আমাদের ছাদ বাগানের ইতিহাস।

আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? এই লেখায় আমি আমাদের ছাদের উপরে থাকা ছোট একটি ছাদ-বাগান নিয়ে আলোচনা করব।

বাগান করার শখ আমাদের সবারই। আমার পরিবারের সবাই বাগানের প্রতি আগ্রহী। বিশেষ করে আমার বাবা। উনি দীর্ঘ সময় প্রবাসে থেকে এই বাড়িটা তৈরি করেছেন। ৭ বছর আগে তিনি একেবারে চলে আসার পর দেশে আর কোন কাজ করেননি। কিন্তু উনার মত কাজের মানুষ তো আর বসে থাকতে পারেনা। তাই তিনি শখের বসে এই বাগান গড়ে তুলেন।

বাগানটি তৈরিতে তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। প্রথমে কিছু ড্রাম কিনে সেগুলোকে কেটে কেটে বড় টবের মত করেছেন। এরপর, মাটি তুলেছেন তিনতলা বাড়ির ছাদের উপর। এভাবে, প্রায় ১৬/১৭টি ড্রাম তিনি মাটি ভর্তি করেছেন। অনেক খুঁজে জৈব সার এনেছেন যেহেতু জৈব সার কিনতে পাওয়া যায়না। কয়েকজন অভিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে বাগানে গাছ লাগানো শুরু করেন। আমার আম্মুও বাবাকে এই কাজে অনেক সাহায্য করেছেন। আমার স্ত্রীও বাগানের বড় একজন অংশীদার। সে বাগানের ফুলগাছগুলোর মালিক।

আমাদের বাগানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো বেশির ভাগ গাছই হয়ে তাকে মৌসুমি সবজি গাছ।

যেমনটা আপনারা এখানে দেখছেন, এখানে রয়েছে বর্তমান মৌসুমের ধুন্দল ও বরবটি গাছ। এছাড়া, শেষ বয়সে চলে আসা একটি কুমড়ো গাছ। বেশির ভাগ সময় গাছের লতাগুলো নিচ থেকে উঠানো হয়। মানে গাছ লাগানো হয় নিচে, মাটিতে। আর যেহেতু এগুলো লতা জাতীয় উদ্ভিদ, সহজেই এগুলোকে উপরে তোলা যায়। আমাদের সবজি এবং শাকের বড় একটা চাহিদা মেটায় আমাদের এই ছাদের বাগান।

এছাড়াও বাগানে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ, গুল্ম জাতীয় ফল গাছ রয়েছে। সেসব নিয়ে পরে আরেকদিন লেখা যাবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
Loading...

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.