শিরোনাম: "বন্ধুত্বের সেতু" গল্পের সারাংশ:
বন্ধুত্বের সেতু
গল্পের সারাংশ
একটি ছোট্ট গ্রামে দুই বন্ধু, রাহুল এবং সুমি, বাস করত। তারা একে অপরের সাথে খেলাধুলা, পড়াশোনা এবং আনন্দ ভাগ করে নিত। তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা এতটাই ছিল যে তারা একে অপরের সুখ-দুঃখে সবসময় পাশে থাকত।
একদিন, গ্রামের পাশের নদীটি বন্যায় ভরে যায় এবং গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাহুল ও সুমি সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা একটি সেতু তৈরি করবে যাতে গ্রামের মানুষজন আবার একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তারা শুরু করে সেতুর নির্মাণ কাজ।
প্রথমে তাদের কাজ সহজ মনে হলেও, সময়ের সাথে সাথে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা অনেক বাধা পায়। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের শক্তি তাদের কখনো হাল ছাড়তে দেয়নি। তারা একসাথে কাজ করে, একে অপরকে উৎসাহিত করে এবং অবশেষে একটি দৃঢ় সেতু তৈরি করে।
সেতুটি গ্রামের মানুষের জন্য নতুন একটি আশা নিয়ে আসে। সবাই তাদের প্রশংসা করে এবং তাদের বন্ধুত্বের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে। রাহুল এবং সুমি বুঝতে পারে, বন্ধুত্ব শুধু একটি সম্পর্ক নয়, এটি একটি শক্তিশালী শক্তি যা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।
গ্রামবাসীরা তাদের সেতু ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে এবং গ্রামে আবার প্রাণ ফিরে আসে। রাহুল এবং সুমি তাদের বন্ধুত্বের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখানে তারা দেখায় যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব সব বাধা অতিক্রম করতে পারে।
এইভাবে, "বন্ধুত্বের সেতু" শুধু একটি শারীরিক সেতু নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে এবং সম্পর্কের মধ্যে গড়ে তোলা একটি অমূল্য সেতু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.