পম্পেই - পর্ব প্রথম

in Help4Help2 years ago

পম্পেই মুভিটি দেখলাম, এতো চমৎকার ঐতিহাসিক একটি মুভি কেন এতো দিন দেখলাম না - আফসোস! আজ থেকে প্রায় ২০০০বছর পূর্বে ৭৯খ্রীস্টাব্দে মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়,যা ইতালির রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা মাউন্ট ভিসুভিয়াসের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা পম্পেই নগরী কে মাত্র ১৫মিনিটের মধ্যে মূহুর্তে ই ধংস স্তূপে পরিণত করে সেই ঐতিহাসিক মর্মান্তিক ঘটনাটিই পরিচালক Paul Anderson তার পম্পেই মুভিটিতে দেখিয়েছেন। একদিকে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি অন্য দিকে সাগরের সুবিশাল নীল জল রাশি দ্বারা বেষ্টিত এক মনোরম বানিজ্যিক নগরী ছিল এই পম্পেই। ছোট বেলা থেকেই কতো কথাই না শোনে আসছি এই পম্পেই আর ভিসুভিয়াস নিয়ে, কিন্তু মুভিটি না দেখলে তখনকার সত্যিকার চিত্রটা অজানা থেকে যেতো। হয়তো পরিচালক মুভিতে নিজস্ব কিছু সংযোজন করেছেন কিংবা কিছু বাদ ও দিয়েছেন। তবু ও সব মিলিয়ে নির্মম সত্য টা তো আর মুভিতে উপেক্ষা করা যাবে না - ওটাই তো মূল উপজীব্য বিষয়। ইতালির রোমান সাম্রাজ্যের প্রভাব কতখানি ছিল তা ও মুভিতে স্পষ্ট ছিল। মুভিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দৈত্যকার ভিসুভিয়াসের আস্তে আস্তে জেগে উঠা চমৎকার ভাবে দেখানো হয়। তখন কার উচ্চবিত্তের জীবন যাপন বা তাদের কালচার, শাসন কর্তা থেকে শুরু করে তাদের মন্ত্রী কিংবা অধিনস্থ ক্ষমতাবানদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব,বন্দি দাসদের নিয়ে নিজেদের বিনোদনের জন্য জঘন্য অস্ত্রের লড়াই প্রতিযোগিতা, দাসদের দীর্ঘ দিন ধরে বন্দী করে রাখা, তাদের কে মানুষ নয় জন্তু ভাবা - এই সব কিছু তৎকালীন শাসক তথা ক্ষমতাসীনদের আদিম মনোভাব পরিচালক চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ছবিতে।মুভির আকর্ষন ছিলো, আগ্নেয়গিরির জেগে উঠার পাশাপাশি একটি মুগ্ধ করা প্রেম কাহিনী।যে অসম ভালোবাসা একদিকে যেমন মুগ্ধতা সৃষ্টি করেছে অন্যদিকে তেমনি আফসোসের দীর্ঘ শ্বাস ফেলতে বাধ্য করে। গল্পের শুরু ৬২খ্রীস্টাব্দে নরডান ব্রিটেনিয়ার বিদ্রোহী এলাকার কেলটি জাতি গোষ্ঠীয় হর্স ট্রাইব্যাল জাতিগোষ্ঠী কে রোমান সেনাপতি কারবাজ এর অতর্কিত আক্রমন করার দৃশ্য দিয়ে,যে জাতি গোষ্ঠী রোমান সাম্রাজ্যের অধীনতা মানতে চাইতো না ... চলবে...
images (4).jpeg

images (2).jpeg

images (1).jpeg