে আমি নৌকা পারে হলাম।

1730560619877715514262192893015.png


20241030_154426.jpg


তারপর সিএনজি চরে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম। বাসস্ট্যান্ডে যেয়ে আমি ফুটপাতে দোকান থেকে চা ক্রয় করি। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করি। পরে আবার বাসস্ট্যান্ডে যাই। বাসে চড়ে সাইনবোর্ড উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।


20241030_170236.jpg


সাইনবোর্ড যে পড়তে বসতে আমার বিকাল পাঁচটা বেজে গেল। বাসে আমার অতিষ্ঠ গরম লাগলো। বাস থেকে আমি একটি পানির বোতল ক্রয় করলাম। কিছুক্ষণ যেতেই প্রচুর জ্যাম! প্রায় ১৫ মিনিট। পড়ে আস্তে আস্তে আর বাস চলা শুরু করল। ঠিক সন্ধ্যা ৫ঃ০০ টার মধ্যে আমি স্টেশনে পৌঁছলাম।


20241030_170216.jpg


1730560619877715514262192893015.png

  • সেখান থেকে আমি একটি অটো বাইকে চড়ে আবার চাষার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। একটি অটো রিজার্ভ নিয়েছি এবং ড্রাইভারকে বলেছি আপনি আস্তে আস্তে চালাবেন। বিভিন্ন স্পটে স্পটে থেমেচি এবং ছবি তুলেছি। বিকাল করিয়ে সন্ধ্যা চারদিকে অন্ধকারে ছেয়ে গেছে, রাতের ঝিলমিল অনেক সুন্দর লাগছে। লঞ্চঘাটে গেলাম নৌকা ঘাটে গেলাম,

সন্ধ্যার পরে দৃশ্যটা অপূর্ব সুন্দর লাগছিল। এবং সন্ধ্যার হিমেল হাওয়া বইছে এখন আর তেমন গরম লাগছে না। যেতে যেতে আমরা চাষাড়া পৌঁছলাম। চাষার আপু ছিল কি লোকাল। অনেক সুন্দর লাগছে দৃশ্যটা।


20241030_173823.jpg



20241030_202457.jpg



20241030_193326.jpg


এবার আমরা লঞ্চঘাটের দিকে পৌঁছলাম রাতে নদীর দৃশ্য দেখব লঞ্চে কিভাবে চলাচল আমার অনেক আনন্দ লাগে এগুলো দেখতে তাই আমি তো দুর দুরান্ত থেকে এখানে এসেছি। তারপর আমি লঞ্চঘাটের এক কিনারা যে দাঁড়িয়েছিলাম কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করলাম। রাতের অন্ধকারে অসংখ্য তারা যেন নদীতে ফুটে আছে। লঞ্চ আসছে নৌকা জাহাজ ট্রলার সবকিছু আলোর সাথে জমজ্বল করে জ্বলছে। নদীর দিকে তাকালে শুধু আলো দেখা যায় আর কিচ্ছু বোঝা যায় না। মনে হয় দূরে আলো জ্বলে আছে মনে হয় আলো গুলো দেখে ছোটাছুটি করছে। আমি প্রায় এক ঘন্টা ৩০ মিনিট লঞ্চঘাটে বসে ছিলাম। বাদাম কিনে আমি বসে বসে সেখানে গিয়েছি। নদীর পাশ পাড়ে বসে থাকলে হিমেল হাওয়া খুব ভালো লাগছে পরিবেশটা অনেক নিরীহ হয়েছিল। এমন সুন্দর ভ্রমণ সত্যি আনন্দদায়।

1730560619877715514262192893015.png

তারপর আমি সুলতানস ডাইনে।আমার অনেকদিনের ইচ্ছে সুলতানার ডাইন ঘুরে বেড়ানো এবং এবং কিছু খাব। বেশ কিছুক্ষণ আমি সুলতান ডাইনে বসে ছিলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। পরে উনাদের সাথে কি খাবার ছিল খাবার মেনু দেখে খাবার অর্ডার করলাম। তার পর রাখছি অর্ডার করলাম। এক প্লেট কাচ্চির মূল্য ৫২০ টাকা। অনেক টেস্ট এখানে খাচ্ছি মজা করে গিয়েছি। অবশ্য আমি একা আসিনি আমার একজন প্রিয়জন আছে। যিনি আমার খুব কাছের মানুষ আমরা দুজনই মিলেই
ঘুরতে আসছি একা হলে সম্ভব না।


20241030_175138.jpg



20241030_191120.jpg


সুলতান ডাইন থেকে বের হয়ে আমি সেন্টারে দিকে গেলাম। আমার এক কাকার সাথে দেখা করার জন্য। দীর্ঘক্ষণ কাকার সাথে কথা বললাম এবং আড্ডা দিলাম। ওরে কাকা চলে গেল বাসায় যাওয়ার জন্য অনেক বার বলল কিন্তু না যাব না, আগামীকাল আমার কাজ আছে ওরে কাকা চলে গেল।

  • আমরা এখন নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে রওনা হলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যে বসলাম দীর্ঘক্ষণ সেখানে আমরা গল্প করলাম প্রায় তিন চার ঘন্টা শহীদ মিনার উপরে লোকালয়। অনেক হকারের দোকান বসা আছে এখানে। চারপাশে আলো জ্বলজ্বল করছে। আমি সেখানে বসে ছিলাম শহীদ মিনারের উপরে বসে বসে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত গল্প করলাম। আমার মনে হয়েছে যে আরও দীর্ঘক্ষণ আমি সেখানে থাকি। পরে আমরা একটি খাবারের অর্ডার করলাম। চিকেন চাপ সাথে রুচি ভাজা, এবং হাফ লিটার পানি। শহীদ মিনারের উপর খাবার খেলাম। ফুটপাতে দোকান থেকে আমরা চিকেন চাপ অর্ডার করেছি। যার মূল্য ১৫০ টাকা।

20241030_191447.jpg



20241030_202919.jpg



20241030_193241.jpg


1730560619877715514262192893015.png

তারপর আবার সেখানে বসে ছিলাম। পরে আমরা ফতুলা স্টেডিয়ামের কাছে যাই ফতুলা স্টেডিয়ামের সেখানে আমরা দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলাম। তার পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে বিশ্রামাগ অনেক লোক সেখানে বসা আছে। সুন্দর সুন্দর চেয়ার টেবিল পাতা আছে। আমরা সেখানে বসে গল্প করলাম এবং চিন্তা করলাম কখন বাসায় পৌঁছা যায় সত্যি সত্যি আসতে ইচ্ছে করছে না। রং চা ক্রয় করলাম আমরা সেখানে বসে চা খেলাম। অত্যন্ত ভালো হয়েছে। আজকে খাবার অনেক বেশি খেয়ে ফেলেছি অথবা এখান থেকে আরো কিছু খেতাম। অনেক ধরনের খাবার আইটেম সেখানে আছে। আসলে বেড়াতে বের হলে বুঝা যায় জায়গা আছে আমাদের দেশে।


20241030_203929.jpg



20241030_193207.jpg


1730560619877715514262192893015.png

বাসায় চলে যাবার সময় এখন। পাশে তাকিয়ে দেখি সুন্দর সুন্দর খেলনা বিক্রি করছে আমি কয়েকটা খেলনা কিনলাম। খেলা কিনে চলে আসবো। মনে চায় যে আরো কিছুক্ষণ এখানে ঘুরে বেড়াই কিন্তু রাত হয়ে গেছে আর বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। পরে আমাদের চিটাগাং এর বাসায় চলে যাই। অটো দিয়ে যেতে হয়।


20241030_204601.jpg


আজকের আমার অনেক ভালো লেগেছে সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এমন দিন যেন বারবার আসে ঘুরতে গেলে আমার মনটা অনেক ভালো থাকে আমি বিভিন্ন পেনশন থেকে দূরে থাকি। শারীরিক এবং মানসিকভাবে আমি স্বস্তি ফিল করি। ঘুরতে যাওয়া অনেক আনন্দ অন্তত মনের আনন্দ পায়। মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘুরতে যাও প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য।

1730560619877715514262192893015.png

আমার ডাইরি সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন। একটি ফটো ট্রাভেলকে ধন্যবাদ সুযোগ করে দেয়ার জন্য তার মনের আবেগ এখানে প্রকাশ করার সুযোগ পায়। আবারো ধন্যবাদ আমার সুন্দর কমিউনিটিকে।

Device NameGalaxy A24
Camera16 mp
Image typeTravelling photography
Photographer@kuhinoor
LocationNaryanganj City

@Kuhinoor

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q9AnVU5fayiS2nNeF7ptuT86YLYGk9RqkgeGpd7R1Q4BvJDn2Np4BnSbWTWYyKm8BFHwuMphmoS2Bw.gif