শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ২৩

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

সকাল থেকে ভীষণরকম মেজাজ চড়ে আছে শফিক সাহেবের। কী এক অফিস। একটা এমপ্লয়িও ঠিকমতো কাজ করে না। উত্তরে যেতে বললে ঠিক তার উলটো দিকে হাঁটা দেয় মানুষগুলো। কানে সমস্যা না কী অন্যকিছু, আল্লাহই ভালো জানেন। কিছুক্ষণ আগেই দিপুকে যাচ্ছে তাই বলে শাসিয়েছেন তিনি। দিপু বেশ রগচটা ছেলে। বয়স কম। রক্ত গরম। অফিসের ফ্লোর কাঁপিয়ে রিজাইন করে চলে গিয়েছে। যাওয়ার আগে অফিসের করিডোরে দাঁড়িয়ে বিশাল এক বিদ্রোহী ভাষণও দিয়ে গিয়েছে। টাকার গোলামি করে না দিপু। পেট চালাতে দরকার পড়লে ঠেলা ঠেলবে, তবু এই চাকরি করবে না। এমন আরও অনেক উঁচু দরের কথাবার্তা। অফিসটা তাই বেশ শোরগোল সকাল থেকেই। হাবভাব এমন যে, এখন পান থেকে চুন খসলেই আরও ৫/৭ জন রিজাইন করবে। শফিক সাহেবের যত জ্বালা। CEO বলে কথা। বন্ধু মহলে খুব কথা চলে, ‘আরে ব্যাটা, তুই তো CEO, তোর আর কাজ কি।' অথবা ‘তোর তো আর কারও গোলামি করা লাগে না। আমরা দিনরাত বসে গোলামি করে চলি।

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

কামলা খাটি, মাটি কাটি।' সবই কথার কথা। CEO মানে এখানে শুধু বসের গোলামি নেই, ঠিক। কিন্তু ইমপ্লয়ির মন মানিয়ে চলতে হবে। চলতে হবে ক্লায়েন্টের আবদার মেনে। সামলাতে হবে অফিস, মার্কেট। বাড়াতে হবে পাবলিসিটি। এমপ্লয়িদের ৯টা-৫টা অফিস। আর CEO দের সারাদিন। হতে হবে মিষ্টভাষী। জানতে হবে সব কাজের খুঁটিনাটি। ইন্ট্রোভার্ট CEO! ব্যবসা লাটে। ধীরে ধীরে ব্যবসাটা বড় হলে সিস্টেম আপডেট হলে হয়তো সব আস্তে আস্তে ঠিক হবে। কিন্তু এখন...Anger Management এর কিছু বই মোটামুটি গিলে খেয়েছেন শফিক সাহেব। পুঁথিগত বিদ্যা! কাজের কাজ শূন্য। সাবরিন যে কীভাবে সব পারে কে জানে!

ও হ্যাঁ সাবরিনের পরিচয় দেওয়া হয়নি। শফিক সাহেবের বিজনেস পার্টনার ও লাইফ পার্টনার। খুব ঠান্ডা মাথার মহিলা। সাবরিনের অনুপ্রেরণাতেই এই মাঝ বয়সে এসে চাকরি ছেড়ে এত দিনের লালন করা স্বপ্নের ব্যবসায় নামার সাহস পেয়েছেন শফিক

সাহেব। সকালের ঘটনায় শফিক সাহেবের জায়গায় সাবরিন থাকলে হয়তো আজ অফিসটা এমন শাহবাগ মোড় হতো না। দিপুও হয়তো মঞ্চ কাঁপানো ভাষণ দিত না। আর অফিসেও এমন 'কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে দে কররে লোপাট।' টাইপ পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
শফিক সাহেব সাবরিনকে একটা কল দিল। একটু পরামর্শ করা দরকার। দেখা যাক কোনো হাল পাওয়া যায় কিনা :

—কী ব্যাপার? মুড অফ?
—তোমার সিসি ক্যামেরাতে কি মুড ডিটেক্টরও লাগানো আছে?
—হাহাহা... ক্যামেরাতে নেই। তোমার কণ্ঠে আছে।
—বলো কী হয়েছে?
—দিপু রিজাইন করেছে।
—নিশ্চয় তুমি ওকে ঝাড়ি দিয়েছ!

-আরে...না!
—একদম কথা পালটাবে না।
হ্যাঁ, কিন্তু ও ঝাড়ি দেওয়ার মতোই কাজ করেছিল।
কী?

—ক্লায়েন্ট একরকম ডিজাইন চেয়েছে। ওকে আমি সবটা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। ও সারারাত জেগে কাজ করেছে; কিন্তু যা ক্লায়েন্ট চেয়েছে ঠিক তার উলটো একটা ডিজাইন রেডি করেছে। বুঝতে পারছ তুমি, কী পরিমাণ ঝামেলা পাকিয়েছে ও। আর এখন রিজাইন করে চলে গিয়েছে; অথচ আজই ক্লায়েন্টকে ডিজাইন দেখাতে হবে। –আচ্ছা, বাদ দাও তো। এত টেনশন নিয়ো না।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ