হেমোপিলিয়া (Hemophilia)

in #medical7 years ago

গ্রামে হাজাম দিয়ে সজীবের মুসলমানী করার সময় অনেক রক্তপাত হয়েছে । এছাড়াও অল্প কেটে গেলেও তার অনেক পরিমান ব্লিডিং হয়। পরে তার বাবা তাকে নিয়ে গেলো উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেন । সেখানে ডাক্তার তাকে চেক আপ করে দেখল। দুইটা রক্তের পরীক্ষা করতে দিল । ১। Serum Platelet Count , ২। BT, CT, PT, APTT.

এই পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়লো সজীবের জন্মগত একটা রক্তের রোগ আছে, যার জন্য তার রক্ত সহজে জমাট বাঁধতে পারে না । এই রোগ কে বলে হিমোফিলিয়া (Hemophilia) . এই রোগে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য যেসব ফ্যাক্টর গুলো থাকে তার মধ্যে ৮ অথবা ৯ নাম্বার ফ্যাক্টর শরীরে অনুপস্থিত অথবা খুব অল্প মাত্রায় থাকে।

আসুন জেনে নেই ডাক্তার সাহেব কেন এই পরীক্ষা গুলো দিলেন । আমরা জানি ব্লিডীং বন্ধ করতে প্রথম ভূমিকা প্লেটলেট (Platelet) এর । এটাই প্রথম মেকানিক্যাল ব্যারিয়ার তৈরী করে । তারপর কাজ করে Clotting Factor গুলো । সুতরাং যদি প্লেটলেট না থাকে তাহলে ব্লিডীং টাইম অনেক বেড়ে যায় , কারন এতে করে Instant মেকানিক্যাল ব্যারিয়ার তৈরী হয় না। তাই Platelent count ও BT দিয়ে প্লেটলেট ফাংশন দেখা হয়েছে। মেকানিক্যাল ব্যারিয়ারের পর Clotting Process শুরু হয়। সেটার কোনো এবনরমালিটি হলে CT ও APTT বেড়ে যায়।

মনে রাখার সুবিধার্থে –
১। Dengue, ITP তে বেড়ে যায় – Bleeding Time (BT)
২। Hemophilia তে বেড়ে যায় – Clotting Time (CT)
৩। Liver Disease এ বেড়ে যায়- Prothrombin Time
৪। DIC তে বেড়ে যায় – BT, CT, APTT সব গুলোই ।

আগামীকাল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। দুঃখজনক হলেও সত্যি এই রোগে সাধারনত পুরষরাই ভুগে । মহিলারা শুধু জিন বহন করে। কিন্তু ডাবল এফেক্টেড ক্রোমোজোম (XX) পড়ে গেলে মেয়েদেরও হতে পারে ।

এবার একটা মজার রুল জেনে নেই। আমরা সাধারনত পুরুষের সর্বনামকে He বলি আর মেয়েদের সর্বনামকে She বলি। কাকতালীয় ভাবে রোগের নাম গুলো ও এই সুত্র মেনে চলে। তাইতো He দিয়ে রোগ গুলো পুরুষের বেশী হয়, She দিয়ে রোগ গুলো মেয়েদের বেশী হয়.…

Male predominant disease: পুরুষ অধ্যুষিত রোগ

HEart Attack
HEmophilia,
HEmochromatosis,
HEmolytic anemia,.

আবার Female predominant disease: নারী অধ্যুষিত রোগ

SHEehan's syndrome,
Systemic lupus (she’s temic),
Shigelosis (She-gelosis)