The diary game | 28/09/2024| চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ ডাক্তার দেখাতে গেলাম।

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আমি ও আল্লাহ রহমতে ভালো আছি। আপনারা ভালো থাকেন এই কামনা আমার সব সময়।

আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার একটি স্বরণীয় দিনের কার্যক্রম।

আমি চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। দিনটি ছিল শনিবার। সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হলাম। অটোরিকশা চড়ে আমাদের বাসা থেকে রওনা দিলাম। লঞ্চ টার্মিনালের এসে প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। পরে চাঁদপুর ও ঢাকাগামী লঞ্চ এসে পৌঁছল।

---

পরে লঞ্চে উঠে বসি। সাথে আমার অনেক পরিচিত জনের সাথে দেখা হল, তাদের সাথে গল্প করে সময় কাটালাম। আমার ডাক্তার দেখানোর সময় রাত ৭:৩০ মিনিট। বিকাল ৪ টায় লঞ্চ গিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে পৌঁছবে। অনেক হকার লঞ্চে উঠে এসে কেউ ঝাল মুড়ি, ঠান্ডা পানি, চানাচুর, গুগনি, চিপস, ইত্যাদি বিক্রি করছে। আমি ঝালমুড়ি অনেক পছন্দ করি কিন্তু আমার গ্যাসের সমস্যা তাই খেতে পারি নাই।

মাঝ নদীতে প্রবেশ করার পর নদীর চারদিকে তাকাতেই দৃশ্যটি ছিলো খুব সুন্দর। প্রচন্ড রোদে বাতাসে দোল খাচ্ছে কাশফুল। লঞ্চে একটি ছোট বাচ্চা অনেক কান্নাকাটি করতেছিল, এবং ও মা অনেক অসুস্থ ছিলো আমি বাচ্চাটাকে কোলে নিলাম, পরে সে সারা ক্ষণ আমার কোলে ছিল

লঞ্চ ঘাটে পৌঁছার পর আমি নেমে রিক্সায় চড়ে চাষাড়া গেলাম। পরে আমার খুব খারাপ লাগতেছিলো তাই লেবুর জল কিনে খাই। পরে একটু ভালো লাগল। এবং পরে ঠান্ডার জন্য আইসক্রিম খাই। মিশন রোড যাই এবং চোখের গ্লাসের অর্ডার করি। মেডিভিশন আই হসপিটালের গিয়ে।

মডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল দেয়া আছে। পরে রিকশায় চড়ে আমি সন্ধ্যা ৭ টায় হাসপাতালে পৌঁছলাম। ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করলাম। পরে দেখা করার পর রাত ৮ টা বাজল। এবং আমাকে মোট চারটি টেস্ট দিয়েছে। আমি টেস্ট করতে অন্য হাসপাতালে যাই। কারণ মডাণে আজকে আর টেস্ট করা যাবে না। তাই মিশনরোড মেডিহোপে এসে টেস্ট করি। রাত ১০:৩০ মিনিট হয়ে গেল।
এবং বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। রাত বলে হয়ে যাওয়ায় চাঁদপুর আসতে পারবনা তাই চিটাগং রোড বোনের বাসায় রাত্রি যাপন করি।

অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আমি আজকে অনেক জার্নি করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করিবেন যাতে আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাই।

---

আমার ডায়েরি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে