আমরা ঈদে আজমের জুলুস, মাহফিল কি জন্য করি বাতেল উৎখাতের জন্য না কায়েমের জন্য - আকাশ মোকাররম ।

in #news7 years ago

আমরা ঈদে আজমের জুলুস, মাহফিল কি জন্য করি বাতেল উৎখাতের জন্য না কায়েমের জন্য? আসুন আত্ম বিশ্লেষণ করি।

23905410_1563903610359531_7822124819858356578_n.jpg

সারা পৃথিবীতে লক্ষ কোটি ঈদে আজমের জুলুস, মাহফিল, প্রোগ্রাম হচ্ছে। বড় বড় জুলুস হচ্ছে মাহফিল হচ্ছে আর অপরদিকে দ্বীন মিল্লাত মানবতার সংকট ততবেশি খারাপ হচ্ছে, বাতেলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সুন্নীয়ত আরো কোণঠাসা হচ্ছে, আমাদের ভাইবোন উপর জুলুম শোষণ নির্যাতন পাশবিকতা আরো বাড়ছে, দেশে দেশে উদ্বাস্তু হচ্ছে কিন্তু কেন?

কারণ এইসব প্রোগ্রাম জুলুস মাহফিল অধিকাংশই লক্ষ্য উদ্দেশ্যবিহীন নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। ঈদে আজমকে নিছক গতানুগতিক অন্যান্য দিবসের মত একদিনের আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করা হয়েছে। লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে নিছক সোয়াবের উপলক্ষ্য, প্রদর্শনী বা আত্মপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গতানুগতিক সেই এক আলোচনাই বারবার করা হচ্ছে যার দ্বারা মিল্লাত মানবতার মুক্তি আসছেনা বা আসবেনা।

এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় এই যে যাদের বিরুদ্ধে ঈদে আজম, যাদের উৎখাত করার জন্য ঈদে আজম তাদের ধারকদের নিয়ে তাঁদের প্রধান অতিথি করে তাদের নেতৃত্বে অথবা তাদেরকে নিয়েই জুলুস মাহফিল করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ধান্ধার জন্য ঈদে আজমের কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। লক্ষ্য উদ্দেশ্যবিহীন এবং অসৎ নিয়ত হওয়ায় বর্তমানের অধিকাংশ জুলুস মাহফিল প্রকৃতপক্ষে পরোক্ষভাবে বাতেলেরই সহযোগী, বাতেলকে বিজয়ী ও টিকিয়ে রাখার খুঁটি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বাতেল ফেরকা, বস্তুবাদ, অধর্ম উগ্রবাদ আরো ভালোভাবে পাকাপোক্ত হচ্ছে।

যদি ঈদে আজম সঠিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে পালন হয় অর্থাৎ দ্বীন মিল্লাত মানবতাকে পূনঃরুদ্ধার, পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বাতেল মতবাদ তথা মিথ্যা অবিচার জুলুম শোষণ পাশিকতাকে উৎখাত করার জন্য হয় তাহলে সারা পৃথিবী থেকে সব বাতেল উৎখাত হয়ে যাবে এবং কলেমার রাষ্ট্র বিশ্ব তথা মুক্ত, স্বাধীন, অধিকার মানবতার, সবার কল্যাণের, জ্ঞানের অবাধ মুক্ত প্রবাহের দুনিয়া কায়েম হবে। এজন্য যা দরকার তাহলো সব বাতেল থেকে সব সুন্নী ভাইবোন মুক্ত হয়ে নিজেদের পূর্ণাঙ বিশুদ্ধ পথে চলতে হবে, কোন বাতেলেরই সমর্থক সহযোগী হওয়া যাবেনা, ঈদে আজমের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বুঝে তার সাথে একাকার হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

পৃথিবীতে একটামাত্র পূর্ণাঙ্গ সংগঠন আছে যা ঈদে আজমের পূর্ণাঙ্গ দিক দিশা, লক্ষ্য উদ্দেশ্য, ঈদে আজম কিসের পক্ষে এবং কিসের বিপক্ষে হয়েছে, কেন হয়েছে, কি কায়েমের জন্য, কি উৎখাতের জন্য এবং তা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তার পূর্ণাঙ্গ দিক দিশা, কর্মসূচী নির্ভুলভাবে মুক্তির পথ হিসেবে তুলে ধরেছে তাহলো বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার দিক নির্দেশনায় যা না পেলে আমরাও গতানুগতিক প্রচলিত সেই ধারায় চলতাম। সবাইকে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের শামিল হয়ে দ্বীন মিল্লাত মানবতার মুক্তি সাধনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই।