আমার হঠাত নুডুলস

আসসালামু আলাইকুম।
নুডুলস হলো আমাদের জাতীয় খাবার। ক্ষুধা লেগেছে নুডুলস রান্না করি। কি খাব নুডুলস রান্না করি। এই হল অবস্থা মাঝে মাঝে সন্ধ্যার সময় নুডুলস রান্না করা হয়। আবার আমার কাজের সুবাদে আমার অনেক রাত জেগে থাকতে হয়। ডিনার করে ফেলার পরও রাতে ক্ষুধা পায়। তখন কি খাব কি খাব। সব কৌটা গুলো খুলে খুলে খুঁজতে থাকে যাক কি কি খাওয়া যায়।তো এমনই এক রাতে আমার হঠাৎ খুব ক্ষুধা লাগলো। আমার বউকে বলতে থাকলাম কি খাওয়া যায় বলোতো। আমার বউ তো বলছে এখন কিছুই খাওয়া লাগবে না ঘুমাও। রান্না করে দিতে পারব না। তাই কথা শুনে আমি চলে গেলাম রান্না ঘরে। গিয়া নুডুলস বের করলাম।

ইন্ডাক্সন টা চালিয়ে গরম পানি চুলায় দিলাম। এদিকে আমি পেঁয়াজ মরিচ টমেটো সবকিছু কেটে নিলাম । গরম পানির মধ্যেও কুচি করে রাখা আলু দিয়ে দিলাম। কারণ আলু ছাড়া আমার চলে না। সবকিছুতে আলু আলুময় জীবন আমার। তার একটু পরে নুডুলস গুলো দিয়ে দিলাম। একটু মোটা সিদ্ধ হতে সময় লাগে। সিদ্ধ হয়ে গেল সেকে নিয়ে। এবার কড়ায় তেল দিয়ে আজ মরিচ ভেজে নিলাম। দুইটা ডিম আরেকটু মুরগির মাংস সাথে ভেজে নিলাম। তারপর মুরগির মাংসটা কুক হয়ে যাওয়ার পর। নুডুলস টা দিয়ে দিলাম সাথে মসলা মিক্সটাও দিলাম। উপরে একটু সস আর লবণ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিলাম। শেষ আমার রান্না।একটা প্লেটে নুডুলস গুলো ঢেলে বউয়ের কাছে নিয়ে গেলাম।

বউ নুডুলস রান্না দেখে কেমন করে রান্না করেছে সেটা জিজ্ঞেস না করে আগে জিজ্ঞেস করছে আমার রান্না ঘরের কি অবস্থা করেছ। আমি তো এবার ভয় পেয়ে গেলাম। রান্নাঘরকে বিধ্বংস করে ফেলেছি। তারপর ভাবলাম যা হয় হোক। বললাম আগের নুডুলস তো খাও। তারপর মাথা ঠান্ডা হলে নিজেই রান্নাঘর ক্লিন করবে। এই হল আমাদের ছেলেদের অবস্থা।যা করি তাতেই দোষ লেও দোষ না করলেও দোষ।