ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার দিশার পূর্বে ও পরে - আকাশ মোকাররম ।
ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার দিশার পূর্বে ও পরে - আকাশ মোকাররম ।
১/ ইমাম ইমাম আলাইহি রাহমার আগে খেলাফত ও মুলুকিয়তের কোন ব্যাখ্যা আমরা কোন সুন্নী আলেম ওলামা থেকে পাইনি বরং মুলুকিয়তের মধ্যে সবাই ডুবন্ত সেখান থেকে খেলাফত ও মুলুকিয়তের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমরা পেয়েছি ইমাম হায়াত থেকে এবং মুলুকিয়ত উৎখাত করে খেলাফতে রুপরেখায় সমগ্র মানবমন্ডলীকে উদ্ধার ও মুক্তির রুপরেখা দিয়েছেন ইমাম হায়াত।
২/ ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার পূর্বে অরাজনৈতিক হওয়াকে তথা বাতেলের রাষ্ট্র মুলুকিয়তকে সুন্নীয়ত বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল কিন্তু ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা আমাদের শিখিয়েছেন অরাজনৈতিক হওয়া আত্মঘাতী ও কলেমা দ্বীনকে অস্বীকার করা, বাতেলের হুকুমতকে মেনে নেওয়া এবং জীবন জগত সবকিছু বাতেলের হাতে তুলে দেওয়া যা মূলত তাওহীদ রেসালাতের বিরুদ্ধাচরণ। কোন সুন্নী অরাজনৈতিক হতে পারেনা।
৩/ ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার পূর্বে বাতেলের রাষ্ট্র কবুল করা, বাতেলের রাজনীতি করা, বাতেলের সাথে জোটবদ্ধ হওয়াকে সুন্নীয়ত বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল কিন্তু ইমাম হায়াত আমাদের শিখিয়েছেন সুন্নীয়ত পূর্ণাঙ। বাতেলের রাজনীতি বাতেলের রাষ্ট্র আর সুন্নীয়তের রাজনীতি কখনো এক নয়। অরাজনৈতিক হওয়া যেমন আত্মঘাতী তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর বাতেলের রাজনীতি করা তাদের অংশ হয়ে যাওয়া। কোন সুন্নী বাতেলের রাজনীতি করতে পারেনা। সুন্নীয়তের নিজস্ব রাজনীতি আছে যার নাম খেলাফতে ইনসানিয়াত যার রুপরেখা পূর্ণাঙ্গরুপে নিয়ে এসেছেন।
৪/ ইমাম হায়াতের পূর্বে সৌদি ওহাবীবাদ কতৃক অবৈধভাবে জাজিরাতুল আল আরবকে জবর দখল করে অবৈধ নামকরণ সৌদিআরব করা হলে সবাই মেনে নিলেও সৌদিআরব বললেও ইমাম হায়াত আমাদের শিখিয়েছেন সেটা সৌদিআরব নয় আল আরব বলতে হবে এবং তাদের মেনে নেওয়া যাবেনা। কুফর জুলুম অন্যায়কে মেনে নিলে সে আর সুন্নী থাকেনা। সবাই সৌদিআরব বললেও ইমাম হায়াতের সৈনিকরাই আল আরব বলে।
৫/ ইমাম হায়াতের পূর্বে সুন্নীরা শুধু এক বাতেলকে চিনত তাও আংশিক কিন্তু ইমাম হায়াত আমাদের আরো তিন বাতেল চিনিয়েছেন। আর তাহলো ইসলামের ছদ্মনামে বাতেল ফেরকা, নাস্তিকউদ্ভূত বস্তুবাদ, বিভিন্ন ধর্মের নামের অধর্ম উগ্রবাদ এবং এই তিন বাতেলের তৈরি একক গোষ্ঠীবাদী স্বৈর মুলুকিয়তের রাষ্ট্র। ইমাম হায়াত বলেন এক বাতেল থেকে মুক্ত হওয়ার নাম সুন্নীয়ত নয় সব বাতেল থেকেই মুক্ত হয়ে দ্বীনের পূর্ণাঙ্গতার ভিত্তিতে অর্থাৎ আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সবদিকে ভাইবোন সবাইকে নিয়ে কলেমার ধারায় এগিয়ে চলার নামই সুন্নীয়ত।
এছাড়া জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস, সত্য ও মানবতার উৎস শানে রেসালাতের শুভাগমন ঈদে আজম, সকল সৃষ্টির মহাগৌরবময় মহান ঈদে মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শানে গাউছেপাক ও শানে খাজাবাবা এবং জামে আউলিয়াকেরাম রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম, এবং কেবলাভূমি পূনঃরুদ্ধারের ডাক ২৩শে সেপ্টেম্বর আঁধার দিবসের মত অস্তিত্ব রক্ষার মহাগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি আমরা ইমাম হায়াত থেকে পেয়েছি। যা আসলে মিল্লাতকে সঠিক পথে ও সবাইকে উদ্ধারের পাথেয়। এরকম শত পয়েন্ট আছে যা সাক্ষ্য দেয় ইমাম হায়াতই যুগের ইমাম।
এতকিছু যিনি দান করলেন, জীবনের সমস্তকিছু যিনি উৎসর্গ করলেন তিনি যুগের ইমাম হবেন নাতো তারা হবেন যারা দরবারে সীমাবদ্ধ হয়ে গরু মহিষ পাওয়ার জন্য বসে থাকে, শ্রদ্ধা সম্মানের জন্য বলা অথবা তরিকতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন তারা? দৃষ্টি খুলুন জানা বুঝার চেষ্টা করুন। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই মূহুর্তে বসে থাকার নাম সুন্নীয়ত নয় শুধুমাত্র জিকির বা খানকা দরবারের মধ্যে থাকার নাম সুন্নীয়ত নয় বরং সবাইকে উদ্ধারের মিশনে এগিয়ে আসার নামই সুন্নীয়ত। ইমাম হায়াতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলাফতে ইনসানিয়াতই সত্য ও মানবতার মুক্তির একমাত্র অদ্বিতীয় পথ যার বিকল্প আরো ধ্বংস।